স্পেনের বার্সেলোনায় শাহ জালাল জামে মসজিদে আরবি শিক্ষা কোর্স ২০২৩ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন  হয়েছে। ৩০ আগষ্ট, বুধবার মসজিদে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শাহ জালাল জামে মসজিদ  পরিচালনা কমিটির সহ সভাপতি আব্দুল বাসিত কয়সরের সভাপতিত্বে এবং আফাজ জনি ও মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. ইসমাইল হোসেনের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত  এ অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেয়া হয়।

সভাপতির বক্তব্যে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সহ সভাপতি আব্দুল বাসিত কয়সর বলেন, গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে বার্সেলোনার বাংলাদেশী মুসলিম শিশু-কিশোরদের ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে ধারণা ও ইসলামি শিক্ষা দানের জন্য শাহজালাল জামে মসজিদ কর্তৃপক্ষ শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে এ শিক্ষা কোর্সের আয়োজন করে, যা সকলের সহযেগিতায় সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি অভিভাবকবৃন্দ, কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ এবং বিশেষ করে মসজিদের ইমামসহ চারজন  শিক্ষকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

অনুষ্ঠানে মসজিদ পরিচালনা কমিটির লুৎফুর রহমান সুমন, এলাইচ মিয়া, আব্দুল জাব্বার, ফয়সল আহমদ এবং বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল হাকিম, আব্দুল কাদির, জাহাঙ্গীর আলম, শাহ আলম স্বাধীন, আফতাব নজরুল ইসলাম, শিপলু আহমেদ নিয়াজী, জাফর হোসাইন, সালেহ আহমদ সোহাগ, উজ্জ্বল হাসান, শফিক খান, আনা মিয়া, আব্দুল আলীম, ফিরুজ আলম আকাশ, আব্দুল মুক্তাদির মুক্তি, শফিক স্বপন, নাসিম রহমান, একে আজাদ মোস্তফা, জাহেদ উদ্দিন, স্পেন বাংলা প্রেসক্লবের সভাপতি সাহাদুল সুহেদ, প্রথম সদস্য মিরন নাজমুল, সদস্য ছালাহ উদ্দিন প্রমূখ।

সহীহ কোরআন তেলাওয়াত, সুরাহ, কায়দা, সিফারা, ইসলামী নানা রীতি নীতি শিক্ষা ও চর্চার ক্ষেত্র হিসেবে এমন আয়োজনের প্রশংসা করেন উপস্থিত কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে মসজিদ পরিচালনা কমিটি এবং আবুল কাসেমের পক্ষ থেকে ইসলামী শিক্ষা কোর্সের শিক্ষক হাফিজ ক্বারী মাওলানা মো. ইসমাঈল হোসাইন, হাফিজ ক্বারী মো. আব্দাল হোসাইন, হাফিজ ক্বারী ফরহাদ আহমদ, ক্বারী আলিম উদ্দিনকে সনদসহ বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

শাহ জালাল জামে মসজিদের ইমাম ও ইসলামী শিক্ষা কোর্সের প্রধান মওলানা মো. ইসমাঈল হোসাইন জানান, গ্রীষ্মকালীন স্কুল-কলেজের ছুটিতে শিশু কিশোরদের সপ্তাহে  ৫ দিন ইসলামী শিক্ষা প্রদান করা হলেও স্কুল চলাকালীন সময়ে প্রতি শনি ও রবিবার মসজিদে নিয়মিত শিশু- কিশোরদের ইসলামী শিক্ষা প্রদান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।