নাইকো দুর্নীতি মামলায় বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আবেদন করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ মে) খালেদা জিয়ার পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
তিনি বলেন, “গত ১৯ মার্চ ঢাকার একটি আদালত এ মামলায় চার্জ গঠন করেন। ওই চার্জ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে আবেদন করেছি। এখন যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে শুনানি হবে”।
উল্লেখ্য, গত ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৯–এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান।
এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৩ মে দিন ধার্য করা আছে।
বিচার শুরু হওয়া এ মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন-তৎকালীন মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউসুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ব্যবসায়ী সেলিম ভূঁইয়া এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ৷
অভিযুক্তদের মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার নামে মামলা করে দুদক।
তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়।