ঢাকা ১০:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ইউরোপকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারেঅনুরোধ করবে না রাশিয়া

জনপ্রিয় অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৬:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ এপ্রিল ২০২২ ৩৩০ বার পড়া হয়েছে

টানা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে রাশিয়ার হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-সহ পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা থেকে জারি করা হচ্ছে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা।

এসব নিষেধাজ্ঞায় রুশ অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তা প্রত্যাহারে ইউরোপের কাছে আবেদনই জানাবে না মস্কো। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে বলে শুক্রবার (১ এপ্রিল) জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে ইইউয়ের কাছে দাবি জানাবে না মস্কো। যদিও পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপকে ‘অর্থনৈতিক যুদ্ধ’ হিসেবে বর্ণনা করেছিল রুশ প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও কার্যালয় ক্রেমলিন।

রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা আরআইএ নিউজ এজেন্সিকে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নিকোলাই কোব্রিনেতস বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়ে আমরা কোনো আবেদন করব না। আমাদের নিরাপত্তার একটি সীমারেখা আছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিশ্বের কেন্দ্র নয়।’

এছাড়া রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় ওই বার্তাসংস্থায় দাবি করা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা মোকাবেলায় ১০০টি উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে রুশ সরকারের। এমনকি রুশ মুদ্রা রুবলে অর্থ পরিশোধ না করলে বাইরের দেশগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করার বিষয়ে বৃহস্পতিবার হুমকিও দিয়েছে মস্কো।

এদিকে বিবিসি জানিয়েছে, মস্কোর বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা বিনা জবাবে ছেড়ে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে রাশিয়া। শুক্রবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র ওই কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে আরআইএ নিউজ এজেন্সি বলেছে, মস্কোর সাথে সংঘর্ষ ইউরোপেীয় ইউনিয়নের স্বার্থের জন্য ভালো হবে না।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নিকোলাই কোব্রিনেতস বলেন, ‘ব্রাসেলসের দায়িত্বজ্ঞানহীন নিষেধাজ্ঞা ইতোমধ্যেই সাধারণ ইউরোপীয়ানদের দৈনন্দিন জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ইউরোপকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারেঅনুরোধ করবে না রাশিয়া

আপডেট সময় : ০৮:৩৬:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ এপ্রিল ২০২২

টানা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে রাশিয়ার হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-সহ পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা থেকে জারি করা হচ্ছে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা।

এসব নিষেধাজ্ঞায় রুশ অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তা প্রত্যাহারে ইউরোপের কাছে আবেদনই জানাবে না মস্কো। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে বলে শুক্রবার (১ এপ্রিল) জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে ইইউয়ের কাছে দাবি জানাবে না মস্কো। যদিও পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপকে ‘অর্থনৈতিক যুদ্ধ’ হিসেবে বর্ণনা করেছিল রুশ প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও কার্যালয় ক্রেমলিন।

রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা আরআইএ নিউজ এজেন্সিকে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নিকোলাই কোব্রিনেতস বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়ে আমরা কোনো আবেদন করব না। আমাদের নিরাপত্তার একটি সীমারেখা আছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিশ্বের কেন্দ্র নয়।’

এছাড়া রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় ওই বার্তাসংস্থায় দাবি করা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা মোকাবেলায় ১০০টি উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে রুশ সরকারের। এমনকি রুশ মুদ্রা রুবলে অর্থ পরিশোধ না করলে বাইরের দেশগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করার বিষয়ে বৃহস্পতিবার হুমকিও দিয়েছে মস্কো।

এদিকে বিবিসি জানিয়েছে, মস্কোর বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা বিনা জবাবে ছেড়ে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে রাশিয়া। শুক্রবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র ওই কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে আরআইএ নিউজ এজেন্সি বলেছে, মস্কোর সাথে সংঘর্ষ ইউরোপেীয় ইউনিয়নের স্বার্থের জন্য ভালো হবে না।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নিকোলাই কোব্রিনেতস বলেন, ‘ব্রাসেলসের দায়িত্বজ্ঞানহীন নিষেধাজ্ঞা ইতোমধ্যেই সাধারণ ইউরোপীয়ানদের দৈনন্দিন জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।’