ঢাকা ০৫:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মজলিসু দাওয়াতুল হক বার্সেলোনার আয়োজনে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত স্পেনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন বার্সেলোনায় বিশ্বনাথ আইডিয়াল অ্যাসোসিয়েশন আয়োজনে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বার্সেলোনায় বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের ইফতার সম্পন্ন বার্সেলোনায় কাপড়ের সমাহার নিয়ে “রোস প্যাটাল’স বাই তাইফা” প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন স্পেনে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন স্পেন বাংলা প্রেসক্লাব এর প্রথম সভা অনুষ্ঠিত বার্সেলোনায় স্বাধীনতা দিবস ক্রিকেট টুর্নামেন্ট সম্পন্ন অ্যাসোসিয়েশন কোলতুরাল উমানেতারিয়ার উদ্যোগে ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত স্পেনের হুয়ান কার্লোস ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে ৪১ জনের মৃত্যু

জনপ্রিয় অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ৭৮৯ বার পড়া হয়েছে

ইউরোপের উন্নত জীবনের আশায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার সময় নৌকাডুবিতে প্রাণ হারিয়েছে আরও ৪১ অভিবাসী। বুধবার জাতিসংঘের শরণার্থী ও অভিবাসন সংস্থার এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, শনিবার এই সাম্প্রতিকতম নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। প্রায় ১৫ ঘণ্টা ধরে সাহায্য চাইতে থাকে নৌকাটি। পরে একটি উদ্ধারকারী জাহাজ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও তার আগেই এসব অভিবাসী প্রাণ হারায়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

আফ্রিকা থেকে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করার সময় ২০১৪ সাল থেকে সাগরে ডুবে ২০ হাজারের বেশি অভিবাসী ও শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ হাজারের বেশি অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে ভূমধ্যসাগরে। জাতিসংঘ এই নৌপথটিকে সবচেয়ে বিপজ্জনক অভিবাসন পথ আখ্যা দিয়েছে। ২০১১ সালে  দীর্ঘ দিনের শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর গুরুত্বপূর্ণ অভিবাসন কেন্দ্র হয়ে ওঠে লিবিয়া।

শনিবার ডুবে যাওয়া নৌকাটিও লিবিয়া উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশে রওনা দেয়। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা জানিয়েছে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি অন্তত ১২০ অভিবাসীকে নিয়ে রওনা দেয় নৌকাটি। নৌকাটি ডু্বতে শুরু করার প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর একটি বাণিজ্যিক জাহাজ সহায়তার জন্য এগিয়ে আসে।

অভিবাসন সংস্থার বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নৌকাটি ডুবতে শুরুর পর প্রায় ১৫ ঘণ্টা ধরে এর আরোহীরা সম্ভাব্য সব উপায়ে সাহায্য চাইতে থাকেন। এই সময়ের মধ্যে ছয় ব্যক্তি পানিতে পড়ে মারা যায়। আর অপর দুই জন দূরে একটি নৌকা দেখে সাঁতার কেটে যাওয়ার চেষ্টা করে মারা যায়। তারও প্রায় তিন ঘণ্টা পর ভস ট্রাইটন জাহাজ নৌকাটির কাছে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান চালায়। তবে কঠিন এবং জটিল উদ্ধার অভিযানের সময় বহু অভিবাসী প্রাণ হারায়।

পরে বেঁচে যাওয়াদের উদ্ধার করে জাহাজটি ইতালির বন্দর শহর পোর্টো এম্পেদেকোলেতে নিয়ে যায়। এখনও নিখোঁজদের মধ্যে তিন শিশু ও চার নারী রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে ৪১ জনের মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৩:৫৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ইউরোপের উন্নত জীবনের আশায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার সময় নৌকাডুবিতে প্রাণ হারিয়েছে আরও ৪১ অভিবাসী। বুধবার জাতিসংঘের শরণার্থী ও অভিবাসন সংস্থার এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, শনিবার এই সাম্প্রতিকতম নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। প্রায় ১৫ ঘণ্টা ধরে সাহায্য চাইতে থাকে নৌকাটি। পরে একটি উদ্ধারকারী জাহাজ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও তার আগেই এসব অভিবাসী প্রাণ হারায়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

আফ্রিকা থেকে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করার সময় ২০১৪ সাল থেকে সাগরে ডুবে ২০ হাজারের বেশি অভিবাসী ও শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ হাজারের বেশি অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে ভূমধ্যসাগরে। জাতিসংঘ এই নৌপথটিকে সবচেয়ে বিপজ্জনক অভিবাসন পথ আখ্যা দিয়েছে। ২০১১ সালে  দীর্ঘ দিনের শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর গুরুত্বপূর্ণ অভিবাসন কেন্দ্র হয়ে ওঠে লিবিয়া।

শনিবার ডুবে যাওয়া নৌকাটিও লিবিয়া উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশে রওনা দেয়। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা জানিয়েছে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি অন্তত ১২০ অভিবাসীকে নিয়ে রওনা দেয় নৌকাটি। নৌকাটি ডু্বতে শুরু করার প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর একটি বাণিজ্যিক জাহাজ সহায়তার জন্য এগিয়ে আসে।

অভিবাসন সংস্থার বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নৌকাটি ডুবতে শুরুর পর প্রায় ১৫ ঘণ্টা ধরে এর আরোহীরা সম্ভাব্য সব উপায়ে সাহায্য চাইতে থাকেন। এই সময়ের মধ্যে ছয় ব্যক্তি পানিতে পড়ে মারা যায়। আর অপর দুই জন দূরে একটি নৌকা দেখে সাঁতার কেটে যাওয়ার চেষ্টা করে মারা যায়। তারও প্রায় তিন ঘণ্টা পর ভস ট্রাইটন জাহাজ নৌকাটির কাছে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান চালায়। তবে কঠিন এবং জটিল উদ্ধার অভিযানের সময় বহু অভিবাসী প্রাণ হারায়।

পরে বেঁচে যাওয়াদের উদ্ধার করে জাহাজটি ইতালির বন্দর শহর পোর্টো এম্পেদেকোলেতে নিয়ে যায়। এখনও নিখোঁজদের মধ্যে তিন শিশু ও চার নারী রয়েছে।