ঢাকা ০৯:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

মাদ্রিদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস উদযাপন

জনপ্রিয় অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৩:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মার্চ ২০২১ ৭৭৭ বার পড়া হয়েছে

 বিজ্ঞপ্তি : একটি ভাষণ কীভাবে গোটা জাতিকে জাগিয়ে তুলে স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করতে পারে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করার আহবানের অধীর অপেক্ষায় ছিল বাঙালি জাতি। ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক এদিনে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সেই অপেক্ষার অবসান ঘটায়। ঐতিহাসিক এদিনটি মাদ্রিদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপন করে।

দূতাবাস প্রাঙ্গনে স্থানীয় সময় সকাল ৮.৩০ ঘটিকায় দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের উপস্থিতিতে দূতাবাসের কাউন্সেলর ও চার্জদ্য’ অ্যাফেয়ার্স এটিএম আব্দুর রউফ মন্ডল জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। আলোচনা সভায় দূতাবাসের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) তাহসিনা আফরিন শারমিন এর সঞ্চালনায় মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহিদের এবং বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহিদ সকল সদস্যের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। ৭ মার্চ ২০২১ উপলক্ষে প্রদত্ত মহামান্য রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন কমার্শিয়াল কাউন্সেলর রেদোয়ান আহমেদ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মুতাসিমুল ইসলাম ।

কাউন্সেলর ও চার্জদ্য’ অ্যাফেয়ার্স জনাব এটিএম আব্দুর রউফ মন্ডল তাঁর বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে উল্লেখ করেন ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চের ভাষণ ছিল বাঙ্গালী জাতির মুক্তি সংগ্রামের ডাক যা সমগ্র বাঙ্গালী জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিল।

দূতাবাসের বিদায়ী চার্জদ্য’ অ্যাফেয়ার্স হারুন আল রশিদ এ ভাষণের উপর আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, ভাষণের প্রেক্ষাপট, পরিবেশ, ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সারা জাতির সাথে সংযোগস্থাপন, আর এ ভাষণের অর্জন ইত্যাদির নিরিখে বিচার করলে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণটি অদ্যবধি পৃথিবীর ইতিহাসে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজিৈনতক বক্তৃতা, তাতে কোনো সন্দেহ নাই। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারিদের নাম ও স্মৃতি পৃথিবী থেকে মুছে গেছে, কিন্তু বঙ্গবন্ধু শারীরিকভাবে আমাদের মাঝে উপস্থিত না থেকেও তিনি আজ আমাদের কাছে অনেক বেশি জীবন্ত।

এ অনুষ্ঠানে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। স্পেন সরকার কর্তৃক প্রদত্ত যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দিবসটি উদ্যাপন করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মাদ্রিদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস উদযাপন

আপডেট সময় : ০৮:৩৩:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মার্চ ২০২১

 বিজ্ঞপ্তি : একটি ভাষণ কীভাবে গোটা জাতিকে জাগিয়ে তুলে স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করতে পারে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করার আহবানের অধীর অপেক্ষায় ছিল বাঙালি জাতি। ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক এদিনে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সেই অপেক্ষার অবসান ঘটায়। ঐতিহাসিক এদিনটি মাদ্রিদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপন করে।

দূতাবাস প্রাঙ্গনে স্থানীয় সময় সকাল ৮.৩০ ঘটিকায় দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের উপস্থিতিতে দূতাবাসের কাউন্সেলর ও চার্জদ্য’ অ্যাফেয়ার্স এটিএম আব্দুর রউফ মন্ডল জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। আলোচনা সভায় দূতাবাসের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) তাহসিনা আফরিন শারমিন এর সঞ্চালনায় মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহিদের এবং বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহিদ সকল সদস্যের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। ৭ মার্চ ২০২১ উপলক্ষে প্রদত্ত মহামান্য রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন কমার্শিয়াল কাউন্সেলর রেদোয়ান আহমেদ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মুতাসিমুল ইসলাম ।

কাউন্সেলর ও চার্জদ্য’ অ্যাফেয়ার্স জনাব এটিএম আব্দুর রউফ মন্ডল তাঁর বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে উল্লেখ করেন ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চের ভাষণ ছিল বাঙ্গালী জাতির মুক্তি সংগ্রামের ডাক যা সমগ্র বাঙ্গালী জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিল।

দূতাবাসের বিদায়ী চার্জদ্য’ অ্যাফেয়ার্স হারুন আল রশিদ এ ভাষণের উপর আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, ভাষণের প্রেক্ষাপট, পরিবেশ, ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সারা জাতির সাথে সংযোগস্থাপন, আর এ ভাষণের অর্জন ইত্যাদির নিরিখে বিচার করলে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণটি অদ্যবধি পৃথিবীর ইতিহাসে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজিৈনতক বক্তৃতা, তাতে কোনো সন্দেহ নাই। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারিদের নাম ও স্মৃতি পৃথিবী থেকে মুছে গেছে, কিন্তু বঙ্গবন্ধু শারীরিকভাবে আমাদের মাঝে উপস্থিত না থেকেও তিনি আজ আমাদের কাছে অনেক বেশি জীবন্ত।

এ অনুষ্ঠানে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। স্পেন সরকার কর্তৃক প্রদত্ত যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দিবসটি উদ্যাপন করা হয়।