ঢাকা ১০:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

সরকারকে পরাজিত করার বিকল্প নেই : মির্জা ফখরুল

জনপ্রিয় অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৬:০৭:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৬০ বার পড়া হয়েছে

দলের নেতাকর্মীদেরকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সতর্ক থাকতে হবে। যেকোনো মূল্যে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে পরাজিত করতে হবে। এর বিকল্প নেই। আজ শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর পূর্বে ঢাকার দুই মহানগর বিএনপি গণমিছিল নিয়ে আসে নয়াপল্টনে। সেখানে জমায়েত হয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে বিএনপি। এ সময় বৃষ্টি শুরু হলেও নেতাকর্মীরা ভিজে ভিজেই দলের মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য শুনতে থাকেন। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির গণমিছিলটি রামপুরাস্থ বেটার লাইফ হাসপাতালের সামনে থেকে শুরু হয়ে আবুল হোটেল-মালিবাগ রেলগেট-মৌচাক-মালিবাগ মোড়-শান্তিনগর-কাকরাইল মোড়-নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে নয়াপল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আসে। অন্যদিকে দক্ষিণ বিএনপির গণমিছিল কমলাপুর থেকে শুরু হয়ে পীরজঙ্গি মাজার-আরামবাগ- ফকিরাপুল মোড় হয়ে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হতে পারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই কথার জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, তারাই তো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা করে, আর দোষ চাপায় বিরোধীদলের নেতাদের ওপর। এ জন্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, দেশের মানুষ আজ দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সবাইকে সাহস আর শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করে এই ভয়াবহ দানব সরকারকে পরাজিত করতে হবে। আপনারা বৃষ্টিতে ভিজে কষ্ট করতেছেন। আরো কষ্ট হবে। তবু এই সরকারকে পরাজিত করে দেশে একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে ইনশাআল্লাহ। সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, এ সরকারে আর কোনো সময় নেই। তাদের পতন হবেই। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থাকলে এ দেশের মানুষের কোনো স্বাধীনতা থাকবে না। তাই আপদ বিদায় করতে হবে। এ সরকারের কোনো লজ্জা নেই, লজ্জা যদি থাকতো তবে নিজেরা হামলাও করে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে নাম দিতো না। স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়া এখনও মুক্তি পাননি। তিনি যদি মুক্তি না পান তবে কে মুক্তি পেল তাতে কোনো লাভ লোকসান নেই। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মঞ্চে উঠার জন্যে যেভাবে লড়াই করি, কিন্তু মাঠে তো এতো নেতা দেখি না। কেনো মাঠে আমরা লড়াই করি না। সবাই আমরা নিজেদের নিয়ে ভাবছি। কিন্তু সবাই যদি রাস্তায় নামি তবে পুলিশ এতো মানুষকে গুলি করার সাহস পাবে না। আপনারা যদি মাঠে থাকেন তবেই তো নেতাকর্মীরা লড়াই করবে। যতই চাপার জোরে সরকার বলুক না কেনো? নির্বাচন হলে শেখ হাসিনাকে নেমেই নির্বাচন হতে হবে। তাছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না।

স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, এই গণমিছিল প্রমাণিত করে দিয়েছে এই স্বৈরাচার সরকার শেখ হাসিনা টিকতে পারবে না। যোখিন দেশের মানুষ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কারনে দিশেহারা। তখন এই দেশের অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য ভারত গিয়েছেন। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, এতো রক্তদান কি বৃথা যাবে? নেতাকর্মীরা বলেন, না। শেখ হাসিনার সকল প্রচেষ্টা এখন বৃথা যাবে। সারা বিশ্বে বৃথা হয়ে ভারত গেছেন। কি আনবেন? ঘোড়ার ডিম আনবেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আহমেদ আযম খান, বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, রফিকুল ইসলাম, রকিকুল ইসলাম বকুল, শামা ওবায়েদ, এমরান সালেহ প্রিন্স, অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, আজিজুল বারী হেলাল, অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, কাদের গণি চৌধুরী, প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, রাজীব আহসান, ছাত্রদলের রাশেদ ইকবাল খান, আবু আফসান মো. ইয়াহিয়া, কৃষকদলের মো. মঞ্জুরুল ইসলাম, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, অধ্যাপক আব্দুর রশিদ, অধ্যাপক আবুল হাসনাত মো. শামীম, অধ্যাপক মো. শামসুল আলম, অধ্যাপক মো. নুরুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সরকারকে পরাজিত করার বিকল্প নেই : মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ০৬:০৭:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দলের নেতাকর্মীদেরকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সতর্ক থাকতে হবে। যেকোনো মূল্যে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে পরাজিত করতে হবে। এর বিকল্প নেই। আজ শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর পূর্বে ঢাকার দুই মহানগর বিএনপি গণমিছিল নিয়ে আসে নয়াপল্টনে। সেখানে জমায়েত হয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে বিএনপি। এ সময় বৃষ্টি শুরু হলেও নেতাকর্মীরা ভিজে ভিজেই দলের মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য শুনতে থাকেন। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির গণমিছিলটি রামপুরাস্থ বেটার লাইফ হাসপাতালের সামনে থেকে শুরু হয়ে আবুল হোটেল-মালিবাগ রেলগেট-মৌচাক-মালিবাগ মোড়-শান্তিনগর-কাকরাইল মোড়-নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে নয়াপল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আসে। অন্যদিকে দক্ষিণ বিএনপির গণমিছিল কমলাপুর থেকে শুরু হয়ে পীরজঙ্গি মাজার-আরামবাগ- ফকিরাপুল মোড় হয়ে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হতে পারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই কথার জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, তারাই তো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা করে, আর দোষ চাপায় বিরোধীদলের নেতাদের ওপর। এ জন্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, দেশের মানুষ আজ দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সবাইকে সাহস আর শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করে এই ভয়াবহ দানব সরকারকে পরাজিত করতে হবে। আপনারা বৃষ্টিতে ভিজে কষ্ট করতেছেন। আরো কষ্ট হবে। তবু এই সরকারকে পরাজিত করে দেশে একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে ইনশাআল্লাহ। সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, এ সরকারে আর কোনো সময় নেই। তাদের পতন হবেই। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থাকলে এ দেশের মানুষের কোনো স্বাধীনতা থাকবে না। তাই আপদ বিদায় করতে হবে। এ সরকারের কোনো লজ্জা নেই, লজ্জা যদি থাকতো তবে নিজেরা হামলাও করে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে নাম দিতো না। স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়া এখনও মুক্তি পাননি। তিনি যদি মুক্তি না পান তবে কে মুক্তি পেল তাতে কোনো লাভ লোকসান নেই। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মঞ্চে উঠার জন্যে যেভাবে লড়াই করি, কিন্তু মাঠে তো এতো নেতা দেখি না। কেনো মাঠে আমরা লড়াই করি না। সবাই আমরা নিজেদের নিয়ে ভাবছি। কিন্তু সবাই যদি রাস্তায় নামি তবে পুলিশ এতো মানুষকে গুলি করার সাহস পাবে না। আপনারা যদি মাঠে থাকেন তবেই তো নেতাকর্মীরা লড়াই করবে। যতই চাপার জোরে সরকার বলুক না কেনো? নির্বাচন হলে শেখ হাসিনাকে নেমেই নির্বাচন হতে হবে। তাছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না।

স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, এই গণমিছিল প্রমাণিত করে দিয়েছে এই স্বৈরাচার সরকার শেখ হাসিনা টিকতে পারবে না। যোখিন দেশের মানুষ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কারনে দিশেহারা। তখন এই দেশের অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য ভারত গিয়েছেন। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, এতো রক্তদান কি বৃথা যাবে? নেতাকর্মীরা বলেন, না। শেখ হাসিনার সকল প্রচেষ্টা এখন বৃথা যাবে। সারা বিশ্বে বৃথা হয়ে ভারত গেছেন। কি আনবেন? ঘোড়ার ডিম আনবেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আহমেদ আযম খান, বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, রফিকুল ইসলাম, রকিকুল ইসলাম বকুল, শামা ওবায়েদ, এমরান সালেহ প্রিন্স, অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, আজিজুল বারী হেলাল, অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, কাদের গণি চৌধুরী, প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, রাজীব আহসান, ছাত্রদলের রাশেদ ইকবাল খান, আবু আফসান মো. ইয়াহিয়া, কৃষকদলের মো. মঞ্জুরুল ইসলাম, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, অধ্যাপক আব্দুর রশিদ, অধ্যাপক আবুল হাসনাত মো. শামীম, অধ্যাপক মো. শামসুল আলম, অধ্যাপক মো. নুরুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।