ঢাকা ১১:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
স্পেনে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস উদযাপন মহিলা সমিতি বার্সেলোনার পহেলা বৈশাখ উদযাপন বাংলাদেশ কোলতোরাল এসোসিয়েশন এন কাতালোনিয়ার ৯ সদস্য বিশিষ্ট সমন্বয় কমিটি গঠন টেনেরিফে ঈদুল ফিতর উদযাপন ও ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠিত শান্তাকলমায় শরীয়তপুর জেলা সমিতির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত নোয়াখালী এসোসিয়েশনের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন বার্সেলোনায় গোলাপগঞ্জ অ্যাসোসিয়েশনের ইফতার সম্পন্ন বিয়ানীবাজার পৌরসভা ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট বার্সেলোনার ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত বার্সেলোনায় বিয়ানীবাজার ইয়াং স্টারের ইফতার সম্পন্ন বার্সেলোনা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তাফসীরুল কুরআন ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত

ঘর প্রকল্পে দুর্নীতিতে ক্ষুব্ধ আ.লীগ

জনপ্রিয় অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৯:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১ ৭০৬ বার পড়া হয়েছে

মুজিবশতবর্ষে দেশব্যাপী ভূমি ও গৃহহীনদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ কার্যক্রমে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার, অনিয়ম-দুর্নীতি ও লুটপাটের ঘটনায় ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগের হাই-কমান্ড। দলটির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত করতে প্রশাসনের এক শ্রেণির কর্মকর্তা অনিয়ম-দুর্নীতি ও লুটপাটের পথ বেছে নিয়েছে। তারা দেশের শত্রু, জনগণের শত্রু, সরকারের শত্রু, আওয়ামী লীগের শত্রু। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ঘর তৈরিতে অনিয়মের সাথে যুক্তদের কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে। নইলে বর্তমান সরকারের সকল অর্জন ম্লান হয়ে যাবে।

সূত্র জানায়, মুজিবশতবর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না— এমন উদ্দেশ্য সামনে রেখে গত বছর দেশব্যাপী শুরু হয় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ কার্যক্রম। সে সময় সারা দেশে পৌনে ৯ লাখ পরিবারকে ঘর দেয়ার কার্যক্রম শুরু করে সরকার। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা প্রকৌশলী, এসিল্যান্ড, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা। ইতোমধ্যে প্রথম ধাপে ভূমি ও গৃহহীনদের মাঝে ঘর বুঝিয়ে দিয়ে প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনও করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে মুজিবশতবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ কার্যক্রম ঘিরে অনিয়ম, দুর্নীতি, লুটপাট ও নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। মূলত বর্ষা মওসুম ও ঘন বৃষ্টিতেই ফাটল দেখা দিয়েছে ঘরগুলোতে। অনেক স্থানে ঘরের বড় একটি অংশ মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও নিচু স্থানে ঘর নির্মাণ করায় পানিতে ডুবে গেছে। যা পুরোপুরি ব্যবহারের উপযোগী নয়।  এমন পরিস্থিতিতে সে বিষয়ে তদন্তে নেমেছেন প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা। তদন্তে আপাতত ৩৬টি উপজেলায় অনিয়মের তথ্য ওঠে এসেছে। তারই ভিত্তিতে ইউএনও ও এসিল্যান্ড হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী পাঁচ কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছে। যদিও আশ্রয়ণের ত্রুটিপূর্ণ ঘর পুনর্নির্মাণের খরচ সরকার দেবে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশব্যাপী ভূমি ও গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ কার্যক্রমে দায়িত্বপ্রাপ্তদের সীমাহীন লুটপাট-অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনায় ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ ও দলটির স্থানীয় সংসদ সদস্যরা। দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, ক্যাসিনো, চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও দুর্নীতিসহ সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলে মুজিবশতবর্ষে দেশব্যাপী শুরু হয় ভূমি ও গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ কার্যক্রম। অনিয়মের সাথে জড়িতদের কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। তারা মনে করেন, চলমান ঘর প্রকল্পের অনিয়মের মধ্য দিয়ে একটি গোষ্ঠী সরকারের সকল অর্জন ম্লান করে দিতে চায়। এরা দেশের শত্রু, জনগণের শত্রু, সরকারের শত্রু, আওয়ামী লীগের শত্রু। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ঘর তৈরিতে অনিয়মের সাথে যুক্তদের কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক আমার সংবাদকে বলেন, ‘দেশের প্রতিটি গৃহহীনের ঘর দেয়ার প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের প্রকল্প। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না। কিন্তু কিছু কিছু সরকারি কর্মকর্তা এই প্রকল্পে বাস্তবায়নের নামে যে দুর্নীতি ও লুটপাট করেছে; তা খুবই দুঃখজনক।’ বঙ্গবন্ধুকন্যা কোনো দুর্নীতিবাজকে ছাড় দেবেন না উল্লেখ্য করে তিনি আরও বলেন, ‘ক্যাসিনো, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িতদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কখনো ছাড় দেননি। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। আশাকরি, গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতি ও লুটপাটের সাথে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের বিরুদ্ধে তিনি কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক আরেক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন আমার সংবাদকে বলেন,  ‘প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তা আছে, যারা সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পছন্দ করে না। তারা সবসময় চায় সরকারের সকল উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে। ফলে প্রশাসনের ওই সকল কর্মকর্তা নানামুখী দুর্নীতি ও অনিয়ম সাথে যুক্ত হন। এরা দেশের শত্রু, জাতির শত্রু, সরকারের শত্রু,  আওয়ামী লীগের শত্রু। এদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর ঘর প্রকল্পের অনিয়ম ও দুর্নীতি অত্যন্ত দুঃখজনক উল্লেখ্য করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান আমার সংবাদকে বলেন, ‘গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ প্রকল্পের কিছু কিছু স্থানে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে  এবং অভিযুক্তদের ওএসডি করা হয়েছে। যারা এই অনিয়মের সাথে জড়িত, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঠিক যেভাবে বিগত দিনে সরকার অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যেকোনো কাজে ছোট ছোট কিছু ঘটনা ঘটে। তবে গৃহহীনদের ঘর দেয়া প্রকল্পের একই ঘটনায় কেউ যদি ইচ্ছা করে অনিয়ম ও দুর্নীতি করে থাকে— তাকে কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। ঘর প্রকল্পের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রায় এক কোটি ২০ হাজার বাড়ির মধ্যে ২৪টি স্থানের নির্মাণকাজের ত্রুটি গণমাধ্যমে উঠে এসেছে যা বাস্তবায়িত প্রকল্পের ০.২৫ ভাগ। ত্রুটিপূর্ণ যে ০.২৫ ভাগ স্থাপনা চিহ্নিত হয়েছে তা সরকারি খরচে মেরামত এবং প্রয়োজনে পুনর্নির্মাণ করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এসব গৃহ সরকারি খাস জমিতে নির্মিত হয়েছে এবং অনেক ক্ষেত্রে খাস ভূমিসহ তুলনামূলক নিচু স্থানে হওয়ায় স্থাপনাসমূহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারপরও বিশাল কর্মযজ্ঞের হিসাবের খাতায় ক্ষুদ্র অংশে ত্রুটি দেখা দিলেও যারা এই ত্রুটির জন্য দায়ী এবং দায়িত্বে অবহেলা ও অনিয়মে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, কোনো ছাড় দেয়া হবে না।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ঘর প্রকল্পে দুর্নীতিতে ক্ষুব্ধ আ.লীগ

আপডেট সময় : ০৭:৫৯:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১

মুজিবশতবর্ষে দেশব্যাপী ভূমি ও গৃহহীনদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ কার্যক্রমে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার, অনিয়ম-দুর্নীতি ও লুটপাটের ঘটনায় ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগের হাই-কমান্ড। দলটির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত করতে প্রশাসনের এক শ্রেণির কর্মকর্তা অনিয়ম-দুর্নীতি ও লুটপাটের পথ বেছে নিয়েছে। তারা দেশের শত্রু, জনগণের শত্রু, সরকারের শত্রু, আওয়ামী লীগের শত্রু। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ঘর তৈরিতে অনিয়মের সাথে যুক্তদের কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে। নইলে বর্তমান সরকারের সকল অর্জন ম্লান হয়ে যাবে।

সূত্র জানায়, মুজিবশতবর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না— এমন উদ্দেশ্য সামনে রেখে গত বছর দেশব্যাপী শুরু হয় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ কার্যক্রম। সে সময় সারা দেশে পৌনে ৯ লাখ পরিবারকে ঘর দেয়ার কার্যক্রম শুরু করে সরকার। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা প্রকৌশলী, এসিল্যান্ড, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা। ইতোমধ্যে প্রথম ধাপে ভূমি ও গৃহহীনদের মাঝে ঘর বুঝিয়ে দিয়ে প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনও করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে মুজিবশতবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ কার্যক্রম ঘিরে অনিয়ম, দুর্নীতি, লুটপাট ও নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। মূলত বর্ষা মওসুম ও ঘন বৃষ্টিতেই ফাটল দেখা দিয়েছে ঘরগুলোতে। অনেক স্থানে ঘরের বড় একটি অংশ মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও নিচু স্থানে ঘর নির্মাণ করায় পানিতে ডুবে গেছে। যা পুরোপুরি ব্যবহারের উপযোগী নয়।  এমন পরিস্থিতিতে সে বিষয়ে তদন্তে নেমেছেন প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা। তদন্তে আপাতত ৩৬টি উপজেলায় অনিয়মের তথ্য ওঠে এসেছে। তারই ভিত্তিতে ইউএনও ও এসিল্যান্ড হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী পাঁচ কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছে। যদিও আশ্রয়ণের ত্রুটিপূর্ণ ঘর পুনর্নির্মাণের খরচ সরকার দেবে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশব্যাপী ভূমি ও গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ কার্যক্রমে দায়িত্বপ্রাপ্তদের সীমাহীন লুটপাট-অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনায় ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ ও দলটির স্থানীয় সংসদ সদস্যরা। দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, ক্যাসিনো, চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও দুর্নীতিসহ সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলে মুজিবশতবর্ষে দেশব্যাপী শুরু হয় ভূমি ও গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ কার্যক্রম। অনিয়মের সাথে জড়িতদের কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। তারা মনে করেন, চলমান ঘর প্রকল্পের অনিয়মের মধ্য দিয়ে একটি গোষ্ঠী সরকারের সকল অর্জন ম্লান করে দিতে চায়। এরা দেশের শত্রু, জনগণের শত্রু, সরকারের শত্রু, আওয়ামী লীগের শত্রু। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ঘর তৈরিতে অনিয়মের সাথে যুক্তদের কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক আমার সংবাদকে বলেন, ‘দেশের প্রতিটি গৃহহীনের ঘর দেয়ার প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের প্রকল্প। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না। কিন্তু কিছু কিছু সরকারি কর্মকর্তা এই প্রকল্পে বাস্তবায়নের নামে যে দুর্নীতি ও লুটপাট করেছে; তা খুবই দুঃখজনক।’ বঙ্গবন্ধুকন্যা কোনো দুর্নীতিবাজকে ছাড় দেবেন না উল্লেখ্য করে তিনি আরও বলেন, ‘ক্যাসিনো, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িতদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কখনো ছাড় দেননি। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। আশাকরি, গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতি ও লুটপাটের সাথে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের বিরুদ্ধে তিনি কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক আরেক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন আমার সংবাদকে বলেন,  ‘প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তা আছে, যারা সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পছন্দ করে না। তারা সবসময় চায় সরকারের সকল উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে। ফলে প্রশাসনের ওই সকল কর্মকর্তা নানামুখী দুর্নীতি ও অনিয়ম সাথে যুক্ত হন। এরা দেশের শত্রু, জাতির শত্রু, সরকারের শত্রু,  আওয়ামী লীগের শত্রু। এদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর ঘর প্রকল্পের অনিয়ম ও দুর্নীতি অত্যন্ত দুঃখজনক উল্লেখ্য করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান আমার সংবাদকে বলেন, ‘গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ প্রকল্পের কিছু কিছু স্থানে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে  এবং অভিযুক্তদের ওএসডি করা হয়েছে। যারা এই অনিয়মের সাথে জড়িত, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঠিক যেভাবে বিগত দিনে সরকার অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যেকোনো কাজে ছোট ছোট কিছু ঘটনা ঘটে। তবে গৃহহীনদের ঘর দেয়া প্রকল্পের একই ঘটনায় কেউ যদি ইচ্ছা করে অনিয়ম ও দুর্নীতি করে থাকে— তাকে কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। ঘর প্রকল্পের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রায় এক কোটি ২০ হাজার বাড়ির মধ্যে ২৪টি স্থানের নির্মাণকাজের ত্রুটি গণমাধ্যমে উঠে এসেছে যা বাস্তবায়িত প্রকল্পের ০.২৫ ভাগ। ত্রুটিপূর্ণ যে ০.২৫ ভাগ স্থাপনা চিহ্নিত হয়েছে তা সরকারি খরচে মেরামত এবং প্রয়োজনে পুনর্নির্মাণ করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এসব গৃহ সরকারি খাস জমিতে নির্মিত হয়েছে এবং অনেক ক্ষেত্রে খাস ভূমিসহ তুলনামূলক নিচু স্থানে হওয়ায় স্থাপনাসমূহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারপরও বিশাল কর্মযজ্ঞের হিসাবের খাতায় ক্ষুদ্র অংশে ত্রুটি দেখা দিলেও যারা এই ত্রুটির জন্য দায়ী এবং দায়িত্বে অবহেলা ও অনিয়মে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, কোনো ছাড় দেয়া হবে না।’