ঢাকা ০৮:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৭৫ বিয়ে ও ২০০ নারী পাচার, অবশেষে ভারতে আটক যশোরের মনির

জনপ্রিয় অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৫:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর ২০২১ ৮০৩ বার পড়া হয়েছে

মনিরুল ইসলাম মনির নামে এক বাংলাদেশি গ্রেপ্তার হয়েছেন ভারতের গুজরাটের সুরাটে। তার বিরুদ্ধে ২০০ নারীকে পাচারের অভিযোগ রয়েছে।  ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মনিরুল ইসলাম মনিরের বাড়ি বাংলাদেশের যশোরে। ভারতের মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর পুলিশের বিশেষ তদন্ত শাখার সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে। আটকের পর বুধবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য পাচ্ছে পুলিশ।

মনির স্বীকার করেছে দরিদ্র মেয়েদের বিয়ে করে পাচার করাই ছিল তার পেশা। দুটি-পাঁচটি নয়, মনির বিয়ে করেছে ৭৫টি। নিজের বিয়ে করা স্ত্রীদের অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে নিয়ে যেত কলকাতায়। তারপর বিক্রি করে দিত ভারতের বিভিন্ন পতিতালয়ে।

ভারতীয় পুলিশ জানতে পারে বাংলাদেশের নারী পাচারের সঙ্গে বিশাল একটি চক্র জড়িত। মনির তাদের একজন। পুলিশ গত ১১ মাসে ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১১ জন বাংলাদেশি নারীকে উদ্ধার করেছে। তাদের কাছ থেকে জানতে পেরেছে মনিরের নাম। এরপর মধ্য প্রদেশ পুলিশ মনিরের খোঁজে ১০ হাজার রুপি পুরস্কার ঘোষণা করে। শেষ পর্যন্ত তাকে আটক করা হয়।

মনির পুলিশকে বলেছে, দালালের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে নারীদের ভারতে নেওয়া হতো। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে প্রথম তাদের রাখা হতো। এরপর তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হতো কলকাতা, ভোপাল, ইন্দোরসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে। মনিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ অনেক তথ্য পেয়েছে।

বিজয়নগর পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তা তেহজিব কাজী জানান, কয়েক দিন আগে সুরাট নিষিদ্ধ পল্লীর এক দালালকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বক্তব্যের ভিত্তিতে একটি গেস্ট হাউসে অভিযান চালিয়ে ২১ জন নারীকে উদ্ধার করা হয়। যাদের ১১ জনই বাংলাদেশি। এ সময় সেখানে অবস্থান করা মনির পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ তাকে আটক করে। পুলিশ নারী পাচার চক্রের তথ্য জানতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

৭৫ বিয়ে ও ২০০ নারী পাচার, অবশেষে ভারতে আটক যশোরের মনির

আপডেট সময় : ০৫:৫৫:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর ২০২১

মনিরুল ইসলাম মনির নামে এক বাংলাদেশি গ্রেপ্তার হয়েছেন ভারতের গুজরাটের সুরাটে। তার বিরুদ্ধে ২০০ নারীকে পাচারের অভিযোগ রয়েছে।  ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মনিরুল ইসলাম মনিরের বাড়ি বাংলাদেশের যশোরে। ভারতের মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর পুলিশের বিশেষ তদন্ত শাখার সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে। আটকের পর বুধবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য পাচ্ছে পুলিশ।

মনির স্বীকার করেছে দরিদ্র মেয়েদের বিয়ে করে পাচার করাই ছিল তার পেশা। দুটি-পাঁচটি নয়, মনির বিয়ে করেছে ৭৫টি। নিজের বিয়ে করা স্ত্রীদের অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে নিয়ে যেত কলকাতায়। তারপর বিক্রি করে দিত ভারতের বিভিন্ন পতিতালয়ে।

ভারতীয় পুলিশ জানতে পারে বাংলাদেশের নারী পাচারের সঙ্গে বিশাল একটি চক্র জড়িত। মনির তাদের একজন। পুলিশ গত ১১ মাসে ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১১ জন বাংলাদেশি নারীকে উদ্ধার করেছে। তাদের কাছ থেকে জানতে পেরেছে মনিরের নাম। এরপর মধ্য প্রদেশ পুলিশ মনিরের খোঁজে ১০ হাজার রুপি পুরস্কার ঘোষণা করে। শেষ পর্যন্ত তাকে আটক করা হয়।

মনির পুলিশকে বলেছে, দালালের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে নারীদের ভারতে নেওয়া হতো। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে প্রথম তাদের রাখা হতো। এরপর তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হতো কলকাতা, ভোপাল, ইন্দোরসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে। মনিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ অনেক তথ্য পেয়েছে।

বিজয়নগর পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তা তেহজিব কাজী জানান, কয়েক দিন আগে সুরাট নিষিদ্ধ পল্লীর এক দালালকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বক্তব্যের ভিত্তিতে একটি গেস্ট হাউসে অভিযান চালিয়ে ২১ জন নারীকে উদ্ধার করা হয়। যাদের ১১ জনই বাংলাদেশি। এ সময় সেখানে অবস্থান করা মনির পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ তাকে আটক করে। পুলিশ নারী পাচার চক্রের তথ্য জানতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।