ঢাকা ০৮:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

আরব পুরুষদের বিয়ে করে ইসলাম গ্রহণ করছেন ইসরাইলের নারীরা

জনপ্রিয় অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ৭৪৯ বার পড়া হয়েছে

ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে কয়েক যুগ ধরে চলছে রক্তক্ষয়ী সংঘাত ও বিপর্যয়। এমন পরিবেশে ইহুদি ও আরবদের মধ্যে আন্তবিবাহের প্রতিবাদ করে আসছে মূলধারার ইহুদি ধর্মাবলম্বীরা। কারণ আরবদের সঙ্গে সম্পর্ক করে বেশির ভাগ ইহুদি ইসলামের প্রতি ঝুঁকে পড়েন। ফলে ইহুদি ও আরবদের মধ্যে আন্তবিবাহের বিরোধিতায় তৈরি হয়েছে বহু ইসরাইলি সংগঠন। ইহুদি ও অইহুদিদের মধ্যে যারা আরব পুরুষদের বিয়ে করে ইসলাম গ্রহণ করে, এমন নারীদের পুনরায় ফিরিয়ে আনতে সহায়তা প্রদান করে লেহাভা নামের সংগঠনটি। সংগঠনটি ইহুদি জাতিকে সুরক্ষিত রাখার কাজ করছে। অবশ্য অনেকে ইহুদি সংগঠনটির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার অভিযোগ তুলেছে। খবর স্পুটনিক নিউজের। ২০০৭ সালে ইহুদি ধর্মাবলম্বী তরুণ নোয় শিটরিত ইসলাম গ্রহণ করলে ইসরাইলে বেশ তোলপাড় শুরু হয়েছিল। কিন্তু সংগঠক আনাত পোপেস্টাইনের স্বামীর ভূমিকায় নোয় ওই সম্পর্ক থেকে ফিরে আসেন। ২০০৫ সালে আনাত পোপস্টাইন নিজের স্বামীর সঙ্গে মিলে লেভাকা সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। তার কাছে প্রতিদিন অনেকে সাহায্য চেয়ে আবেদন করে বলে তিনি দাবি করেন। বহু নও-মুসলিম নারী নিজ ধর্মে ফেরার সমাধান চেয়েছেন বলে জানান তিনি। অনেকে পরিবার ও পরিচিতজনদের মাধ্যমে আপত্তিকর সম্পর্কের কথা জানিয়েছেন। এ ছাড়া সংগঠনটি নানা জটিলতায় আক্রান্ত দুর্বল নারীদের সহায়তা করে সমাজে প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে। পোপস্টাইন বলেন, ইসরাইলে ইসলাম গ্রহণের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা বলা কঠিন হবে। তবে আমরা জানি যে, ইহুদি থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের হার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর বাস্তব কারণ হলো, নারীরা মুসলিম পুরুষদের বিয়ে করে। পরবর্তী সময়ে মুসলিম পুরুষরা ইহুদি নারীদের তাঁদের ধর্মে নিয়ে যায়। ইহুদি ধর্মানুসারে মিশ্র পরিবারের শিশুরা মায়ের কাছ থেকে ইহুদি ধর্মের উত্তরাধিকার লাভ করে। গোপস্টাইনের বর্ণনামতে, এখানেই বিষয়টি অত্যন্ত জটিল আকার ধারণ করে। কারণ শিশুরা আরব পিতার সঙ্গে থেকে যান। পরবর্তী সময়ে বড় হয়ে তারা আরবদের বিয়ে করে। এর মাধ্যমে তারা ইহুদি ধর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের ইসলাম গ্রহণের বর্তমান পরিসংখ্যান সুনিশ্চিতভাবে বলা না গেলেও তা ক্রমাগত বাড়ছে।

উদাহরণত, ২০০৩ সালে সরকারি পরিসংখ্যান মতে, মাত্র ৪০ জন ইসলাম গ্রহণ করেছেন। কিন্তু ২০০৬ সালের প্রতিবেদনে ৭০ জন অর্থাৎ ইহুদি ধর্ম থেকে ইসলাম গ্রহণের সংখ্যা গত তিন বছরের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এরপর থেকে ধর্মান্তরের হার ক্রমাগত বাড়ছে। স্পুটনিক নিউজ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

আরব পুরুষদের বিয়ে করে ইসলাম গ্রহণ করছেন ইসরাইলের নারীরা

আপডেট সময় : ০৬:৫৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে কয়েক যুগ ধরে চলছে রক্তক্ষয়ী সংঘাত ও বিপর্যয়। এমন পরিবেশে ইহুদি ও আরবদের মধ্যে আন্তবিবাহের প্রতিবাদ করে আসছে মূলধারার ইহুদি ধর্মাবলম্বীরা। কারণ আরবদের সঙ্গে সম্পর্ক করে বেশির ভাগ ইহুদি ইসলামের প্রতি ঝুঁকে পড়েন। ফলে ইহুদি ও আরবদের মধ্যে আন্তবিবাহের বিরোধিতায় তৈরি হয়েছে বহু ইসরাইলি সংগঠন। ইহুদি ও অইহুদিদের মধ্যে যারা আরব পুরুষদের বিয়ে করে ইসলাম গ্রহণ করে, এমন নারীদের পুনরায় ফিরিয়ে আনতে সহায়তা প্রদান করে লেহাভা নামের সংগঠনটি। সংগঠনটি ইহুদি জাতিকে সুরক্ষিত রাখার কাজ করছে। অবশ্য অনেকে ইহুদি সংগঠনটির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার অভিযোগ তুলেছে। খবর স্পুটনিক নিউজের। ২০০৭ সালে ইহুদি ধর্মাবলম্বী তরুণ নোয় শিটরিত ইসলাম গ্রহণ করলে ইসরাইলে বেশ তোলপাড় শুরু হয়েছিল। কিন্তু সংগঠক আনাত পোপেস্টাইনের স্বামীর ভূমিকায় নোয় ওই সম্পর্ক থেকে ফিরে আসেন। ২০০৫ সালে আনাত পোপস্টাইন নিজের স্বামীর সঙ্গে মিলে লেভাকা সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। তার কাছে প্রতিদিন অনেকে সাহায্য চেয়ে আবেদন করে বলে তিনি দাবি করেন। বহু নও-মুসলিম নারী নিজ ধর্মে ফেরার সমাধান চেয়েছেন বলে জানান তিনি। অনেকে পরিবার ও পরিচিতজনদের মাধ্যমে আপত্তিকর সম্পর্কের কথা জানিয়েছেন। এ ছাড়া সংগঠনটি নানা জটিলতায় আক্রান্ত দুর্বল নারীদের সহায়তা করে সমাজে প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে। পোপস্টাইন বলেন, ইসরাইলে ইসলাম গ্রহণের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা বলা কঠিন হবে। তবে আমরা জানি যে, ইহুদি থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের হার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর বাস্তব কারণ হলো, নারীরা মুসলিম পুরুষদের বিয়ে করে। পরবর্তী সময়ে মুসলিম পুরুষরা ইহুদি নারীদের তাঁদের ধর্মে নিয়ে যায়। ইহুদি ধর্মানুসারে মিশ্র পরিবারের শিশুরা মায়ের কাছ থেকে ইহুদি ধর্মের উত্তরাধিকার লাভ করে। গোপস্টাইনের বর্ণনামতে, এখানেই বিষয়টি অত্যন্ত জটিল আকার ধারণ করে। কারণ শিশুরা আরব পিতার সঙ্গে থেকে যান। পরবর্তী সময়ে বড় হয়ে তারা আরবদের বিয়ে করে। এর মাধ্যমে তারা ইহুদি ধর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের ইসলাম গ্রহণের বর্তমান পরিসংখ্যান সুনিশ্চিতভাবে বলা না গেলেও তা ক্রমাগত বাড়ছে।

উদাহরণত, ২০০৩ সালে সরকারি পরিসংখ্যান মতে, মাত্র ৪০ জন ইসলাম গ্রহণ করেছেন। কিন্তু ২০০৬ সালের প্রতিবেদনে ৭০ জন অর্থাৎ ইহুদি ধর্ম থেকে ইসলাম গ্রহণের সংখ্যা গত তিন বছরের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এরপর থেকে ধর্মান্তরের হার ক্রমাগত বাড়ছে। স্পুটনিক নিউজ।