ঢাকা ০৯:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

খালেদা জিয়ার কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় শুনানি পেছাল

জনপ্রিয় অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৯:৫১:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ অগাস্ট ২০২১ ৫৭০ বার পড়া হয়েছে

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৯ আসামির বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় চার্জগঠনের শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকার ২ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ এইচ এম রুহুল ইমরান আসামিপক্ষের সময় আবেদন মঞ্জুর করে এ তারিখ ঠিক করেন।

এদিন মামলাটি চার্জ শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে সুস্থ না থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এ জন্য তার পক্ষে সময় আবেদন করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। শুনানি শেষে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর পরবর্তী চার্জ শুনানির নতুন তারিখ ঠিক করেন।

মামলায় মোট আসামি ছিল ১৬ জন। জামায়াতে ইসলামীর নেতা নিজামী ও মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় এবং বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নান ভূইয়া এবং সাইফুর রহমান, এমকে আনোয়ার, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন ও এম শামসুল ইসলাম মারা যাওয়ায় বর্তমানে আসামি ৮ জন।

মামলার অপর ৭ আসামি হলেন এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এসআর ওসমানী, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মইনুল আহসান, বড় পুকুরিয়া কয়লাখনি ব্যবস্থাপনার নিয়জিত ঠিকাদর সুজু কোল মাইনিং গ্রুপ কনসোটিয়ামের পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।

মামলায় জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদ, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারে সময় ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম।

কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনকে (সিএমসি) বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। পরে এ মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে রিট করলে ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে। পরে ২০১৫ সালে হাইকোর্ট স্থগিত আদেশ প্রত্যাহার করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

খালেদা জিয়ার কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় শুনানি পেছাল

আপডেট সময় : ০৯:৫১:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ অগাস্ট ২০২১

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৯ আসামির বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় চার্জগঠনের শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকার ২ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ এইচ এম রুহুল ইমরান আসামিপক্ষের সময় আবেদন মঞ্জুর করে এ তারিখ ঠিক করেন।

এদিন মামলাটি চার্জ শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে সুস্থ না থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এ জন্য তার পক্ষে সময় আবেদন করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। শুনানি শেষে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর পরবর্তী চার্জ শুনানির নতুন তারিখ ঠিক করেন।

মামলায় মোট আসামি ছিল ১৬ জন। জামায়াতে ইসলামীর নেতা নিজামী ও মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় এবং বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নান ভূইয়া এবং সাইফুর রহমান, এমকে আনোয়ার, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন ও এম শামসুল ইসলাম মারা যাওয়ায় বর্তমানে আসামি ৮ জন।

মামলার অপর ৭ আসামি হলেন এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এসআর ওসমানী, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মইনুল আহসান, বড় পুকুরিয়া কয়লাখনি ব্যবস্থাপনার নিয়জিত ঠিকাদর সুজু কোল মাইনিং গ্রুপ কনসোটিয়ামের পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।

মামলায় জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদ, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারে সময় ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম।

কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনকে (সিএমসি) বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। পরে এ মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে রিট করলে ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে। পরে ২০১৫ সালে হাইকোর্ট স্থগিত আদেশ প্রত্যাহার করে।