ঢাকা ১২:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
হবিগঞ্জ জেলা এসোসিয়েশন ইন স্পেনের আংশিক কমিটি ঘোষণা বার্সেলোনায় বাংলা স্কুলের উদ্যোগে বিজয় দিবস ও পিঠা মেলার আয়োজন মাদ্রিদে স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের সভা অনুষ্ঠিত স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের সাথে নর্থ ইংল্যান্ড জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় বার্সেলোনায় সিক্স এ সাইড ফুটবল টুর্নামেন্টের সমাপনী খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত বার্সেলোনায় বিয়ানীবাজার সরকারী কলেজের প্রাক্তন ছাত্রদের মিলন মেলা ও নৈশভোজ বার্সেলোনায় ব্যপক আনন্দ-উৎসবে দুর্গাপূজা উদযাপিত সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের মুক্তির দাবীতে স্পেনে প্রতিবাদ সভা কাতালোনিয়া বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত মাদ্রিদে শাহজালাল লতিফিয়া মসজিদের ফলাফল ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন

শামীমার দেশে ফেরার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানালো যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট

জনপ্রিয় অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৫:০৫:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ১১৩২ বার পড়া হয়েছে

জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস-এ যোগ দেওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক শামীমা বেগম সিরিয়া থেকে যুক্তরাজ্যে ফিরতে পারবেন কিনা সে ব্যাপারে রায় দিয়েছেন ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্ট। রায়ে আদালত জানিয়েছেন, তাকে দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া ঠিক হবে না। কারণ, সে নিজেই নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এর আগে যুক্তরাজ্যের আপিল আদালত জানিয়েছিল, দেশে ফেরার ব্যাপারে শামীমা আপিল করতে পারবেন। তবে শুক্রবার এ বিষয়েও নির্দেশনা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। রায়ে বলা হয়েছে, শামীমা এখনও আইনজীবীদের মাধ্যমে তার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে ওই আবেদনের দোহাই দিয়ে তিনি যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবেন না।

ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলছে, আইএসের সঙ্গে যুক্ত হওয়া ব্যক্তিরা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। আদালতে গোয়েন্দাদের এমন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে রাষ্ট্রপক্ষ।

২০১৫ সালে লন্ডন থেকে পালিয়ে সিরিয়ায় আইএসে যোগ দেওয়া তিন স্কুল শিক্ষার্থীর একজন ২১ বছর বয়সী শামীমা। ওই সময় তার বয়স ছিল ১৫ বছর। জিহাদিদের বিয়ে করে সন্তানকে যুদ্ধে পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের। আইএসে যোগদানকারী এক ডাচ নাগরিকের সঙ্গে শামীমার বিয়ে হয়। তার স্বামী পরে সিরীয় সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। এরপর পালিয়ে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয় শামীমা। ২০১৯ সালে শরণার্থী শিবিরেই তার সন্ধান মেলে। এরপর যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিরাপত্তা ইস্যুতে শামীমার নাগরিকত্ব বাতিল করে।

পরে ব্রিটিশ আপিল আদালতের এক রায়ে বলা হয়, শামীমা সুষ্ঠু শুনানি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। কারণ, শরণার্থী শিবির থেকে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়া সম্ভব না। তিনি যেন দেশে ফিরে আইনি লড়াই চালাতে পারেন তার সুযোগ সরকারকেই করে দিতে হবে বলে উল্লেখ করেছিল আপিল আদালত। যুক্তরাজ্যের সরকার পরে সুপ্রিম কোর্টকে আপিল আদালতের ওই রায় পুনর্বিবেচনা করতে বলে। শেষ পর্যন্ত সরকারের অনুরোধ রাখলো সর্বোচ্চ আদালত। সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

শামীমার দেশে ফেরার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানালো যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট

আপডেট সময় : ০৫:০৫:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১

জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস-এ যোগ দেওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক শামীমা বেগম সিরিয়া থেকে যুক্তরাজ্যে ফিরতে পারবেন কিনা সে ব্যাপারে রায় দিয়েছেন ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্ট। রায়ে আদালত জানিয়েছেন, তাকে দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া ঠিক হবে না। কারণ, সে নিজেই নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এর আগে যুক্তরাজ্যের আপিল আদালত জানিয়েছিল, দেশে ফেরার ব্যাপারে শামীমা আপিল করতে পারবেন। তবে শুক্রবার এ বিষয়েও নির্দেশনা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। রায়ে বলা হয়েছে, শামীমা এখনও আইনজীবীদের মাধ্যমে তার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে ওই আবেদনের দোহাই দিয়ে তিনি যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবেন না।

ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলছে, আইএসের সঙ্গে যুক্ত হওয়া ব্যক্তিরা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। আদালতে গোয়েন্দাদের এমন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে রাষ্ট্রপক্ষ।

২০১৫ সালে লন্ডন থেকে পালিয়ে সিরিয়ায় আইএসে যোগ দেওয়া তিন স্কুল শিক্ষার্থীর একজন ২১ বছর বয়সী শামীমা। ওই সময় তার বয়স ছিল ১৫ বছর। জিহাদিদের বিয়ে করে সন্তানকে যুদ্ধে পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের। আইএসে যোগদানকারী এক ডাচ নাগরিকের সঙ্গে শামীমার বিয়ে হয়। তার স্বামী পরে সিরীয় সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। এরপর পালিয়ে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয় শামীমা। ২০১৯ সালে শরণার্থী শিবিরেই তার সন্ধান মেলে। এরপর যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিরাপত্তা ইস্যুতে শামীমার নাগরিকত্ব বাতিল করে।

পরে ব্রিটিশ আপিল আদালতের এক রায়ে বলা হয়, শামীমা সুষ্ঠু শুনানি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। কারণ, শরণার্থী শিবির থেকে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়া সম্ভব না। তিনি যেন দেশে ফিরে আইনি লড়াই চালাতে পারেন তার সুযোগ সরকারকেই করে দিতে হবে বলে উল্লেখ করেছিল আপিল আদালত। যুক্তরাজ্যের সরকার পরে সুপ্রিম কোর্টকে আপিল আদালতের ওই রায় পুনর্বিবেচনা করতে বলে। শেষ পর্যন্ত সরকারের অনুরোধ রাখলো সর্বোচ্চ আদালত। সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি।