ঢাকা ০৮:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

মোদি আজ ঢাকায় আসছেন

আরিফুজ্জামান মামুন
  • আপডেট সময় : ০৩:১৭:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মার্চ ২০২১ ৭৪২ বার পড়া হয়েছে

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে যোগ দিতে দুদিনের সফরে আজ শুক্রবার ঢাকায় আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার সফর ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে পুরো ঢাকা শহর ও তার সম্ভাব্য গন্তব্য স্থানগুলো। সফরকালে বাংলাদেশের বড় দুটি মাইলফলক উদযাপনের উৎসবে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু কর্মসূচি রয়েছে ভারতীর প্রধানমন্ত্রীর।

নরেন্দ্র মোদির সফরে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হতে পারে। এর মধ্যে তিনটি সইয়ের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। এগুলো হলো সমুদ্রে মৎস্য আহরণের বিষয়ে সহযোগিতা, পরিবেশগত সুরক্ষায় সহযোগিতা এবং দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সহযোগিতা। এ ছাড়া সাংস্কৃতিক সহযোগিতাসহ আরও দুটি এমওইউ সই করার বিষয়ে কাজ চলছে।

তিস্তার পানি বণ্টনে চুক্তি বাংলাদেশের অগ্রাধিকার থাকলেও মোদির এবারের সফরে এ নিয়ে চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই সূত্র জানিয়েছে। আজ বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে নতুন একটি যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হওয়ার কথা। পশ্চিমবঙ্গের নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকা পর্যন্ত চলাচল করবে এই ট্রেন। ঢাকা থেকে সেই ট্রেনের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করতে পারেন দুই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি। ২৭ মার্চ নরেন্দ্র মোদি সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী মন্দিরে যাবেন। এর পর টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করবেন। পরে তিনি গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দিতে মতুয়া ধর্মমতের প্রবক্তা হরিচাঁদ ঠাকুরের বাড়িতেও যাবেন।

মোদির সফরকালে বাংলাদেশ-ভারত স্বাধীনতা সড়কের উদ্বোধন হবে। মুক্তিযুদ্ধকালে ১৭ এপ্রিল এ সড়ক দিয়ে কলকাতা থেকে মুজিবনগরে এসে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার শপথগ্রহণ করেছিল। মেহেরপুরের মুজিবনগর থেকে নদীয়া হয়ে কলকাতা পর্যন্ত গেছে এ সড়ক। এ ছাড়া আশুগঞ্জে একটি সমাধিসৌধ উদ্বোধন করা হবে। কুষ্টিয়ার শিলাইদহের কুটিবাড়িতে ভারতের অর্থায়নে যে সংস্কারকাজ হয়েছে; তারও উদ্বোধন করা হবে। বঙ্গবন্ধুকে গান্ধী শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করার পর তার একটা আনুষ্ঠানিকতা থাকবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে ১৮ দেশে যৌথভাবে কর্মসূচি উদযাপন করবে বাংলাদেশ ও ভারত। এ ১৮ দেশের নাম ও উদযাপনের কর্মসূচি ঘোষণা হবে।

সম্ভাব্য সূচি অনুযায়ী, নরেন্দ্র মোদি আজ বেলা ১১টায় ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন। বিমানবন্দর থেকে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে একাত্তরের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন মোদি। সেখান থেকে ফিরে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে উঠবেন তিনি। সফরকালে এই হোটেলেই অবস্থান করবেন। এর পর বিকাল সাড়ে ৪টায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেখানকার অনুষ্ঠান শেষে তিনি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে যাবেন। সেখানে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী মিলে বঙ্গবন্ধু-বাপু জাদুঘর উদ্বোধন করবেন।

আগামীকাল শনিবার সকালে হেলিকপ্টারযোগে সাতক্ষীরা যাবেন মোদি। এর পর টুঙ্গিপাড়া হয়ে ঢাকায় ফিরে বিকাল সাড়ে ৩টায় যাবেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি প্রথমে একান্তে আলাপ করবেন। এর পর বসবেন দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে। বৈঠক শেষে বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন ও সমঝোতা স্মারক সই হবে। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হবেন নরেন্দ্র মোদি। সন্ধ্যায় দেশের উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি।

সুত্র,দৈনিক আমাদের সময় ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মোদি আজ ঢাকায় আসছেন

আপডেট সময় : ০৩:১৭:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মার্চ ২০২১

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে যোগ দিতে দুদিনের সফরে আজ শুক্রবার ঢাকায় আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার সফর ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে পুরো ঢাকা শহর ও তার সম্ভাব্য গন্তব্য স্থানগুলো। সফরকালে বাংলাদেশের বড় দুটি মাইলফলক উদযাপনের উৎসবে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু কর্মসূচি রয়েছে ভারতীর প্রধানমন্ত্রীর।

নরেন্দ্র মোদির সফরে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হতে পারে। এর মধ্যে তিনটি সইয়ের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। এগুলো হলো সমুদ্রে মৎস্য আহরণের বিষয়ে সহযোগিতা, পরিবেশগত সুরক্ষায় সহযোগিতা এবং দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সহযোগিতা। এ ছাড়া সাংস্কৃতিক সহযোগিতাসহ আরও দুটি এমওইউ সই করার বিষয়ে কাজ চলছে।

তিস্তার পানি বণ্টনে চুক্তি বাংলাদেশের অগ্রাধিকার থাকলেও মোদির এবারের সফরে এ নিয়ে চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই সূত্র জানিয়েছে। আজ বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে নতুন একটি যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হওয়ার কথা। পশ্চিমবঙ্গের নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকা পর্যন্ত চলাচল করবে এই ট্রেন। ঢাকা থেকে সেই ট্রেনের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করতে পারেন দুই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি। ২৭ মার্চ নরেন্দ্র মোদি সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী মন্দিরে যাবেন। এর পর টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করবেন। পরে তিনি গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দিতে মতুয়া ধর্মমতের প্রবক্তা হরিচাঁদ ঠাকুরের বাড়িতেও যাবেন।

মোদির সফরকালে বাংলাদেশ-ভারত স্বাধীনতা সড়কের উদ্বোধন হবে। মুক্তিযুদ্ধকালে ১৭ এপ্রিল এ সড়ক দিয়ে কলকাতা থেকে মুজিবনগরে এসে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার শপথগ্রহণ করেছিল। মেহেরপুরের মুজিবনগর থেকে নদীয়া হয়ে কলকাতা পর্যন্ত গেছে এ সড়ক। এ ছাড়া আশুগঞ্জে একটি সমাধিসৌধ উদ্বোধন করা হবে। কুষ্টিয়ার শিলাইদহের কুটিবাড়িতে ভারতের অর্থায়নে যে সংস্কারকাজ হয়েছে; তারও উদ্বোধন করা হবে। বঙ্গবন্ধুকে গান্ধী শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করার পর তার একটা আনুষ্ঠানিকতা থাকবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে ১৮ দেশে যৌথভাবে কর্মসূচি উদযাপন করবে বাংলাদেশ ও ভারত। এ ১৮ দেশের নাম ও উদযাপনের কর্মসূচি ঘোষণা হবে।

সম্ভাব্য সূচি অনুযায়ী, নরেন্দ্র মোদি আজ বেলা ১১টায় ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন। বিমানবন্দর থেকে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে একাত্তরের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন মোদি। সেখান থেকে ফিরে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে উঠবেন তিনি। সফরকালে এই হোটেলেই অবস্থান করবেন। এর পর বিকাল সাড়ে ৪টায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেখানকার অনুষ্ঠান শেষে তিনি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে যাবেন। সেখানে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী মিলে বঙ্গবন্ধু-বাপু জাদুঘর উদ্বোধন করবেন।

আগামীকাল শনিবার সকালে হেলিকপ্টারযোগে সাতক্ষীরা যাবেন মোদি। এর পর টুঙ্গিপাড়া হয়ে ঢাকায় ফিরে বিকাল সাড়ে ৩টায় যাবেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি প্রথমে একান্তে আলাপ করবেন। এর পর বসবেন দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে। বৈঠক শেষে বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন ও সমঝোতা স্মারক সই হবে। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হবেন নরেন্দ্র মোদি। সন্ধ্যায় দেশের উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি।

সুত্র,দৈনিক আমাদের সময় ।