স্পেনে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আনন্দ উদযাপন
- আপডেট সময় : ০৭:০০:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জুন ২০২২ ৪০৩ বার পড়া হয়েছে
মাদ্রিদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন উদ্যাপন উপলক্ষ্যে ২৫ জুন ২০২২ দুপুর ১২:০০ ঘটিকায় দূতাবাস প্রাঙ্গনে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দূতাবাস মিলনায়তনে পবিত্র কোরআন থেকে তিলওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন উদ্যাপন উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন উদ্যাপন উপলক্ষ্যে একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বিশেষ অনুষ্ঠানে স্পেন প্রবাসী বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রদান করেন। বাংলাদেশের বৃহত্তম ভৌত অবকাঠামো পদ্মা সেতুর সফল বাস্তবায়ন ও শুভ উদ্বোধনের জন্য বক্তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী পদক্ষেপ ও দৃঢ় নেতৃত্বের ভ‚য়সী প্রশংসা করেন। পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ, এনডিসি বক্তব্য উপস্থাপন করেন। বক্তব্যের শুরুতেই তিনি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরন করেন এবং বলেন যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মানে আজ এক বিশাল মাইলফলক অর্জিত হয়েছে। তিনি বলেন যে, পদ্মাসেতু বাংলাদেশের রাজনৈতিক মর্যাদা, স্বনির্ভরতা, সাহস, সক্ষমতা ও আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। বিশ্বে আমাজনের পরে ২য় বৃহত্তম ক্ষর¯্রােতা পদ্মা নদীর উপরে সেতু নির্মাণ করে বাংলাদেশ অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তিনি তাঁর বক্তব্যে পদ্মাসেতু নির্মানে প্রবাসীদের অবদানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরন করেন। তিনি তাঁদের বৈধভাবে রেমিট্যান্স প্রেরণের মাধ্যমে ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করার জন্য উদাত্ত আহবান জানান। রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে স্পেন প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার ওপরেও গুরুত্ব আরোপ করেন।
বিশেষ অনুষ্ঠানে স্পেন প্রবাসী বিভিন্ন বাংলাদেশী সামাজিক ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিবৃন্দ, সাংবাদিক প্রতিনিধিবৃন্দ এবং দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের রূহের মাগফিরাত, পদ্মা সেতুর স্থায়ীত্ব এবং দেশ ও জাতির উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত করা হয়। পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রদূত আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে নিয়ে একটি কেক কাটেন। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদেরকে আপ্যায়ন করা হয়।