ঢাকা ০৩:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বার্সেলোনায় বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের ইফতার সম্পন্ন বার্সেলোনায় কাপড়ের সমাহার নিয়ে “রোস প্যাটাল’স বাই তাইফা” প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন স্পেনে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন স্পেন বাংলা প্রেসক্লাব এর প্রথম সভা অনুষ্ঠিত বার্সেলোনায় স্বাধীনতা দিবস ক্রিকেট টুর্নামেন্ট সম্পন্ন অ্যাসোসিয়েশন কোলতুরাল উমানেতারিয়ার উদ্যোগে ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত স্পেনের হুয়ান কার্লোস ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন বন্ধুসূলভ মহিলা সংগঠন বার্সেলোনার আয়োজনে পিঠা উৎসব টেনেরিফে বাংলাদেশ দূতাবাসের কনস্যুলার সেবা প্রদান ইউরোপিয়ান বাংলা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন এর আত্মপ্রকাশ

হার্টে রিং পরানো হয়েছে খালেদা জিয়ার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:২০:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জুন ২০২২ ২৬০ বার পড়া হয়েছে

এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হার্টে ব্লক চিহ্নিত হওয়ায় সেখানে একটি রিং পরানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১১ জুন) দুপুরে এনজিওগ্রাম সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর বিকেলে গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘এনজিওগ্রাম করতে গিয়ে দেখা যায়, তার (বেগম খালেদা জিয়া) মেইন আর্টারিটায় ৯৯% ব্লক এবং সেটা চিকিৎসকরা সফলভাবে স্টেইট করেছেন, বেলুনিং করে ব্লক দূর করে সেখানে স্টেইন বসিয়েছেন। ডাক্তাররা অত্যন্ত আশাবাদী যে, এই টিট্রমেন্টের ফলে তিনি আপাতত হার্টের যে সমস্যা সেটা থেকে সাময়িকভাবে রিলিফড হবেন।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা বহুবার দেশনেত্রীর চিকিৎসার ব্যাপারে কথা বলেছি। দলের পক্ষ থেকে দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য আমরা আন্দোলন করেছি, তার পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে বাইরে পাঠানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে, তার পরিবারের সদস্যরা এক সময় আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখাও করেছেন। কিন্তু এই সরকার কোনো কর্ণপাত করেনি।’

‘আজকে তার এই অসুস্থতায় প্রমাণ হলো তাকে অবিলম্বে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে না পারলে তার জীবন হুমকির মুখে পড়বে এবং পড়েছে বার বার। আজ আপনাদের (গণমাধ্যম) সামনে, সিনিয়র নেতাদের সামনে আবারও সরকারকে আহ্বান জানাতে চাই, অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষার জন্য, তার স্বাস্থ্যের জন্য বাইরে চিকিৎসার ব্যবস্থা নিন। অন্যথায় সকল দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে। আমি আশা করি আপনাদের মাধ্যমে এই বার্তা তাদের (সরকার) কর্ণ কহুরে প্রবেশ করবে এবং তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে’— বলেন মির্জা ফখরুল।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে তিনি জানান, খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ড বলেছে যে, ম্যাডামের একটা মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। তারপরে উনার হাসপাতালে থাকতে থাকতে আরেকটা উপসর্গ এসে যায় সেটা হচ্ছে সাবোকেশন বা শ্বাস-কষ্ট। তখন বোর্ড অতিদ্রুত এনজিওগ্রামের সিদ্ধান্ত নেয়।

এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ম্যাডামের হার্টের অসুখ। এটা লাইফ থ্রেটনিং। এটা আজকে সাময়িকভাবে চিকিৎসকরা সমাধান দিতে সক্ষম হয়েছেন। তবে তার অন্যান্য যে রোগ রয়েছে সেটার চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয়, সেটা দেশের বাইরে উন্নত কেন্দ্রে নিয়ে করা দরকার। ডাক্তাররা আগেও বলেছেন, আজও যে মেডিকেল বোর্ড বসেছে তারাও বিদেশে উন্নত টিট্রমেন্টের জন্য পাঠানোর সাজেস্ট করেছেন।’

দলের চেয়ারপারসনকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে বিএনপি কী পদক্ষেপ নেবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন সরকারের কাছে আপনাদের মাধ্যমে আহ্বান জানিয়েছি। দল থেকে সিদ্ধান্ত এখনো নিইনি। অবশ্যই আমরা নেব। তবে এটা জনগণের দাবি, গোটা বাংলাদেশের মানুষের দাবি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জীবন রক্ষার জন্য বিদেশে পাঠানো হোক।’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

হার্টে রিং পরানো হয়েছে খালেদা জিয়ার

আপডেট সময় : ০৭:২০:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জুন ২০২২

এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হার্টে ব্লক চিহ্নিত হওয়ায় সেখানে একটি রিং পরানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১১ জুন) দুপুরে এনজিওগ্রাম সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর বিকেলে গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘এনজিওগ্রাম করতে গিয়ে দেখা যায়, তার (বেগম খালেদা জিয়া) মেইন আর্টারিটায় ৯৯% ব্লক এবং সেটা চিকিৎসকরা সফলভাবে স্টেইট করেছেন, বেলুনিং করে ব্লক দূর করে সেখানে স্টেইন বসিয়েছেন। ডাক্তাররা অত্যন্ত আশাবাদী যে, এই টিট্রমেন্টের ফলে তিনি আপাতত হার্টের যে সমস্যা সেটা থেকে সাময়িকভাবে রিলিফড হবেন।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা বহুবার দেশনেত্রীর চিকিৎসার ব্যাপারে কথা বলেছি। দলের পক্ষ থেকে দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য আমরা আন্দোলন করেছি, তার পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে বাইরে পাঠানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে, তার পরিবারের সদস্যরা এক সময় আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখাও করেছেন। কিন্তু এই সরকার কোনো কর্ণপাত করেনি।’

‘আজকে তার এই অসুস্থতায় প্রমাণ হলো তাকে অবিলম্বে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে না পারলে তার জীবন হুমকির মুখে পড়বে এবং পড়েছে বার বার। আজ আপনাদের (গণমাধ্যম) সামনে, সিনিয়র নেতাদের সামনে আবারও সরকারকে আহ্বান জানাতে চাই, অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষার জন্য, তার স্বাস্থ্যের জন্য বাইরে চিকিৎসার ব্যবস্থা নিন। অন্যথায় সকল দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে। আমি আশা করি আপনাদের মাধ্যমে এই বার্তা তাদের (সরকার) কর্ণ কহুরে প্রবেশ করবে এবং তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে’— বলেন মির্জা ফখরুল।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে তিনি জানান, খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ড বলেছে যে, ম্যাডামের একটা মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। তারপরে উনার হাসপাতালে থাকতে থাকতে আরেকটা উপসর্গ এসে যায় সেটা হচ্ছে সাবোকেশন বা শ্বাস-কষ্ট। তখন বোর্ড অতিদ্রুত এনজিওগ্রামের সিদ্ধান্ত নেয়।

এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ম্যাডামের হার্টের অসুখ। এটা লাইফ থ্রেটনিং। এটা আজকে সাময়িকভাবে চিকিৎসকরা সমাধান দিতে সক্ষম হয়েছেন। তবে তার অন্যান্য যে রোগ রয়েছে সেটার চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয়, সেটা দেশের বাইরে উন্নত কেন্দ্রে নিয়ে করা দরকার। ডাক্তাররা আগেও বলেছেন, আজও যে মেডিকেল বোর্ড বসেছে তারাও বিদেশে উন্নত টিট্রমেন্টের জন্য পাঠানোর সাজেস্ট করেছেন।’

দলের চেয়ারপারসনকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে বিএনপি কী পদক্ষেপ নেবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন সরকারের কাছে আপনাদের মাধ্যমে আহ্বান জানিয়েছি। দল থেকে সিদ্ধান্ত এখনো নিইনি। অবশ্যই আমরা নেব। তবে এটা জনগণের দাবি, গোটা বাংলাদেশের মানুষের দাবি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জীবন রক্ষার জন্য বিদেশে পাঠানো হোক।’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।