ঢাকা ০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মাদ্রিদে স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের সভা অনুষ্ঠিত স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের সাথে নর্থ ইংল্যান্ড জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় বার্সেলোনায় সিক্স এ সাইড ফুটবল টুর্নামেন্টের সমাপনী খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত বার্সেলোনায় বিয়ানীবাজার সরকারী কলেজের প্রাক্তন ছাত্রদের মিলন মেলা ও নৈশভোজ বার্সেলোনায় ব্যপক আনন্দ-উৎসবে দুর্গাপূজা উদযাপিত সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের মুক্তির দাবীতে স্পেনে প্রতিবাদ সভা কাতালোনিয়া বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত মাদ্রিদে শাহজালাল লতিফিয়া মসজিদের ফলাফল ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন কাতালোনিয়া আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শোক দিবস পালিত মা আর রাজনীতিতে ফিরবেন না : জয়

বাংলাদেশ দুতাবাস মাদ্রিদে শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন

সিদ্দিকুর রাহমান, মাদ্রিদ প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : ০৯:০০:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অগাস্ট ২০২১ ৮৫৯ বার পড়া হয়েছে

০৫ আগস্ট ২০২১  মাদ্রিদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপনের  লক্ষ্যে দূতাবাসের সভাকক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। জন্মবার্ষিকী উদ্যাপনের প্রধান কর্মসূচীর মধ্যে অন্যতম ছিল পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত, শেখ কামাল-এর জীবন ও কর্মের উপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন, এবং তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা সভা ও মোনাজাত।

সকাল ১১:৩০ ঘটিকায় পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াতের মাধ্যমে জন্মদিবসের অনুষ্ঠান শুরু হয়। আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ, এনডিসি  শেখ কামালের জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা করেন এবং তাঁর অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তিনি আারো বলেন যে মুক্তিযুদ্ধে শেখ কামালের রয়েছে অসামান্য অবদান। শেখ কামাল ছিলেন সেই ৬১ জন সৌভাগ্যবান তরুনের একজন যারা “বাংলাদেশ ফার্স্ট ওয়ার কোর্স” সম্পন্ন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে লেফটেন্যান্ট হিসেবে কমিশন লাভ করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি জেনারেল এমএজি ওসমানীর এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

শেখ কামাল সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মান্যবর রাষ্ট্রদূত বলেন যে, শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ছিলেন তারুণ্যের প্রতীক। তিনি স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের যুব সমাজকে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চায় উদ্বুদ্ধকরণে দূরদর্শী অবদান রেখে গেছেন। তিনি ছিলেন অন্যতম ক্রীড়া সংগঠক। প্রথমে তিনি আবাহনী সমাজ-কল্যাণ সংস্থা গড়ে তোলেন, পরে মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে এসে ১৯৭২ সালে ‘আবাহনী ক্রীড়াচক্র‘ প্রতিষ্ঠা করেন। স্বাধীনতা উত্তর পরিস্থিতিতে তরুণ সমাজকে অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে এবং নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে ফিরিয়ে আনতেই তিনি এই মহতী উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

শেখ কামাল ছিলেন সংস্কৃতি জগতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। এ ক্ষেত্রে তাঁর ছিল ত্রিমুখী প্রতিভা। তিনি একাধারে অভিনয় করতেন, গান গাইতেন এবং সেতার বাজাতেন। আন্ত:কলেজ সেতার প্রতিযোগিতায় পুরো পাকিস্তানে তিনি রানার্স-আপ এবং আন্ত:কলেজ সংগীত প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন।

আলোচনা সভা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে শাহাদাৎ বরণকারী ব্যক্তিবর্গ, জাতীয় চার নেতা এবং শেখ কামালের রূহের মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত করা হয়। সভা শেষে উপস্থিত অতিথিবৃন্দকে চা-চক্রে আপ্যায়ন করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বাংলাদেশ দুতাবাস মাদ্রিদে শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন

আপডেট সময় : ০৯:০০:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অগাস্ট ২০২১

০৫ আগস্ট ২০২১  মাদ্রিদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপনের  লক্ষ্যে দূতাবাসের সভাকক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। জন্মবার্ষিকী উদ্যাপনের প্রধান কর্মসূচীর মধ্যে অন্যতম ছিল পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত, শেখ কামাল-এর জীবন ও কর্মের উপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন, এবং তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা সভা ও মোনাজাত।

সকাল ১১:৩০ ঘটিকায় পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াতের মাধ্যমে জন্মদিবসের অনুষ্ঠান শুরু হয়। আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ, এনডিসি  শেখ কামালের জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা করেন এবং তাঁর অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তিনি আারো বলেন যে মুক্তিযুদ্ধে শেখ কামালের রয়েছে অসামান্য অবদান। শেখ কামাল ছিলেন সেই ৬১ জন সৌভাগ্যবান তরুনের একজন যারা “বাংলাদেশ ফার্স্ট ওয়ার কোর্স” সম্পন্ন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে লেফটেন্যান্ট হিসেবে কমিশন লাভ করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি জেনারেল এমএজি ওসমানীর এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

শেখ কামাল সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মান্যবর রাষ্ট্রদূত বলেন যে, শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ছিলেন তারুণ্যের প্রতীক। তিনি স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের যুব সমাজকে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চায় উদ্বুদ্ধকরণে দূরদর্শী অবদান রেখে গেছেন। তিনি ছিলেন অন্যতম ক্রীড়া সংগঠক। প্রথমে তিনি আবাহনী সমাজ-কল্যাণ সংস্থা গড়ে তোলেন, পরে মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে এসে ১৯৭২ সালে ‘আবাহনী ক্রীড়াচক্র‘ প্রতিষ্ঠা করেন। স্বাধীনতা উত্তর পরিস্থিতিতে তরুণ সমাজকে অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে এবং নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে ফিরিয়ে আনতেই তিনি এই মহতী উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

শেখ কামাল ছিলেন সংস্কৃতি জগতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। এ ক্ষেত্রে তাঁর ছিল ত্রিমুখী প্রতিভা। তিনি একাধারে অভিনয় করতেন, গান গাইতেন এবং সেতার বাজাতেন। আন্ত:কলেজ সেতার প্রতিযোগিতায় পুরো পাকিস্তানে তিনি রানার্স-আপ এবং আন্ত:কলেজ সংগীত প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন।

আলোচনা সভা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে শাহাদাৎ বরণকারী ব্যক্তিবর্গ, জাতীয় চার নেতা এবং শেখ কামালের রূহের মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত করা হয়। সভা শেষে উপস্থিত অতিথিবৃন্দকে চা-চক্রে আপ্যায়ন করা হয়।