ঢাকা ০৩:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

রাশিয়ার যুদ্ধবিরতি মরিপোলে

জনপ্রিয় অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৮:১৫:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ এপ্রিল ২০২২ ৩২০ বার পড়া হয়েছে

অবশেষে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী মরিপোলে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে রাশিয়া। অবরুদ্ধ এ শহরটি থেকে বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নিতে এ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে বলে খবরে বলা হয়েছে। তবে শুধু একদিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রুশ নিয়ন্ত্রিত বারদিয়ানস্ক বন্দর হয়ে মরিপোল থেকে জাপোরিঝিয়া পর্যন্ত একটি মানবিক করিডোর খোলার খবর জানা গেছে। এর আগেও কয়েকবার বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল কিন্তু বারবার তা ভন্ডুল হয়েছে। গতকাল বিবিসির খবরে বলা হয়, মরিপোল থেকে বেসামরিকদের লোকদের সরিয়ে নিতে বেশ কিছু বাস মরিপোলে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মরিপোলে এখন এক লাখ ৭০ হাজার লোক ফাঁদে পড়ে আছে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের অভাবে তাদের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এ মানবিক কাজটি সফল করার জন্য আমরা জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) এবং রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটি (আইসিআরসি)-এর সরাসরি অংশগ্রহণে এটি চালানোর প্রস্তাব করছি।

এ ছাড়া বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টার (বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টার) আগেই যুদ্ধবিরতিকে ‘নিঃশর্তভাবে সম্মান’ করার বিষয়টি রুশ কর্তৃপক্ষ, ইউএনএইচসিআর, আইসিআরসিকে লিখিতভাবে জানাতেও কিয়েভের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

ইউক্রেনে হামলার পর দশ দিনের মাথায় মরিপোলকে টার্গেট করে রুশ বাহিনী। এর পর শহরটিতে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। সেখানকার নাট্যশালা পরিণত হয়েছে গণকবরে। কেননা সেখানে সাধারণ মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল।

এদিকে খোদ রুশ বাহিনীও স্বীকার করেছে, মরিপোলে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। যদিও এর দায় চাপিয়েছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর ওপর। উল্লেখ্য, প্রায় পাঁচ লাখ বাসিন্দার মরিপোল শহরটি দখল করা রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ এ শহরটি আজভ সাগরে ইউক্রেনের কৌশলগত বন্দর এবং ডনবাস অঞ্চলে রুশ-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোর কাছেই অবস্থিত। পর্যবেক্ষকরা ধারণা করছেন, অল্প কয়েক দিনের মধ্যে মরিপোল রুশদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

রাশিয়ার যুদ্ধবিরতি মরিপোলে

আপডেট সময় : ০৮:১৫:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ এপ্রিল ২০২২

অবশেষে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী মরিপোলে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে রাশিয়া। অবরুদ্ধ এ শহরটি থেকে বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নিতে এ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে বলে খবরে বলা হয়েছে। তবে শুধু একদিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রুশ নিয়ন্ত্রিত বারদিয়ানস্ক বন্দর হয়ে মরিপোল থেকে জাপোরিঝিয়া পর্যন্ত একটি মানবিক করিডোর খোলার খবর জানা গেছে। এর আগেও কয়েকবার বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল কিন্তু বারবার তা ভন্ডুল হয়েছে। গতকাল বিবিসির খবরে বলা হয়, মরিপোল থেকে বেসামরিকদের লোকদের সরিয়ে নিতে বেশ কিছু বাস মরিপোলে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মরিপোলে এখন এক লাখ ৭০ হাজার লোক ফাঁদে পড়ে আছে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের অভাবে তাদের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এ মানবিক কাজটি সফল করার জন্য আমরা জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) এবং রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটি (আইসিআরসি)-এর সরাসরি অংশগ্রহণে এটি চালানোর প্রস্তাব করছি।

এ ছাড়া বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টার (বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টার) আগেই যুদ্ধবিরতিকে ‘নিঃশর্তভাবে সম্মান’ করার বিষয়টি রুশ কর্তৃপক্ষ, ইউএনএইচসিআর, আইসিআরসিকে লিখিতভাবে জানাতেও কিয়েভের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

ইউক্রেনে হামলার পর দশ দিনের মাথায় মরিপোলকে টার্গেট করে রুশ বাহিনী। এর পর শহরটিতে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। সেখানকার নাট্যশালা পরিণত হয়েছে গণকবরে। কেননা সেখানে সাধারণ মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল।

এদিকে খোদ রুশ বাহিনীও স্বীকার করেছে, মরিপোলে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। যদিও এর দায় চাপিয়েছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর ওপর। উল্লেখ্য, প্রায় পাঁচ লাখ বাসিন্দার মরিপোল শহরটি দখল করা রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ এ শহরটি আজভ সাগরে ইউক্রেনের কৌশলগত বন্দর এবং ডনবাস অঞ্চলে রুশ-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোর কাছেই অবস্থিত। পর্যবেক্ষকরা ধারণা করছেন, অল্প কয়েক দিনের মধ্যে মরিপোল রুশদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে।