ফাইজারের টিকা ৯৪ শতাংশ কার্যকর: আন্তর্জাতিক জরিপ
- আপডেট সময় : ০৯:২৯:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ১০৭৬ বার পড়া হয়েছে
ফাইজার-বায়োএনটেকের আরএনএ ভ্যাকসিন ৯৪ শতাংশ কার্যকর বলে এক আন্তর্জাতিক জরিপে দাবি করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন ও টিকাগ্রহণকারীদের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে এই জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এখবর জানিয়েছে।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রজেনেকার টিকার আগেই ফাইজারের টিকার বিতরণ শুরু হয় ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রে। এরপরে দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, ইসরায়েলসহ বিশ্বের অনেক দেশেই টিকা দিচ্ছে ফাইজার। ইসরায়েল সম্প্রতি জানিয়েছে, তাদের দেশে ফাইজারের টিকা ভালোই কার্যকর হচ্ছে। টিকার ডোজে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। বরং দেশের একটা বড় অংশের মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে উঠছে। হার্ড ইমিউনিটির পথে যাচ্ছে ইসরায়েল।
জার্মান বায়োটেকনোলজি ফার্ম বায়োএনটেক এসই-র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কোভিড ভ্যাকসিন বানিয়েছে ফাইজার। এই আরএনএ ভ্যাকসিন দেহকোষকে ভাইরাল প্রোটিন তৈরিতে বাধ্য করে যাতে তার প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি শরীরেই তৈরি হয়ে যায়। এই আরএনএ ভ্যাকসিন ক্যানডিডেটের নাম বিএনটিওয়ানসিক্সটু।
গত মে মাস থেকেই টিকার ট্রায়াল শুরু করেছিল ফাইজার ও বায়োএনটেক। প্রথম দুই পর্বে অল্প সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবকের উপর টিকার ডোজও কার্যকরী হয়েছিল বলে দাবি করেছিল ফাইজার। তৃতীয় পর্বে ৪৩ হাজার জনকে টিকার ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ১৭৩ জন করোনা রোগীও ছিলেন। এই ট্রায়ালের ফল সামনে এনে ফাইজার দাবি করে, টিকা টিকা ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই কার্যকরী হয়েছে। টিকার ডোজে বি-কোষ থেকে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে রক্তে যা অ্যান্টিবডি বেসড ইমিউন রেসপন্স বা অ্যাডাপটিভ ইমিউন রেসপন্স তৈরি করছে। একই সঙ্গে সক্রিয় টি-কোষও।
বিশ্বে প্রায় ৬ লাখ মানুষ ফাইজারের টিকা নিয়েছেন। তবে এই টিকার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছে। ব্রিটেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, শরীরে অ্যালার্জি বা পরিবারে অ্যালার্জির ইতিহাস থাকলে ফাইজারের টিকা নেওয়া যাবে না। কারণ টিকার ডোজে কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মীর তীব্র অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। আবার নরওয়েতে ফাইজারের টিকা নেওয়ার পরে ২৩ জন প্রবীণ ব্যক্তির মৃত্যুর খবরও শোনা গেছে। যদিও ফাইজার দাবি করেছিল, টিকার ডোজে মৃত্যু হয়নি। আগে থেকেই কোনও রোগ বা কো-মর্বিডিটি ছিল যে কারণে মৃত্যু হয়েছে। ভারতেও জরুরি ভিত্তিতে টিকা দেওয়ার আবেদন করেছিল ফাইজার, তবে অনুমতি না মেলায় সে আবেদনপত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে।