ঢাকা ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

আজ পহেলা বৈশাখ

জনপ্রিয় অনলাইন
  • আপডেট সময় : ১১:৫২:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল ২০২১ ৭১৭ বার পড়া হয়েছে

বঙ্গাব্দ ১৪২৭ বিদায় নিয়েছে গতকাল মঙ্গলবার। আবহমানকাল থেকেই বাঙালির কাছে বাংলা সনের শেষ দিনটি চৈত্রসংক্রান্তি হিসেবে উৎসব-আয়োজনের দিন। আর আজ নতুন বছর ১৪২৮ বঙ্গাব্দ শুরু। পহেলা বৈশাখ আজ, বাংলা বর্ষবরণের দিন, বাঙালির সর্বজনীন উৎসবের দিন। তাই জীর্ণ পুরোনোকে বিদায় আর নতুনকে বরণের প্রস্তুতিতে আজ মুখর থাকার কথা গ্রাম থেকে শহর সারা বাংলার মানুষের। কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বর্ষবিদায় ও নববর্ষবরণের সব আয়োজনই বন্ধ। চৈত্রসংক্রান্তি ও পহেলা বৈশাখ দিন দুটি আবহমান বাংলার চিরায়ত নানা ঐতিহ্যকে ধারণ করে আসে। প্রতি বছর নাচ, গান, আনন্দ-উল্লাসসহ নানা আয়োজনে পুরোনো বছরকে বিদায় ও নববর্ষকে স্বাগত জানালেও বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে গত বছরের মতো এবারও চৈত্রসংক্রান্তিতে ছিল না কোনো আয়োজন, আজ পহেলা বৈশাখেও থাকছে না কোনো কার্যক্রম।

গত বছরের মতো এবারও বর্ষবরণ উৎসবের ওপর সরকার বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে লোকসমাগম এড়িয়ে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা বলা হয়েছে। একাত্তরের পর গত বছর প্রথম রমনার বটমূলে ছায়ানটের নববর্ষের অনুষ্ঠান হয়নি। এ বছরও থাকছে না ছায়ানটের আয়োজন। এবারও পহেলা বৈশাখে হচ্ছে না মঙ্গল শোভাযাত্রা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতীকী কর্মসূচি হিসেবে চারুকলা অনুষদের শিল্পীদের তৈরি মঙ্গল শোভাযাত্রার বিভিন্ন মুখোশ ও প্রতীক ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রদর্শন ও সম্প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

শিল্পকলা একাডেমি, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, চারুকলা অনুষদেও থাকছে না কোনো আয়োজন। চ্যানেল আই ও সুরের ধারা প্রতি বছর যৌথ আয়োজনে চৈত্রসংক্রান্তিকে বিদায় জানিয়ে বাংলা নববর্ষকে বরণে এগিয়ে এলেও কোভিড পরিস্থিতিতে জনসাধারণের নিরাপত্তার কথা ভেবে এবারও তারা অনুষ্ঠান আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

অন্য সবকিছুর মতো গতবারের ন্যায় এবারও করোনা বাংলা নববর্ষ ও চৈত্রসংক্রান্তিকে আঘাত করেছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশেই পান্তা-ইলিশ কিংবা কোনো মেলার আয়োজন হয়নি। নববর্ষ উপলক্ষে নেই কোনো হালখাতার আয়োজন। বৈশাখ ঘিরে ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও মিষ্টি ব্যবসায়ীদেরও পড়েছে মাথায় হাত।

তবে ‘এসো হে বৈশাখ’ বলে আনন্দ আয়োজনে মত্ত হতে না পারলেও বাঙালির অন্তরে জাগরূক পহেলা বৈশাখ। আগামী বছর থেকে রঙিন এবং আরো বড় পরিসরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে চৈত্রসংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের স্বপ্ন দেখছেন সংস্কৃতিমনা মানুষ। পুরোনো বছরের জরাজীর্ণতার সঙ্গে নিপাত যাক মহামারির ঘাতক ভাইরাস, নতুন বছরে এমন প্রত্যাশা শিল্পাঙ্গনের মানুষের।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

আজ পহেলা বৈশাখ

আপডেট সময় : ১১:৫২:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল ২০২১

বঙ্গাব্দ ১৪২৭ বিদায় নিয়েছে গতকাল মঙ্গলবার। আবহমানকাল থেকেই বাঙালির কাছে বাংলা সনের শেষ দিনটি চৈত্রসংক্রান্তি হিসেবে উৎসব-আয়োজনের দিন। আর আজ নতুন বছর ১৪২৮ বঙ্গাব্দ শুরু। পহেলা বৈশাখ আজ, বাংলা বর্ষবরণের দিন, বাঙালির সর্বজনীন উৎসবের দিন। তাই জীর্ণ পুরোনোকে বিদায় আর নতুনকে বরণের প্রস্তুতিতে আজ মুখর থাকার কথা গ্রাম থেকে শহর সারা বাংলার মানুষের। কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বর্ষবিদায় ও নববর্ষবরণের সব আয়োজনই বন্ধ। চৈত্রসংক্রান্তি ও পহেলা বৈশাখ দিন দুটি আবহমান বাংলার চিরায়ত নানা ঐতিহ্যকে ধারণ করে আসে। প্রতি বছর নাচ, গান, আনন্দ-উল্লাসসহ নানা আয়োজনে পুরোনো বছরকে বিদায় ও নববর্ষকে স্বাগত জানালেও বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে গত বছরের মতো এবারও চৈত্রসংক্রান্তিতে ছিল না কোনো আয়োজন, আজ পহেলা বৈশাখেও থাকছে না কোনো কার্যক্রম।

গত বছরের মতো এবারও বর্ষবরণ উৎসবের ওপর সরকার বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে লোকসমাগম এড়িয়ে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা বলা হয়েছে। একাত্তরের পর গত বছর প্রথম রমনার বটমূলে ছায়ানটের নববর্ষের অনুষ্ঠান হয়নি। এ বছরও থাকছে না ছায়ানটের আয়োজন। এবারও পহেলা বৈশাখে হচ্ছে না মঙ্গল শোভাযাত্রা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতীকী কর্মসূচি হিসেবে চারুকলা অনুষদের শিল্পীদের তৈরি মঙ্গল শোভাযাত্রার বিভিন্ন মুখোশ ও প্রতীক ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রদর্শন ও সম্প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

শিল্পকলা একাডেমি, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, চারুকলা অনুষদেও থাকছে না কোনো আয়োজন। চ্যানেল আই ও সুরের ধারা প্রতি বছর যৌথ আয়োজনে চৈত্রসংক্রান্তিকে বিদায় জানিয়ে বাংলা নববর্ষকে বরণে এগিয়ে এলেও কোভিড পরিস্থিতিতে জনসাধারণের নিরাপত্তার কথা ভেবে এবারও তারা অনুষ্ঠান আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

অন্য সবকিছুর মতো গতবারের ন্যায় এবারও করোনা বাংলা নববর্ষ ও চৈত্রসংক্রান্তিকে আঘাত করেছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশেই পান্তা-ইলিশ কিংবা কোনো মেলার আয়োজন হয়নি। নববর্ষ উপলক্ষে নেই কোনো হালখাতার আয়োজন। বৈশাখ ঘিরে ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও মিষ্টি ব্যবসায়ীদেরও পড়েছে মাথায় হাত।

তবে ‘এসো হে বৈশাখ’ বলে আনন্দ আয়োজনে মত্ত হতে না পারলেও বাঙালির অন্তরে জাগরূক পহেলা বৈশাখ। আগামী বছর থেকে রঙিন এবং আরো বড় পরিসরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে চৈত্রসংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের স্বপ্ন দেখছেন সংস্কৃতিমনা মানুষ। পুরোনো বছরের জরাজীর্ণতার সঙ্গে নিপাত যাক মহামারির ঘাতক ভাইরাস, নতুন বছরে এমন প্রত্যাশা শিল্পাঙ্গনের মানুষের।