রাষ্ট্রের বিচারিক প্রক্রিয়া এক গুরুতর প্রশ্নের সম্মুখীন : রব
- আপডেট সময় : ০৮:৫২:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ৯৫৪ বার পড়া হয়েছে
আ স ম আবদুর রব বলেছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে ষড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পিত সাজানো ও বানোয়াট মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত দু জনের সাজা ও অর্থদণ্ড সরকার মওকুফ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল বলে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এর মাধ্যমে সরকার স্বীকার করে নিয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট মামলায় অনেকে আদালত কর্তৃক দণ্ডিত হয়ে দন্ডভোগ করছেন। ফলে ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা এবং রাষ্ট্রের বিচারিক প্রক্রিয়া এক গুরুতর প্রশ্নের সম্মুখীন।
এ অবস্থায় রাষ্ট্রের আর কতজন নাগরিক বিনা দোষে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় দন্ডিত হয়ে কারাগারে আছেন বা মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন তা নিয়ে `বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন’ গঠন করা আজ রাষ্ট্রের জরুরি কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ ছাড়া ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। আদালত যে সকল সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে এরূপ দন্ড আরোপ করেছেন সে সকল বিষয়েও পুনর্বিবেচনা করা দরকার।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক স্বাধীনবাংলা নিউক্লিয়াসের অন্যতম নেতা কাজী আরেফ আহমেদ এর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি’র আলোচনা সভায় আ স ম রব ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে মঙ্গলবার এ বক্তব্য প্রদান করেন।
জে এস ডি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় কার্যকরী সভাপতি জনাব সা কা ম আনিছুর রহমান খান কামাল এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব মোশাররফ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আবুল মোবারক, প্রচার সম্পাদক জনাব মোশাররফ হোসেন,হাজী আখতার হোসেন ভুইয়া, শ্রমিক জোটের সাধারণ সম্পাদক জনাব মোশাররফ হোসেন মন্টু, এম এ আউয়াল প্রমূখ।
আ স ম রব আরো বলেন জাতি রাষ্ট্র বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজী আরেফ এর অপরিসীম অবদান জাতি চিরদিন কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করবে।
জেএসডি নেতৃবৃন্দ বক্তৃতায় বলেন ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য সকল প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচনে বেআইনিভাবে সম্পৃক্ত করার কারণে সকল প্রতিষ্ঠান তার সাংবিধানিক দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে উদাসীন এবং নৈতিক দায়িত্ব পালনে অক্ষম হয়ে পড়েছে। এতে বহির্বিশ্বের রাষ্ট্রের মর্যাদা দারুণভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে। জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ ছাড়া রাষ্ট্রকে আর পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে না।
উল্লেখ্য ১৯৯৯ সালের ১৬ ই ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার মিরপুরে প্রকাশ্যে দিবালোকে কাজী আরেফ আহমেদকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করে। মঙ্গলবার সকালে কাজী আরেফ আহমদের কবরে জেএসডি’র পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।