ঢাকা ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ম’ক্কার ই’মামকে আক্রমণ থেকে রক্ষাকারী পু’লিশ কর্মক’র্তাকে ‘হিরো’ উপাধি

জনপ্রিয় অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৭:২৩:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মে ২০২১ ৬৬৫ বার পড়া হয়েছে

ম’ক্কার গ্র্যান্ড ম’সজিদে একজন ই’মামের উপর হা’মলা চালানোর চেষ্টা ব্যর্থ করায় একজন সাহসী সৌদি পু’লিশ কর্মক’র্তাকে “নায়ক” বলে সম্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার সরাসরি টেলিভিশনের পর্দায় দেখা যায় সৌদি আরবের অন্যতম পবিত্র ম’সজিদে ই’মামের উপরে হা’মলার চেষ্টা থামানো হয়েছিল। পরে ঘটনাটি ত’দন্তকারী পু’লিশ প্রকাশ করেছে যে হা’মলাকারী ই’মাম “মাহদী (মশীহের অ’পেক্ষায়)” বলে দাবি করেছে।

নিরাপত্তা কর্মক’র্তা মোহাম্ম’দ আল-জহরানী, ই’মামকে আক্রমণ করার সময় তাকে বাধা দিয়েতে সক্ষম হয়েছিল। এবং আক্রমণকারীকে অন্যান্য কর্মক’র্তাদের সহায়তায় ম’সজিদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

আল-জহরানিকে একজন “নায়ক” হিসাবে অ’ভিহিত করা হয়েছে এবং সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে তার প্রচেষ্টার জন্য সৌদিরা তাকে ধন্যবাদ জানায়।

একটি ব্যক্তি গ্র্যান্ড ম’সজিদে ওম’রাহ পালন করতে (ইহরাম) সাদা কাপড় পরিহিত ছিল। লাইভ টেলিভিশনে দেখা গেছে যখন গ্র্যান্ড ম’সজিদের অন্যতম ই’মাম শেখ বন্দর বলিলাহ জুমা’র খুতবা প্রদান করেছিলেন। ঠিক সেই সময় ব্যক্তিটি হা’মলা করতে দৌড়িয়ে আসে।

ম’ক্কা পু’লিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, আল-জহরানির হেফাজতে রাখার আগে তার পদক্ষেপের পরে তাকে নিরাপত্তা কর্মক’র্তারা আ’ট’ক করেছিলেন।

প্রকাশিত ঘটনা সত্ত্বেও ই’মাম শেখ বলিলাহ তার খুদবা পড়া অব্যাহত রেখেছিলেন। আল-ওয়াতান পত্রিকা অনুসারে পু’লিশের প্রাথমিক ত’দন্তে জানা গেছে যে অ’প’রাধী একজন ৪০ বছর বয়সী সৌদি নাগরিক ছিলেন।

গত মা’র্চ মাসে, ছু’রি চালিয়ে এক ব্যক্তি চরমপন্থী স্লোগান দিয়ে নামাজরত মু’সল্লিদের মাঝে হাঁটাচলা করে এবং একটি চেয়ারে আ’ঘাত করে ঘটনাস্থলের মু’সল্লি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর প্রচেষ্টায় তাকে গ্রে’প্তার করা হয়।

এযাবৎ বেশ কয়েকজন লোক নিজেকে ইস’লামের মুক্তিদাতা” ই’মাম মেহেদী বলে দাবি করেছে।

সর্বাধিক হাই-প্রোফাইল ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৭৯ সালে, যখন জুহায়মান আল-ওতাইবি ও তাঁর ভগ্নিপতি মোহাম্ম’দ আল-কাহতানি, যিনি মাহদী হিসাবে দাবী করেছিলেন, কয়েকশ হাজী গ্র্যান্ড ম’সজিদে জি’ম্মি করে নিয়ে যায়, যার ফলে এক সপ্তাহব্যাপী অবরোধের সৃষ্টি হয়েছিল।

অবরোধটি ভেঙে দেওয়ার জন্য একটি পূর্ণ মাত্রার আক্রমণ শুরু হয়েছিল, যার ফলে তথাকথিত মশীহ এবং তার শত শত অনুসারীর মৃ’ত্যু হয়েছিল। জুহায়মানকে গ্রে’প্তার করা হয়েছিল এবং পরে তার অ’প’রাধের জন্য মৃ’ত্যুদ’ন্ড কার্যকর করা হয়েছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ম’ক্কার ই’মামকে আক্রমণ থেকে রক্ষাকারী পু’লিশ কর্মক’র্তাকে ‘হিরো’ উপাধি

আপডেট সময় : ০৭:২৩:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মে ২০২১

ম’ক্কার গ্র্যান্ড ম’সজিদে একজন ই’মামের উপর হা’মলা চালানোর চেষ্টা ব্যর্থ করায় একজন সাহসী সৌদি পু’লিশ কর্মক’র্তাকে “নায়ক” বলে সম্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার সরাসরি টেলিভিশনের পর্দায় দেখা যায় সৌদি আরবের অন্যতম পবিত্র ম’সজিদে ই’মামের উপরে হা’মলার চেষ্টা থামানো হয়েছিল। পরে ঘটনাটি ত’দন্তকারী পু’লিশ প্রকাশ করেছে যে হা’মলাকারী ই’মাম “মাহদী (মশীহের অ’পেক্ষায়)” বলে দাবি করেছে।

নিরাপত্তা কর্মক’র্তা মোহাম্ম’দ আল-জহরানী, ই’মামকে আক্রমণ করার সময় তাকে বাধা দিয়েতে সক্ষম হয়েছিল। এবং আক্রমণকারীকে অন্যান্য কর্মক’র্তাদের সহায়তায় ম’সজিদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

আল-জহরানিকে একজন “নায়ক” হিসাবে অ’ভিহিত করা হয়েছে এবং সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে তার প্রচেষ্টার জন্য সৌদিরা তাকে ধন্যবাদ জানায়।

একটি ব্যক্তি গ্র্যান্ড ম’সজিদে ওম’রাহ পালন করতে (ইহরাম) সাদা কাপড় পরিহিত ছিল। লাইভ টেলিভিশনে দেখা গেছে যখন গ্র্যান্ড ম’সজিদের অন্যতম ই’মাম শেখ বন্দর বলিলাহ জুমা’র খুতবা প্রদান করেছিলেন। ঠিক সেই সময় ব্যক্তিটি হা’মলা করতে দৌড়িয়ে আসে।

ম’ক্কা পু’লিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, আল-জহরানির হেফাজতে রাখার আগে তার পদক্ষেপের পরে তাকে নিরাপত্তা কর্মক’র্তারা আ’ট’ক করেছিলেন।

প্রকাশিত ঘটনা সত্ত্বেও ই’মাম শেখ বলিলাহ তার খুদবা পড়া অব্যাহত রেখেছিলেন। আল-ওয়াতান পত্রিকা অনুসারে পু’লিশের প্রাথমিক ত’দন্তে জানা গেছে যে অ’প’রাধী একজন ৪০ বছর বয়সী সৌদি নাগরিক ছিলেন।

গত মা’র্চ মাসে, ছু’রি চালিয়ে এক ব্যক্তি চরমপন্থী স্লোগান দিয়ে নামাজরত মু’সল্লিদের মাঝে হাঁটাচলা করে এবং একটি চেয়ারে আ’ঘাত করে ঘটনাস্থলের মু’সল্লি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর প্রচেষ্টায় তাকে গ্রে’প্তার করা হয়।

এযাবৎ বেশ কয়েকজন লোক নিজেকে ইস’লামের মুক্তিদাতা” ই’মাম মেহেদী বলে দাবি করেছে।

সর্বাধিক হাই-প্রোফাইল ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৭৯ সালে, যখন জুহায়মান আল-ওতাইবি ও তাঁর ভগ্নিপতি মোহাম্ম’দ আল-কাহতানি, যিনি মাহদী হিসাবে দাবী করেছিলেন, কয়েকশ হাজী গ্র্যান্ড ম’সজিদে জি’ম্মি করে নিয়ে যায়, যার ফলে এক সপ্তাহব্যাপী অবরোধের সৃষ্টি হয়েছিল।

অবরোধটি ভেঙে দেওয়ার জন্য একটি পূর্ণ মাত্রার আক্রমণ শুরু হয়েছিল, যার ফলে তথাকথিত মশীহ এবং তার শত শত অনুসারীর মৃ’ত্যু হয়েছিল। জুহায়মানকে গ্রে’প্তার করা হয়েছিল এবং পরে তার অ’প’রাধের জন্য মৃ’ত্যুদ’ন্ড কার্যকর করা হয়েছিল।