ঢাকা ০৭:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বিমানবালাকে জড়িয়ে ধরে চুমুর চেষ্টা, বাংলাদেশি আটক

জনপ্রিয় অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০১:৩৬:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৫০ বার পড়া হয়েছে

মাঝ আকাশে বিমানের মধ্যে বিমানবালাকে ঝড়িয়ে ধরে চুমু খাওয়ার অভিযোগে ভারতের মুম্বাইয়ে মোহাম্মদ দুলাল নামে এক বাংলাদেশি যাত্রীকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ওমানের রাজধানী মাস্কাট থেকে ঢাকাগামী একটি বিমানের ভেতর এ ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির। মুম্বাই পুলিশের এক কর্মকর্তা শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) জানান, বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় ভোরে ওই ব্যক্তি ভিস্তারা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে মাঝ আকাশে এক বিমানবালাকে জড়িয়ে ধরে চুমু দেওয়ার চেষ্টা করেন। মুম্বাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কিছুক্ষণ আগেই তিনি এমন কাজ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে খুঁজে বের করেছি। তার নাম মোহাম্মদ দুলাল। তিনি একজন বাংলাদেশি। তিনি ভিস্তারা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে মাস্কাট থেকে মুম্বাই হয়ে ঢাকা যাচ্ছিলেন। প্লেনটি মুম্বাইয়ে অবতরণ করার আধা ঘণ্টা আগে তিনি নিজের আসন থেকে উঠে দাঁড়ান এবং এক বিমানবালাকে জড়িয়ে ধরেন। এরপর তাকে চুমু দেওয়ার চেষ্টা করেন।’ এমন অসদারচরণ করায় বাংলাদেশি ওই যাত্রীকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন বিমানের পাইলট। কিন্তু তাতেও কর্ণপাত করেননি তিনি। পরে বিমানটি মুম্বাইয়ে অবতরণ করলে মোহাম্মদ দুলালকে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপর তাকে পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই বিমানবালার অভিযোগের প্রেক্ষিতে মোহাম্মদ দুলালের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী অভিযোগ এনে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে স্থানীয় আদালতে তোলা হলে শুক্রবার পর্যন্ত তাকে পুলিশি রিমান্ডে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছে, কেন বাংলাদেশি ওই যাত্রী প্লেনের ভেতর এমন কাজ করেছেন সেটি খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে। এদিকে, এ ঘটনায় ভিস্তারা এয়ারলাইন্স একটি বিবৃতি দিয়েছে। এতে তারা বলেছে, তাদের ভিস্তারা ফ্লাইট ইউকে ২৩৪ প্লেনে এমন ঘটনা ঘটে। যেটি গত ৬ সেপ্টেম্বর মাস্কাট থেকে মুম্বাইয়ের উদ্দেশে উড়াল দিয়েছিল। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, সাধারণ যাত্রী ও নিজেদের ক্রুদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তারা সব সময় জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বিমানবালাকে জড়িয়ে ধরে চুমুর চেষ্টা, বাংলাদেশি আটক

আপডেট সময় : ০১:৩৬:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মাঝ আকাশে বিমানের মধ্যে বিমানবালাকে ঝড়িয়ে ধরে চুমু খাওয়ার অভিযোগে ভারতের মুম্বাইয়ে মোহাম্মদ দুলাল নামে এক বাংলাদেশি যাত্রীকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ওমানের রাজধানী মাস্কাট থেকে ঢাকাগামী একটি বিমানের ভেতর এ ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির। মুম্বাই পুলিশের এক কর্মকর্তা শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) জানান, বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় ভোরে ওই ব্যক্তি ভিস্তারা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে মাঝ আকাশে এক বিমানবালাকে জড়িয়ে ধরে চুমু দেওয়ার চেষ্টা করেন। মুম্বাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কিছুক্ষণ আগেই তিনি এমন কাজ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে খুঁজে বের করেছি। তার নাম মোহাম্মদ দুলাল। তিনি একজন বাংলাদেশি। তিনি ভিস্তারা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে মাস্কাট থেকে মুম্বাই হয়ে ঢাকা যাচ্ছিলেন। প্লেনটি মুম্বাইয়ে অবতরণ করার আধা ঘণ্টা আগে তিনি নিজের আসন থেকে উঠে দাঁড়ান এবং এক বিমানবালাকে জড়িয়ে ধরেন। এরপর তাকে চুমু দেওয়ার চেষ্টা করেন।’ এমন অসদারচরণ করায় বাংলাদেশি ওই যাত্রীকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন বিমানের পাইলট। কিন্তু তাতেও কর্ণপাত করেননি তিনি। পরে বিমানটি মুম্বাইয়ে অবতরণ করলে মোহাম্মদ দুলালকে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপর তাকে পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই বিমানবালার অভিযোগের প্রেক্ষিতে মোহাম্মদ দুলালের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী অভিযোগ এনে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে স্থানীয় আদালতে তোলা হলে শুক্রবার পর্যন্ত তাকে পুলিশি রিমান্ডে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছে, কেন বাংলাদেশি ওই যাত্রী প্লেনের ভেতর এমন কাজ করেছেন সেটি খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে। এদিকে, এ ঘটনায় ভিস্তারা এয়ারলাইন্স একটি বিবৃতি দিয়েছে। এতে তারা বলেছে, তাদের ভিস্তারা ফ্লাইট ইউকে ২৩৪ প্লেনে এমন ঘটনা ঘটে। যেটি গত ৬ সেপ্টেম্বর মাস্কাট থেকে মুম্বাইয়ের উদ্দেশে উড়াল দিয়েছিল। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, সাধারণ যাত্রী ও নিজেদের ক্রুদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তারা সব সময় জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করবে।