মাদ্রিদে কমিনিটি নেতৃবৃন্দের সম্মানে নৈশভোজ অনুষ্ঠিত
- আপডেট সময় : ০৭:২৪:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১ ৬৯৯ বার পড়া হয়েছে
স্পেনে করোনা পরিস্তিতি অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ায় প্রবীণ কমিউনিটি নেতা ও বাংলাদেশ মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি খোরশেদ আলম মজুমদারের উদ্যোগে কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের সম্মানে এক ব্যাতিক্রমী নৈশভোজ মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশটির রাজধানী মাদ্রিদে মঙ্গলবার (৬ জুলাই) স্থানীয় সময় রাতে বাংলাদেশিদের কেন্দ্রস্থল লাভাপিয়েসের একটি রেস্টুরেন্টে এই নৈশভোজের আয়োজন করা হয় ।
কোরোনার কারণে দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় লোকডাউন আর নানা বিধি নিষেদের থমকে গিয়েছিলো প্রবাসীদের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা বর্তমানে পরিস্তিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় স্পেনে ফিরেছে প্রাণের স্পন্দন। আর এই সুযোগে প্রবাসী কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের নিয়ে আয়োজন করা হয় এই নৈশভোজের। এতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মিলনমেলায় পরিণত হয় বাঙালী অধ্যুষিত লাভাপিয়েস এলাকা। প্রবাসীদের এমন উপস্থিতি মনে হচ্ছিল যেন প্রবাসের বুকে ছোট্ট এক খন্ড বাংলাদেশ।
নৈশভোজ আয়োজন নিয়ে খোরশেদ আলম মজুমদারের বলেন, স্পেনে অবস্থানরত বাংলাদেশ কমিউনিটির মানুষদের রয়েছে দীর্ঘ সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক করোনার কারণে অনেকটা ভাটা পড়েছে। বর্তমানে পরিস্তিতি অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ায় এই আয়োজন। আমি প্রায়ই চেষ্টা করি এরকম প্রীতিভোজ আয়োজন করতে। এরকম আয়োজনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা একত্রিত করে বেদনা ভরা মন প্রতিনিয়তই কিছুটা ও আক্ষেপ ঘোচানোর চেষ্টা করা।
অনুষ্ঠানে কমিউনিটির বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ইন স্পেনের সভাপতি কাজী এনায়েতুল করিম তারেক, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সুন্দর, কমিউনিটি নেতা নূর হোসেন পাটোয়ারী, মোজাম্মেল হোসেন মনু, আব্দুল কায়ূম মাসুক, খুলনা বিভাগীয় কল্যাণ সমিতির সভাপতি সৈয়দ মাসুদুর রহমান নাসিম, ভালিয়েন্তে বাংলার সভাপতি মোঃ ফজলে এলাহী, গ্রেটার এসোসিয়েসন ইন স্পেনের সাধারণ সম্পাদক মিল্টন ভূঁইয়া কচি,ঢাকা জেলা এসোসিয়েশন সি স্পেনের সাধারণ মাসুদুর রহমান, বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা সমিতির সভাপতি জালাল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন শাকিল,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলামন, গ্রেটার সিলেট এসোসিয়েশনের সদস্য সচিব আবু জাফর রাসেল, কমিউনিটি নেতা রফিক খান, জাহিদুর রহমান দিদার, জসিম কাজী, শাওন আহমদ, আবু বক্কারসহ কমিউনিটির শতাধিক নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
পরিবার-পরিজন ছাড়া প্রবাসে এসব উৎসব কেবলই আনুষ্ঠানিকতা। তাই বেদনা ভরা মন প্রতিনিয়তই কিছু না কিছুতে আক্ষেপ ঘোচানোর চেষ্টা করে। তাই এরকম মিলনমেলা ও আনন্দ আয়োজনগুলো প্রবাসীদের কিছুটা আনন্দের উপলক্ষ করে দেয়। প্রবাসী বাংলাদেশিরাও এতে মেতে উঠেন অনাবিল আনন্দে।