ঢাকা ০৯:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ইসরাইলের জেলে বন্দি কেন এত ফিলিস্তিনি?

জনপ্রিয় অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৯:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩ ৩৬১ বার পড়া হয়েছে

শনিবার ইসরাইলে হামলার পর ডজন ডজন ইসরাইলিকে যেভাবে পেরেছে আটক করেছে হামাসের সেনারা। এসব ইসরাইলিদের আটকের পেছনে ইন্ধন যুগিয়েছে বহুদিনের প্রতিশোধের বাসনা।  অনেক কষ্ট ও যাতনা বুকে নিয়ে দিনযাপন করে ফিলিস্তিনের অসংখ্য মানুষ। হয়তো কারো বাবাকে ধরে নিয়ে গেছে ইসরাইলের সেনারা। কারো ভাই অথবা বোন বিনা কারণে আটক রয়েছে ইসরাইলের জেলখানায়। সেই প্রতিশোধ নিতে এবার এসব ইসরাইলিকে আটক করেছে হামাস। আটককৃতদের বিনিময়ে ফিলিস্তিনিদের ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

ইসরাইলের কারাগারে আটক কত ফিলিস্তিনি?

অনেকেই বলে থাকেন, গাজায় বসবাসরত ২২ লাখ মানুষই কারাগারে বাস করছে। কারণ তাদের সবাই প্রায় ইসরাইলের হাতে বন্দি। তাই এ অঞ্চলকে বলা হয়, বিশ্বের উন্মুক্ত কারাগার।

তবে ইসরাইলের হাতে এযাৎকাল কত ফিলিস্তিনি আটক হয়েছে, এর নির্দিষ্ট সংখ্যা কত? এর সঠিক উত্তর হলো- ১০ লাখ। ১৯৬৭ সালে পূর্ব জেরুজালেম, গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীর দখলের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে কারাগারে ভরেছে ইসরাইল। যুক্তরাষ্টের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বর্তমানে ইসরাইলি কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৫ হাজার ২০০। এর মধ্যে ৩৩ জন নারী ও ১৭০ জন শিশু রয়েছে। বিচার হলে ফিলিস্তিনি বন্দিদের সামরিক আদালতে বিচার করা হয়।

কেন আটক করা হয় ফিলিস্তিনিদের?

১৯৬৭ সালের যুদ্ধে পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম ও গাজা উপত্যকা দখলের পর সেখানে সামরিক আদেশ জারি করে ইসরাইল। যা এখনো বলবৎ রয়েছে। এতে বলা হয়, এ অঞ্চলে কেউ অন্য দেশের পতাকা উড়াতে পারবে না, কোন উস্কানিমূলক কোন বিক্ষোভে অংশ নিতে পারবে না, রাজনৈতিক কোন নথিপত্র বিলি করতে পারবে না, দেওয়ালে রাজনৈতিক ইঙ্গিত দিয়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে যায় এমন কোন কিছু আঁকতেও পারবে না।

মূলত এসব কারণেই বেশিরভাগ ফিলিস্তিনিকে আটক করা হয়ে থাকে।

এর তিন বছর পর অর্থাৎ ১৯৭০ সালে এক সামরিক আদেশের মাধ্যমে একটি সামরিক আদালত প্রতিষ্ঠা করে ইসরাইল। ওই আদেশে ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের সব ধরণের প্রতিরোধকে সন্ত্রাসবাদ আখ্যা দেওয়া হয়।

এ পর্যন্ত কতজন শিশুকে আটক করেছে ইসরাইল?

নিরীহ শিশুরাও রক্ষা পায় না ইসরাইলের কবল থেকে। দিনের পর দিন ইসরাইলের কারাগারে আটকে রাখা হয় অসংখ্য শিশুকে। ২০০০ সালে দ্বিতীয় ইন্তিফাদার পর প্রায় ১২ হাজার শিশুকে আটক করেছে ইসরাইলি বাহিনী।

তাদের বেশিরভাগে অপরাধ হলো- ইসরাইলি সেনাদের লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করা। আর এ জন্য সাজা দেওয়া হয় অন্তত ২০ বছর। এমনকি অনেক সময় শিশুদের শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনও করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ইসরাইলের জেলে বন্দি কেন এত ফিলিস্তিনি?

আপডেট সময় : ০৯:৩৯:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩

শনিবার ইসরাইলে হামলার পর ডজন ডজন ইসরাইলিকে যেভাবে পেরেছে আটক করেছে হামাসের সেনারা। এসব ইসরাইলিদের আটকের পেছনে ইন্ধন যুগিয়েছে বহুদিনের প্রতিশোধের বাসনা।  অনেক কষ্ট ও যাতনা বুকে নিয়ে দিনযাপন করে ফিলিস্তিনের অসংখ্য মানুষ। হয়তো কারো বাবাকে ধরে নিয়ে গেছে ইসরাইলের সেনারা। কারো ভাই অথবা বোন বিনা কারণে আটক রয়েছে ইসরাইলের জেলখানায়। সেই প্রতিশোধ নিতে এবার এসব ইসরাইলিকে আটক করেছে হামাস। আটককৃতদের বিনিময়ে ফিলিস্তিনিদের ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

ইসরাইলের কারাগারে আটক কত ফিলিস্তিনি?

অনেকেই বলে থাকেন, গাজায় বসবাসরত ২২ লাখ মানুষই কারাগারে বাস করছে। কারণ তাদের সবাই প্রায় ইসরাইলের হাতে বন্দি। তাই এ অঞ্চলকে বলা হয়, বিশ্বের উন্মুক্ত কারাগার।

তবে ইসরাইলের হাতে এযাৎকাল কত ফিলিস্তিনি আটক হয়েছে, এর নির্দিষ্ট সংখ্যা কত? এর সঠিক উত্তর হলো- ১০ লাখ। ১৯৬৭ সালে পূর্ব জেরুজালেম, গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীর দখলের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে কারাগারে ভরেছে ইসরাইল। যুক্তরাষ্টের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বর্তমানে ইসরাইলি কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৫ হাজার ২০০। এর মধ্যে ৩৩ জন নারী ও ১৭০ জন শিশু রয়েছে। বিচার হলে ফিলিস্তিনি বন্দিদের সামরিক আদালতে বিচার করা হয়।

কেন আটক করা হয় ফিলিস্তিনিদের?

১৯৬৭ সালের যুদ্ধে পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম ও গাজা উপত্যকা দখলের পর সেখানে সামরিক আদেশ জারি করে ইসরাইল। যা এখনো বলবৎ রয়েছে। এতে বলা হয়, এ অঞ্চলে কেউ অন্য দেশের পতাকা উড়াতে পারবে না, কোন উস্কানিমূলক কোন বিক্ষোভে অংশ নিতে পারবে না, রাজনৈতিক কোন নথিপত্র বিলি করতে পারবে না, দেওয়ালে রাজনৈতিক ইঙ্গিত দিয়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে যায় এমন কোন কিছু আঁকতেও পারবে না।

মূলত এসব কারণেই বেশিরভাগ ফিলিস্তিনিকে আটক করা হয়ে থাকে।

এর তিন বছর পর অর্থাৎ ১৯৭০ সালে এক সামরিক আদেশের মাধ্যমে একটি সামরিক আদালত প্রতিষ্ঠা করে ইসরাইল। ওই আদেশে ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের সব ধরণের প্রতিরোধকে সন্ত্রাসবাদ আখ্যা দেওয়া হয়।

এ পর্যন্ত কতজন শিশুকে আটক করেছে ইসরাইল?

নিরীহ শিশুরাও রক্ষা পায় না ইসরাইলের কবল থেকে। দিনের পর দিন ইসরাইলের কারাগারে আটকে রাখা হয় অসংখ্য শিশুকে। ২০০০ সালে দ্বিতীয় ইন্তিফাদার পর প্রায় ১২ হাজার শিশুকে আটক করেছে ইসরাইলি বাহিনী।

তাদের বেশিরভাগে অপরাধ হলো- ইসরাইলি সেনাদের লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করা। আর এ জন্য সাজা দেওয়া হয় অন্তত ২০ বছর। এমনকি অনেক সময় শিশুদের শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনও করা হয়।