ঢাকা ০২:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মজলিসু দাওয়াতুল হক বার্সেলোনার আয়োজনে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত স্পেনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন বার্সেলোনায় বিশ্বনাথ আইডিয়াল অ্যাসোসিয়েশন আয়োজনে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বার্সেলোনায় বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের ইফতার সম্পন্ন বার্সেলোনায় কাপড়ের সমাহার নিয়ে “রোস প্যাটাল’স বাই তাইফা” প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন স্পেনে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন স্পেন বাংলা প্রেসক্লাব এর প্রথম সভা অনুষ্ঠিত বার্সেলোনায় স্বাধীনতা দিবস ক্রিকেট টুর্নামেন্ট সম্পন্ন অ্যাসোসিয়েশন কোলতুরাল উমানেতারিয়ার উদ্যোগে ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত স্পেনের হুয়ান কার্লোস ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

রাষ্ট্রদূত সারোয়ার মাহমুদ বার্সেলোনায় নির্মিত শহীদ স্মৃতি ফলক পরিদর্শন

জনপ্রিয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:৪০:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১ ৬৪৮ বার পড়া হয়েছে

ইউরোপের দেশ স্পেনের বিভিন্ন শহরে ১৯৮৫ সালের থেকে বাংলাদেশীরা বসবাস করে করে আসলেও ২০০০ সালের পর স্পেনে অভিবাসনের সুবিধা পান হাজারো বাংলাদেশী । সেই সুবাদে ২০০১ সালের মাদ্রিদ ও বার্সেলোনায় বাংলাদেশীদের কমিউনিটি বৃদ্ধি পেতে থাকে তারই ধারাবাহিকতায় প্রবাসে বাংলা সংস্কৃতিকে বিদেশীদের নিকট উপস্হাপন করা হয় । স্পেনিস জনসাধারন তথা অফিস আদালতে বাংলা সংস্কৃতিকে উপস্হাপন করতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের অনেক বেগ পোয়াতে হয় । বাংলা সংস্কৃতিকে স্পেনিসদের দার প্রান্তে পৌছে দিতে অনায়াসে কাজ করেছেন যিনি মানবতার কল্যানে সবসময় এগিয়ে আসেন কামরুল মোহাম্মদ । যার দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশা পুরনে ২০১৯ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বার্সেলোনা সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশী অধ্যুসিত স্থানীয় পেদ্র চত্বরে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি স্থায়ী শহীদ স্মৃতি ফলক নির্মাণ করা হয়। এর ফলে বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারির ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিরা স্থায়ী স্মৃতি ফলকের পাশাপশি একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপনের একটি নির্দিষ্ট জায়গাও পেয়েছেন। এই স্মৃতি ফলকে ‘প্রোগ্রামা দে মেমোরিয়াস, ২০১৯’ শিরোনামে সম্মুখ অংশে বাংলায় লিখিত আছে- ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১ ফেব্রুয়ারি, যা বাংলা ভাষার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির আন্দোলনের জন্য পরিচিত। নিচের অংশে শহীদ মিনারের প্রতিকৃতির ছবির নীচে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার বাংলাদেশ ১৯৫২ এবং বার্সেলোনা সিটি করপোরেশনের লোগো দেওয়া আছে। আর স্মৃতি ফলকের পেছনের অংশে লেখাগুলো কাতালান ভাষায় লিপিবদ্ধ করা আছে।

শহীদ স্মৃতি ফলক নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করার পর স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকার , বার্সেলোনায় নিযুক্ত অনারারি কাউন্সিলর রামন পেদ্রো বেরনাউস সহ স্হানীয় পৌর সভার শীর্ষস্হানীয় নেতৃবৃন্দ ১৯৫২ এর লোগো সম্মিলিত শহীদ স্মৃতি ফলক পরিদর্শন করেন ।

গত ৩ এবং ৪ জুলাই (শনিবার ও রবিবার) পর্যটন শহর বার্সেলোনায় ২দিনের কন্স্যুলার সেবা প্রদান শেষে যার অতিপরিশ্রমে নির্মিত কামরুল মোহাম্মদকে সাথে নিয়ে  স্পেনে নবনিযুক্ত বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ, দূতাবাসের মিশন উপ প্রধান  এটিএম আব্দুর রউফ মন্ডল একুশে চত্বরে  শহীদ স্মৃতি ফলক টি পরিদর্শন করেন। এসময় রাষ্ট্রদূত প্রবাসে বাংলাদেশে সুনাম উজ্জ্বল হয়েছে বলে বাংলাদেশীদের অভিন্দন জানান ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

রাষ্ট্রদূত সারোয়ার মাহমুদ বার্সেলোনায় নির্মিত শহীদ স্মৃতি ফলক পরিদর্শন

আপডেট সময় : ০৮:৪০:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১

ইউরোপের দেশ স্পেনের বিভিন্ন শহরে ১৯৮৫ সালের থেকে বাংলাদেশীরা বসবাস করে করে আসলেও ২০০০ সালের পর স্পেনে অভিবাসনের সুবিধা পান হাজারো বাংলাদেশী । সেই সুবাদে ২০০১ সালের মাদ্রিদ ও বার্সেলোনায় বাংলাদেশীদের কমিউনিটি বৃদ্ধি পেতে থাকে তারই ধারাবাহিকতায় প্রবাসে বাংলা সংস্কৃতিকে বিদেশীদের নিকট উপস্হাপন করা হয় । স্পেনিস জনসাধারন তথা অফিস আদালতে বাংলা সংস্কৃতিকে উপস্হাপন করতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের অনেক বেগ পোয়াতে হয় । বাংলা সংস্কৃতিকে স্পেনিসদের দার প্রান্তে পৌছে দিতে অনায়াসে কাজ করেছেন যিনি মানবতার কল্যানে সবসময় এগিয়ে আসেন কামরুল মোহাম্মদ । যার দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশা পুরনে ২০১৯ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বার্সেলোনা সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশী অধ্যুসিত স্থানীয় পেদ্র চত্বরে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি স্থায়ী শহীদ স্মৃতি ফলক নির্মাণ করা হয়। এর ফলে বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারির ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিরা স্থায়ী স্মৃতি ফলকের পাশাপশি একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপনের একটি নির্দিষ্ট জায়গাও পেয়েছেন। এই স্মৃতি ফলকে ‘প্রোগ্রামা দে মেমোরিয়াস, ২০১৯’ শিরোনামে সম্মুখ অংশে বাংলায় লিখিত আছে- ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১ ফেব্রুয়ারি, যা বাংলা ভাষার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির আন্দোলনের জন্য পরিচিত। নিচের অংশে শহীদ মিনারের প্রতিকৃতির ছবির নীচে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার বাংলাদেশ ১৯৫২ এবং বার্সেলোনা সিটি করপোরেশনের লোগো দেওয়া আছে। আর স্মৃতি ফলকের পেছনের অংশে লেখাগুলো কাতালান ভাষায় লিপিবদ্ধ করা আছে।

শহীদ স্মৃতি ফলক নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করার পর স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকার , বার্সেলোনায় নিযুক্ত অনারারি কাউন্সিলর রামন পেদ্রো বেরনাউস সহ স্হানীয় পৌর সভার শীর্ষস্হানীয় নেতৃবৃন্দ ১৯৫২ এর লোগো সম্মিলিত শহীদ স্মৃতি ফলক পরিদর্শন করেন ।

গত ৩ এবং ৪ জুলাই (শনিবার ও রবিবার) পর্যটন শহর বার্সেলোনায় ২দিনের কন্স্যুলার সেবা প্রদান শেষে যার অতিপরিশ্রমে নির্মিত কামরুল মোহাম্মদকে সাথে নিয়ে  স্পেনে নবনিযুক্ত বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ, দূতাবাসের মিশন উপ প্রধান  এটিএম আব্দুর রউফ মন্ডল একুশে চত্বরে  শহীদ স্মৃতি ফলক টি পরিদর্শন করেন। এসময় রাষ্ট্রদূত প্রবাসে বাংলাদেশে সুনাম উজ্জ্বল হয়েছে বলে বাংলাদেশীদের অভিন্দন জানান ।