ঢাকা ০১:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বর্ষবরণ শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনে লাগবে ইউনেস্কোর অনুমোদন বাংলাদেশ-পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক শুরু বার্সেলোনায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় সিটি কাউন্সিল এর নীতিমালা প্রণয়ন বার্সেলোনায় সম্মিলিত বাংলাদেশি কমিউনিটির ব্যানারে মাতৃভাষা দিবস পালন হবিগঞ্জ জেলা এসোসিয়েশন ইন স্পেনের আংশিক কমিটি ঘোষণা বার্সেলোনায় বাংলা স্কুলের উদ্যোগে বিজয় দিবস ও পিঠা মেলার আয়োজন মাদ্রিদে স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের সভা অনুষ্ঠিত স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের সাথে নর্থ ইংল্যান্ড জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় বার্সেলোনায় সিক্স এ সাইড ফুটবল টুর্নামেন্টের সমাপনী খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত বার্সেলোনায় বিয়ানীবাজার সরকারী কলেজের প্রাক্তন ছাত্রদের মিলন মেলা ও নৈশভোজ

ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে ৪১ জনের মৃত্যু

জনপ্রিয় অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ১০৮৯ বার পড়া হয়েছে

ইউরোপের উন্নত জীবনের আশায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার সময় নৌকাডুবিতে প্রাণ হারিয়েছে আরও ৪১ অভিবাসী। বুধবার জাতিসংঘের শরণার্থী ও অভিবাসন সংস্থার এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, শনিবার এই সাম্প্রতিকতম নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। প্রায় ১৫ ঘণ্টা ধরে সাহায্য চাইতে থাকে নৌকাটি। পরে একটি উদ্ধারকারী জাহাজ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও তার আগেই এসব অভিবাসী প্রাণ হারায়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

আফ্রিকা থেকে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করার সময় ২০১৪ সাল থেকে সাগরে ডুবে ২০ হাজারের বেশি অভিবাসী ও শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ হাজারের বেশি অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে ভূমধ্যসাগরে। জাতিসংঘ এই নৌপথটিকে সবচেয়ে বিপজ্জনক অভিবাসন পথ আখ্যা দিয়েছে। ২০১১ সালে  দীর্ঘ দিনের শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর গুরুত্বপূর্ণ অভিবাসন কেন্দ্র হয়ে ওঠে লিবিয়া।

শনিবার ডুবে যাওয়া নৌকাটিও লিবিয়া উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশে রওনা দেয়। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা জানিয়েছে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি অন্তত ১২০ অভিবাসীকে নিয়ে রওনা দেয় নৌকাটি। নৌকাটি ডু্বতে শুরু করার প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর একটি বাণিজ্যিক জাহাজ সহায়তার জন্য এগিয়ে আসে।

অভিবাসন সংস্থার বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নৌকাটি ডুবতে শুরুর পর প্রায় ১৫ ঘণ্টা ধরে এর আরোহীরা সম্ভাব্য সব উপায়ে সাহায্য চাইতে থাকেন। এই সময়ের মধ্যে ছয় ব্যক্তি পানিতে পড়ে মারা যায়। আর অপর দুই জন দূরে একটি নৌকা দেখে সাঁতার কেটে যাওয়ার চেষ্টা করে মারা যায়। তারও প্রায় তিন ঘণ্টা পর ভস ট্রাইটন জাহাজ নৌকাটির কাছে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান চালায়। তবে কঠিন এবং জটিল উদ্ধার অভিযানের সময় বহু অভিবাসী প্রাণ হারায়।

পরে বেঁচে যাওয়াদের উদ্ধার করে জাহাজটি ইতালির বন্দর শহর পোর্টো এম্পেদেকোলেতে নিয়ে যায়। এখনও নিখোঁজদের মধ্যে তিন শিশু ও চার নারী রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে ৪১ জনের মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৩:৫৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ইউরোপের উন্নত জীবনের আশায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার সময় নৌকাডুবিতে প্রাণ হারিয়েছে আরও ৪১ অভিবাসী। বুধবার জাতিসংঘের শরণার্থী ও অভিবাসন সংস্থার এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, শনিবার এই সাম্প্রতিকতম নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। প্রায় ১৫ ঘণ্টা ধরে সাহায্য চাইতে থাকে নৌকাটি। পরে একটি উদ্ধারকারী জাহাজ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও তার আগেই এসব অভিবাসী প্রাণ হারায়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

আফ্রিকা থেকে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করার সময় ২০১৪ সাল থেকে সাগরে ডুবে ২০ হাজারের বেশি অভিবাসী ও শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ হাজারের বেশি অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে ভূমধ্যসাগরে। জাতিসংঘ এই নৌপথটিকে সবচেয়ে বিপজ্জনক অভিবাসন পথ আখ্যা দিয়েছে। ২০১১ সালে  দীর্ঘ দিনের শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর গুরুত্বপূর্ণ অভিবাসন কেন্দ্র হয়ে ওঠে লিবিয়া।

শনিবার ডুবে যাওয়া নৌকাটিও লিবিয়া উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশে রওনা দেয়। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা জানিয়েছে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি অন্তত ১২০ অভিবাসীকে নিয়ে রওনা দেয় নৌকাটি। নৌকাটি ডু্বতে শুরু করার প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর একটি বাণিজ্যিক জাহাজ সহায়তার জন্য এগিয়ে আসে।

অভিবাসন সংস্থার বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নৌকাটি ডুবতে শুরুর পর প্রায় ১৫ ঘণ্টা ধরে এর আরোহীরা সম্ভাব্য সব উপায়ে সাহায্য চাইতে থাকেন। এই সময়ের মধ্যে ছয় ব্যক্তি পানিতে পড়ে মারা যায়। আর অপর দুই জন দূরে একটি নৌকা দেখে সাঁতার কেটে যাওয়ার চেষ্টা করে মারা যায়। তারও প্রায় তিন ঘণ্টা পর ভস ট্রাইটন জাহাজ নৌকাটির কাছে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান চালায়। তবে কঠিন এবং জটিল উদ্ধার অভিযানের সময় বহু অভিবাসী প্রাণ হারায়।

পরে বেঁচে যাওয়াদের উদ্ধার করে জাহাজটি ইতালির বন্দর শহর পোর্টো এম্পেদেকোলেতে নিয়ে যায়। এখনও নিখোঁজদের মধ্যে তিন শিশু ও চার নারী রয়েছে।