ঢাকা ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

মুসলিম কিশোরীর বয়োসন্ধি হলেই বিয়ে করতে পারবে

জনপ্রিয় অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৭:২৭:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ৭০২ বার পড়া হয়েছে

বয়োঃসন্ধি পার হলেই ইচ্ছামতো বিয়ে করতে পারবেন মুসলিম মেয়েরা। অর্থাৎ ১৮ বছরের নিচে মুসলিম কিশোরীর বয়োঃসন্ধি হলেই বিয়ে করতে পারবে। বুধবার এই ঐতিহাসিক রায় দেয় ভারতের পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্ট। মুসলিম পার্সোনাল ল মেনে এই রায় দিয়েছেন বিচারপতি অলকা সারিন। পাঞ্জাবের এক মুসলিম দম্পতির আবেদনের ভিত্তিতে দেয়া হয় এই রায়। পাঞ্জাবের বাসিন্দা ওই দম্পতি নিজেদের আবেদনে হাইকোর্টে জানিয়েছেন, গত ২১ জানুয়ারি মুসলিম আইন অনুযায়ী তাদের বিয়ে হলেও তাতে মত ছিল না আত্মীয়স্বজনদের। ৩৬ বছরের ওই ব্যক্তি ও তার ১৭ বছরের স্ত্রী নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। নিজেদের সুরক্ষার আবেদন নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পাশাপাশি মোহালির এএসপি’র কাছেও গোটা বিষয়টি জানান তারা। তাদের দাবি, মেয়ের বয়স ১৫ এবং বয়োঃসন্ধি হলেই স্বেচ্ছার বিয়েতে বাধা দিতে পারেন না অভিভাবকেরা। রায়দানের সময় স্যার দীনশাহ ফারদুনজি মোল্লার প্রিন্সিপল অব মহামেডান ল নামে বইয়ের ১৯৫ ধারা উদ্ধৃত করেন বিচারপতি। ওই বইয়ে বয়োঃসন্ধির বয়স কী হবে, তা নিয়েও বিশদ ভাবে বলা হয়েছে। ওই বই অনুযায়ী, নির্দিষ্ট প্রমাণাভাবে ধরে নেয়া যেতে পারে যে, সাধারণত ১৫ বছরেই বয়োঃসন্ধিতে পৌঁছায় ছেলেমেয়েরা। অর্থাৎ সাধারণত ওই বয়সেই মেয়েদের ঋতুস্রাব হয়। বিচারপতি অলকা সারিনের পর্যবেক্ষণ, ‘ঋতুস্রাব হলেই নিজের পছন্দমতো ব্যক্তিকে বিয়ের যোগ্য সব মুসলিম মেয়ে।’ মোল্লার বইয়ের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, ‘ঋতুস্রাব হয়েছে এমন সুস্থ মস্তিষ্কের প্রত্যেক মুসলিম মেয়ে নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করতে পারবে। ঋতুস্রাব নয়, এমন অপ্রকৃতিস্থ এবং নাবালিকাদের ক্ষেত্রে অভিভাবকেরা তাদের বিয়ে দেয়ার অধিকারী হবেন। ঋতুস্রাব হওয়া সুস্থ মস্তিষ্কের মুসলিম মেয়েদের বিয়ে তাদের অনুমতি ব্যতীত হলে, তা অকার্যকর বলে গণ্য করা হবে’। আবেদনকারীদের পক্ষে রায় দিয়ে আদালত জানিয়েছে, এক্ষেত্রে প্রথম আবেদনকারী ওই ব্যক্তির বয়স ৩৬ বছরের বেশি এবং দ্বিতীয় আবেদনকারী ওই মেয়েটির বয়স ১৭-র বেশি হওয়ায় মুসলিম পার্সোনাল ল’ অনুযায়ী তাদের স্বেচ্ছায় বিয়েতে বাধা নেই। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মুসলিম কিশোরীর বয়োসন্ধি হলেই বিয়ে করতে পারবে

আপডেট সময় : ০৭:২৭:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১

বয়োঃসন্ধি পার হলেই ইচ্ছামতো বিয়ে করতে পারবেন মুসলিম মেয়েরা। অর্থাৎ ১৮ বছরের নিচে মুসলিম কিশোরীর বয়োঃসন্ধি হলেই বিয়ে করতে পারবে। বুধবার এই ঐতিহাসিক রায় দেয় ভারতের পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্ট। মুসলিম পার্সোনাল ল মেনে এই রায় দিয়েছেন বিচারপতি অলকা সারিন। পাঞ্জাবের এক মুসলিম দম্পতির আবেদনের ভিত্তিতে দেয়া হয় এই রায়। পাঞ্জাবের বাসিন্দা ওই দম্পতি নিজেদের আবেদনে হাইকোর্টে জানিয়েছেন, গত ২১ জানুয়ারি মুসলিম আইন অনুযায়ী তাদের বিয়ে হলেও তাতে মত ছিল না আত্মীয়স্বজনদের। ৩৬ বছরের ওই ব্যক্তি ও তার ১৭ বছরের স্ত্রী নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। নিজেদের সুরক্ষার আবেদন নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পাশাপাশি মোহালির এএসপি’র কাছেও গোটা বিষয়টি জানান তারা। তাদের দাবি, মেয়ের বয়স ১৫ এবং বয়োঃসন্ধি হলেই স্বেচ্ছার বিয়েতে বাধা দিতে পারেন না অভিভাবকেরা। রায়দানের সময় স্যার দীনশাহ ফারদুনজি মোল্লার প্রিন্সিপল অব মহামেডান ল নামে বইয়ের ১৯৫ ধারা উদ্ধৃত করেন বিচারপতি। ওই বইয়ে বয়োঃসন্ধির বয়স কী হবে, তা নিয়েও বিশদ ভাবে বলা হয়েছে। ওই বই অনুযায়ী, নির্দিষ্ট প্রমাণাভাবে ধরে নেয়া যেতে পারে যে, সাধারণত ১৫ বছরেই বয়োঃসন্ধিতে পৌঁছায় ছেলেমেয়েরা। অর্থাৎ সাধারণত ওই বয়সেই মেয়েদের ঋতুস্রাব হয়। বিচারপতি অলকা সারিনের পর্যবেক্ষণ, ‘ঋতুস্রাব হলেই নিজের পছন্দমতো ব্যক্তিকে বিয়ের যোগ্য সব মুসলিম মেয়ে।’ মোল্লার বইয়ের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, ‘ঋতুস্রাব হয়েছে এমন সুস্থ মস্তিষ্কের প্রত্যেক মুসলিম মেয়ে নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করতে পারবে। ঋতুস্রাব নয়, এমন অপ্রকৃতিস্থ এবং নাবালিকাদের ক্ষেত্রে অভিভাবকেরা তাদের বিয়ে দেয়ার অধিকারী হবেন। ঋতুস্রাব হওয়া সুস্থ মস্তিষ্কের মুসলিম মেয়েদের বিয়ে তাদের অনুমতি ব্যতীত হলে, তা অকার্যকর বলে গণ্য করা হবে’। আবেদনকারীদের পক্ষে রায় দিয়ে আদালত জানিয়েছে, এক্ষেত্রে প্রথম আবেদনকারী ওই ব্যক্তির বয়স ৩৬ বছরের বেশি এবং দ্বিতীয় আবেদনকারী ওই মেয়েটির বয়স ১৭-র বেশি হওয়ায় মুসলিম পার্সোনাল ল’ অনুযায়ী তাদের স্বেচ্ছায় বিয়েতে বাধা নেই। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।