সুফিয়ান আহমদ,বিয়ানীবাজার প্রতিনিধিঃ বিয়ানীবাজার উপজেলার
১০টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হিসেবে একদিনের জন্য “সাংবাদিক” সেজেছেন প্রায় শ’খানিক ভুয়া সাংবাদিক। এদের সাংবাদিকতা বিষয়ে নেই যেমন পরিচিতি
তেমনি নেই রিপোর্ট তৈরীর কোন ধারণা। তবে নির্বাচন আসলেই মনে হয় যেন ওরাই বিয়ানীবাজারে
সাংবাদিকদের হর্তাকর্তা। অবস্থা দৃষ্টে মনে হয়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার যেন
কেউ নেই।
এদিকে ইউনিনয় নির্বাচন উপলক্ষ্যে বিয়ানীবাজারে আজ চাঁখে
পড়বে অসংখ্য ভুয়া সাংবাদিকের আনাগোনা। গলায় সাংবাদিকের কার্ড ঝুলিয়ে দ্বিব্বী ঘুরে
বেড়াবে তারা। কতিপয় পত্রিকা ও অনলাইন মাধ্যম এসব ভূয়া সাংবাদিককে পরিচয়পত্র প্রদান
করে নির্বাচন কমিশন থেকে পর্যবেক্ষন পাস নিয়ে আসার সংবাদ পাওয়া গেছে। এই তালিকায় আওয়ামীলীগ
নেতা থেকে শুরু করে দোকান শ্রমিক, বখাটে সন্ত্রাসী এমনকি দিনমজুরও রয়েছেন বলে জানা গেছে।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, শুধু বিয়ানীবাজারে
নির্বাচন পর্যবেক্ষন করার জন্য অর্ধশতাধিক সাংবাদিককে পাশ কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। জানা
গেছে, নির্বাচন কমিশনকে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপণ করে এসব পরিচয় পত্র আনা হয়েছে। বিয়ানীবাজারের
কয়েকজন সাংবাদিক জানান, স্বচ্ছতা বজায় রাখার স্বার্থে বিয়ানীবাজার থেকে স্থানীয় সাংবাদিকের
নামে পাশ এখান থেকে ইস্যুর জন্য বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অনুরোধ করা
হয়। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসে কথা বলে ব্যর্থ হন। তাই
শুক্রবার বিকেলে সিলেট জেলা নির্বাচন অফিস থেকে সাংবাদিকরা পরিচয়পত্র গ্রহণ করেন। বিয়ানীবাজারে
হাতেগুনা কয়েকজন সাংবাদিক কাজ করলেও এতো সাংবাদিক নির্বাচন পর্যবেক্ষন করবেন এমন খবরে
সর্বত্র আলোচনা শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, ভূয়া সাংবাদিকরা বিভিন্ন প্রার্থীর এজেন্ট হিসেবে
দায়িত্ব পালনের জন্যই অবৈধ পন্থা অবলম্বন করেছেন। এসব সাংবাদিকের কারণে প্রকৃত সাংবাদিকগণ
পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেকটা সমস্যার সম্মূখীন হওয়ার আশংকা করছেন।এবিষয়ে বিয়ানীবাজার
প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মোঃ জয়নুল ইসলাম বলেন, বিয়ানীবাজারে যারা সাংবাদিকতা
করেন তারা সবার কাছেই পরিচিত। কিন্তু আমাদের অগোছরে যারা কার্ড নিয়ে এসেছে,তারা মূলত
ভুয়া সাংবাদিক। তাদের বিরুদ্ধে মূলত ব্যবস্থা গ্রহন করবে প্রশাসন। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে
মনে হচ্ছে, প্রশাসন যেন তাদের কাছে অসহায়।এ ব্যাপারে জানতে বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিয়ানীবাজারে
সাংবাদিকতার সাথে কারা জড়িত তা আমাদের জানা আছে। এরপরও ভুয়া সাংবাদিকদেও কার্ড আনার
বিষয়টি আমার কানে ইতোমধ্যে পৌছেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিষয়টি অবহিত করা
হবে, যাতে বুয়া সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
Post A Comment:
0 comments: