ঢাকা ১০:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মহিলা সমিতি বার্সেলোনার পহেলা বৈশাখ উদযাপন বাংলাদেশ কোলতোরাল এসোসিয়েশন এন কাতালোনিয়ার ৯ সদস্য বিশিষ্ট সমন্বয় কমিটি গঠন টেনেরিফে ঈদুল ফিতর উদযাপন ও ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠিত শান্তাকলমায় শরীয়তপুর জেলা সমিতির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত নোয়াখালী এসোসিয়েশনের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন বার্সেলোনায় গোলাপগঞ্জ অ্যাসোসিয়েশনের ইফতার সম্পন্ন বিয়ানীবাজার পৌরসভা ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট বার্সেলোনার ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত বার্সেলোনায় বিয়ানীবাজার ইয়াং স্টারের ইফতার সম্পন্ন বার্সেলোনা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তাফসীরুল কুরআন ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত মাথিউরা ইউনিয়ন উন্নয়ন সংস্থা স্পেনের দোয়া ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন

ব্যারিস্টার মওদুদের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন

জনপ্রিয় অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৬:১৩:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ মার্চ ২০২১ ৬৪৪ বার পড়া হয়েছে

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও উপ-রাষ্ট্রপতি এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মিনিটে সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ২৪ মে ১৯৪০ সালে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মাওলানা মমতাজ উদ্দিন আহমদ ও মা বেগম আম্বিয়া খাতুন। ছয় ভাইবোনের মধ্যে মওদুদ আহমদ চতুর্থ।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মান পাস করে লন্ডনের লিঙ্কন্স ইন থেকে ব্যারিস্টার-এ্যাট-ল’ ডিগ্রি অর্জন করেন। লন্ডনে পড়াশোনা করে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং হাইকোর্টে আইন পেশা শুরু করেন। তিনি ব্লান্ড ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ব্যারিস্টার মওদুদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭১ সালে ইয়াহিয়া খানের ডাকা গোলটেবিল বৈঠকে তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে ছিলেন।

বিএনপির ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। রাষ্ট্রপতি জিয়ার সঙ্গে মতদ্বৈততায় সরকার থেকে ছিটকে পড়েন।

আশির দশকে এরশাদের সঙ্গে তার যুক্ত হওয়া ছিল এক রাজনৈতিক চমক। ১৯৮২ সালে এরশাদ সামরিক শাসন জারি করার পর বিশেষ সামরিক আদালতে ১০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন এই রাজনীতিক। ১৯৮৫ সালে সেই দণ্ড মাথায় নিয়েই এরশাদ সরকারের মন্ত্রী হন। এরপর প্রধানমন্ত্রী ও উপরাষ্ট্রপতি হন মওদুদ আহমদ।

এরশাদের পতনের পর ১৯৯৬ পর্যন্ত তিনি জাতীয় পার্টিতে ছিলেন। এর পরপরই আবার বিএনপিতে ফিরে আসেন তিনি। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর তিনি আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী মওদুদ আহমদ ধানের শীষ ও লাঙ্গল—দুই প্রতীকেই নির্বাচন করেছেন। পাঁচবার মওদুদ আহমদ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা থেকে নির্বাচিত হন।

সুত্র. দৈনিক আমাদের সময় ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ব্যারিস্টার মওদুদের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন

আপডেট সময় : ০৬:১৩:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ মার্চ ২০২১

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও উপ-রাষ্ট্রপতি এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মিনিটে সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ২৪ মে ১৯৪০ সালে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মাওলানা মমতাজ উদ্দিন আহমদ ও মা বেগম আম্বিয়া খাতুন। ছয় ভাইবোনের মধ্যে মওদুদ আহমদ চতুর্থ।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মান পাস করে লন্ডনের লিঙ্কন্স ইন থেকে ব্যারিস্টার-এ্যাট-ল’ ডিগ্রি অর্জন করেন। লন্ডনে পড়াশোনা করে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং হাইকোর্টে আইন পেশা শুরু করেন। তিনি ব্লান্ড ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ব্যারিস্টার মওদুদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭১ সালে ইয়াহিয়া খানের ডাকা গোলটেবিল বৈঠকে তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে ছিলেন।

বিএনপির ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। রাষ্ট্রপতি জিয়ার সঙ্গে মতদ্বৈততায় সরকার থেকে ছিটকে পড়েন।

আশির দশকে এরশাদের সঙ্গে তার যুক্ত হওয়া ছিল এক রাজনৈতিক চমক। ১৯৮২ সালে এরশাদ সামরিক শাসন জারি করার পর বিশেষ সামরিক আদালতে ১০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন এই রাজনীতিক। ১৯৮৫ সালে সেই দণ্ড মাথায় নিয়েই এরশাদ সরকারের মন্ত্রী হন। এরপর প্রধানমন্ত্রী ও উপরাষ্ট্রপতি হন মওদুদ আহমদ।

এরশাদের পতনের পর ১৯৯৬ পর্যন্ত তিনি জাতীয় পার্টিতে ছিলেন। এর পরপরই আবার বিএনপিতে ফিরে আসেন তিনি। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর তিনি আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী মওদুদ আহমদ ধানের শীষ ও লাঙ্গল—দুই প্রতীকেই নির্বাচন করেছেন। পাঁচবার মওদুদ আহমদ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা থেকে নির্বাচিত হন।

সুত্র. দৈনিক আমাদের সময় ।