ঢাকা ০৪:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

স্পেনে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪ ৭৬ বার পড়া হয়েছে

স্পেন মাদ্রিদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে  ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়েছে। দিবসের কর্মসূচির মধ্যে অন্যতম ছিল পতাকা উত্তোলন, বাণী পাঠ, পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত,  প্রামান্য চিত্র প্রদর্শনী ও মোনাজাত। দূতাবাসের সকল সদস্য ও আমন্ত্রিত প্রবাসী বাংলাদেশীদের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ, এনডিসি জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু করেন। আলোচনা সভায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে প্রদত্ত মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।

রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ, এনডিসি ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্যের উপর আলোচনা করতে গিয়ে প্রথমে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি বলেন যে বাঙালি জাতির মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাসে ৭ মার্চ একটি অবিস্মরণীয় দিন। একটি ভাষণ কীভাবে গোটা জাতিকে জাগিয়ে তুলে স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করতে পারে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করার আহবানের জন্য অধীর অপেক্ষায় ছিল বাঙালি জাতি। ১৯৭১ সালের এ দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বজ্রকন্ঠে যে কালজয়ী ভাষণ দিয়েছিলেন তার মধ্যেই নিহিত ছিল বাঙালির মুক্তির ডাক। তিনি আরো  বলেন যে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের প্রেক্ষাপট, পরিবেশ এবং ভাষণের মাধ্যমে সমগ্র বাঙালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে ঐক্যবদ্ধ করা ইত্যাদির নিরিখে বিচার করলে, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণটি অদ্যাবধি পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বক্তৃতা। ২০১৭ সালের ৩০ শে অক্টোবর এটি ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব প্রামাণিক ঐতিহ্য (Memory of World International Register) এর অন্তর্ভূক্ত হয়। ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ কেবল বাংলাদেশের নয় ইহা বিশ্বব্যাপী নিষ্পেশিত, নির্যাতিত ও স্বাধীনতাকামী মানুষের প্রেরণার উৎস। তিনি উল্লেখ করেন যে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূর প্রসারী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে প্রভ‚ত উন্নতি সাধন করেছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার ভিশন-২০২১ সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা-২০৩০ বাস্তবায়নে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। জাতির পিতার স্বপ্নের “সোনার বাংলাদেশ” বিনির্মানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি “স্মার্ট বাংলাদেশ” রূপান্তরের জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং তা বাস্তবায়নের জন্য তিনি সংশিষ্ট সকলকে উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্পেন-প্রবাসী বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এবং রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। । আলোচনা সভা শেষে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাত বরণকারী সকল শহিদের রুহের মাগফিরাত এবং দেশের সুখ, সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনায় মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত অতিথিবৃন্দকে আপ্যায়ন করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

স্পেনে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন

আপডেট সময় : ১০:২৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪

স্পেন মাদ্রিদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে  ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়েছে। দিবসের কর্মসূচির মধ্যে অন্যতম ছিল পতাকা উত্তোলন, বাণী পাঠ, পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত,  প্রামান্য চিত্র প্রদর্শনী ও মোনাজাত। দূতাবাসের সকল সদস্য ও আমন্ত্রিত প্রবাসী বাংলাদেশীদের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ, এনডিসি জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু করেন। আলোচনা সভায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে প্রদত্ত মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।

রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ, এনডিসি ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্যের উপর আলোচনা করতে গিয়ে প্রথমে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি বলেন যে বাঙালি জাতির মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাসে ৭ মার্চ একটি অবিস্মরণীয় দিন। একটি ভাষণ কীভাবে গোটা জাতিকে জাগিয়ে তুলে স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করতে পারে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করার আহবানের জন্য অধীর অপেক্ষায় ছিল বাঙালি জাতি। ১৯৭১ সালের এ দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বজ্রকন্ঠে যে কালজয়ী ভাষণ দিয়েছিলেন তার মধ্যেই নিহিত ছিল বাঙালির মুক্তির ডাক। তিনি আরো  বলেন যে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের প্রেক্ষাপট, পরিবেশ এবং ভাষণের মাধ্যমে সমগ্র বাঙালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে ঐক্যবদ্ধ করা ইত্যাদির নিরিখে বিচার করলে, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণটি অদ্যাবধি পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বক্তৃতা। ২০১৭ সালের ৩০ শে অক্টোবর এটি ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব প্রামাণিক ঐতিহ্য (Memory of World International Register) এর অন্তর্ভূক্ত হয়। ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ কেবল বাংলাদেশের নয় ইহা বিশ্বব্যাপী নিষ্পেশিত, নির্যাতিত ও স্বাধীনতাকামী মানুষের প্রেরণার উৎস। তিনি উল্লেখ করেন যে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূর প্রসারী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে প্রভ‚ত উন্নতি সাধন করেছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার ভিশন-২০২১ সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা-২০৩০ বাস্তবায়নে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। জাতির পিতার স্বপ্নের “সোনার বাংলাদেশ” বিনির্মানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি “স্মার্ট বাংলাদেশ” রূপান্তরের জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং তা বাস্তবায়নের জন্য তিনি সংশিষ্ট সকলকে উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্পেন-প্রবাসী বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এবং রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। । আলোচনা সভা শেষে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাত বরণকারী সকল শহিদের রুহের মাগফিরাত এবং দেশের সুখ, সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনায় মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত অতিথিবৃন্দকে আপ্যায়ন করা হয়।