ঢাকা ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশ কোলতোরাল এসোসিয়েশন এন কাতালোনিয়ার ৯ সদস্য বিশিষ্ট সমন্বয় কমিটি গঠন টেনেরিফে ঈদুল ফিতর উদযাপন ও ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠিত শান্তাকলমায় শরীয়তপুর জেলা সমিতির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত নোয়াখালী এসোসিয়েশনের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন বার্সেলোনায় গোলাপগঞ্জ অ্যাসোসিয়েশনের ইফতার সম্পন্ন বিয়ানীবাজার পৌরসভা ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট বার্সেলোনার ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত বার্সেলোনায় বিয়ানীবাজার ইয়াং স্টারের ইফতার সম্পন্ন বার্সেলোনা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তাফসীরুল কুরআন ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত মাথিউরা ইউনিয়ন উন্নয়ন সংস্থা স্পেনের দোয়া ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন জাতীয়তাবাদী পরিবারের ব্যানারে অনুষ্ঠিত হয়েছে আলোচনা সভা এবং ইফতার মাহফিল

বাংলা ভাষার শুদ্ধ ব্যবহার হচ্ছে না

নাসরীন জাহান
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৭:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ৭৪৪ বার পড়া হয়েছে

বায়ান্নর মহান একুশে ফেব্রুয়ারি বিশ্বস্বীকৃতি পেয়েছে। এ দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্বব্যাপী পালন করা হয়। মহান ভাষা আন্দোলনের ছয় দশক পরও আমাদের দেশে বাংলা ভাষার শুদ্ধ ব্যবহার হচ্ছে না। অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সব স্তরে এমনকি গণমাধ্যমেও। টেলিভিশন, এফএম রেডিওগুলো বাংলা ভাষা ব্যবহারে যথেচ্ছাচার করছে। এর কোনো প্রতিকার নেই। রাষ্ট্রভাষা বাংলার শুদ্ধ ব্যবহারে   রাষ্ট্রকেই উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা ছোটবেলায় টেলিভিশনে নাটক দেখতাম। প্রতিটি নাটকে শুদ্ধ বাংলা ব্যবহার হতো। এখন বেশ কতগুলো টেলিভিশন চ্যানেলে অনেক অনুষ্ঠান প্রচার হচ্ছে কিন্তু বিকৃত, অশুদ্ধ বাংলার ব্যবহার হচ্ছে। এমন অনেক অভিনেতা আছেন তাদের অভিনয় দেখলে মনে হয় তারা শুদ্ধ ভাষা জানেন না। আঞ্চলিক ভাষা গ্রামীণ সমাজে ব্যবহৃত হয়। তবে জাতীয় পর্যায়ে মান বাংলায় কথা বলা উচিত। আমার মেয়েকে অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে ভর্তি করিয়েছিলাম। সে ইংরেজি মাধ্যমে পড়ত। একপর্যায়ে দেখলাম তার ইংরেজি উচ্চারণ ভীষণ খারাপ। এটা সে শিখেছে স্কুলের শিক্ষক ও বন্ধুদের কাছ থেকে। পরে আমি ওকে বাংলা মাধ্যমে পড়ার জন্য ভিকারুননিসা নূন স্কুলে ভর্তি করি। আসলে ভাষা বিকৃতি শুরু হয় পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। আজকাল আমাদের টেলিভিশন, এফএম রেডিও শুনলে মনে হয় অস্বাভাবিক ভাষার অনুষ্ঠান শুনছি। একটি শিক্ষিত পরিবার নিশ্চয় অস্বাভাবিক বাংলা ব্যবহার করে না। এ জন্য শুদ্ধ ভাষা শুনতে মাঝেমধ্যে স্টার জলসা ও জি-বাংলা দেখি। পশ্চিমবঙ্গ এ মুহূর্তে বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি চর্চা করতে গিয়ে এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে তারা শুদ্ধ বাংলা হারিয়ে ফেলছে। ইদানীং ইংরেজি মাধ্যমে পড়া ছেলেমেয়েরা ভালো বাংলা বলতে পারে না। তারা পড়াশোনা শেষ করে বিদেশে চলে যায়। এও ঘোরতর সংকট। অথচ পৃথিবীর অন্যান্য দেশ তাদের মাতৃভাষা ব্যবহারে বিশেষ সচেতন। সব স্তরে সচেতনতার জন্য নানামুখী উদ্যোগ নিতে হবে। আমি মনে করি সর্বজনীন গ্রহণযোগ্য বাংলা ভাষার ব্যবহারে সরকার ও মিডিয়াকে উদ্যোগ নিতে হবে। আমি আশাবাদী মানুষ। এ জন্য বলছি ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে পরিবার পর্যায়েও সচেতন থাকতে হবে। শিশুরা যেন মাতৃভাষা ভালোভাবে শেখে সেদিকে বাবা-মাকে বিশেষ যত্ন নিতে হবে। লেখক : কথাশিল্পী

সুত্র, দৈনিক প্রতিদিন ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বাংলা ভাষার শুদ্ধ ব্যবহার হচ্ছে না

আপডেট সময় : ০৪:৪৭:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১

বায়ান্নর মহান একুশে ফেব্রুয়ারি বিশ্বস্বীকৃতি পেয়েছে। এ দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্বব্যাপী পালন করা হয়। মহান ভাষা আন্দোলনের ছয় দশক পরও আমাদের দেশে বাংলা ভাষার শুদ্ধ ব্যবহার হচ্ছে না। অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সব স্তরে এমনকি গণমাধ্যমেও। টেলিভিশন, এফএম রেডিওগুলো বাংলা ভাষা ব্যবহারে যথেচ্ছাচার করছে। এর কোনো প্রতিকার নেই। রাষ্ট্রভাষা বাংলার শুদ্ধ ব্যবহারে   রাষ্ট্রকেই উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা ছোটবেলায় টেলিভিশনে নাটক দেখতাম। প্রতিটি নাটকে শুদ্ধ বাংলা ব্যবহার হতো। এখন বেশ কতগুলো টেলিভিশন চ্যানেলে অনেক অনুষ্ঠান প্রচার হচ্ছে কিন্তু বিকৃত, অশুদ্ধ বাংলার ব্যবহার হচ্ছে। এমন অনেক অভিনেতা আছেন তাদের অভিনয় দেখলে মনে হয় তারা শুদ্ধ ভাষা জানেন না। আঞ্চলিক ভাষা গ্রামীণ সমাজে ব্যবহৃত হয়। তবে জাতীয় পর্যায়ে মান বাংলায় কথা বলা উচিত। আমার মেয়েকে অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে ভর্তি করিয়েছিলাম। সে ইংরেজি মাধ্যমে পড়ত। একপর্যায়ে দেখলাম তার ইংরেজি উচ্চারণ ভীষণ খারাপ। এটা সে শিখেছে স্কুলের শিক্ষক ও বন্ধুদের কাছ থেকে। পরে আমি ওকে বাংলা মাধ্যমে পড়ার জন্য ভিকারুননিসা নূন স্কুলে ভর্তি করি। আসলে ভাষা বিকৃতি শুরু হয় পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। আজকাল আমাদের টেলিভিশন, এফএম রেডিও শুনলে মনে হয় অস্বাভাবিক ভাষার অনুষ্ঠান শুনছি। একটি শিক্ষিত পরিবার নিশ্চয় অস্বাভাবিক বাংলা ব্যবহার করে না। এ জন্য শুদ্ধ ভাষা শুনতে মাঝেমধ্যে স্টার জলসা ও জি-বাংলা দেখি। পশ্চিমবঙ্গ এ মুহূর্তে বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি চর্চা করতে গিয়ে এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে তারা শুদ্ধ বাংলা হারিয়ে ফেলছে। ইদানীং ইংরেজি মাধ্যমে পড়া ছেলেমেয়েরা ভালো বাংলা বলতে পারে না। তারা পড়াশোনা শেষ করে বিদেশে চলে যায়। এও ঘোরতর সংকট। অথচ পৃথিবীর অন্যান্য দেশ তাদের মাতৃভাষা ব্যবহারে বিশেষ সচেতন। সব স্তরে সচেতনতার জন্য নানামুখী উদ্যোগ নিতে হবে। আমি মনে করি সর্বজনীন গ্রহণযোগ্য বাংলা ভাষার ব্যবহারে সরকার ও মিডিয়াকে উদ্যোগ নিতে হবে। আমি আশাবাদী মানুষ। এ জন্য বলছি ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে পরিবার পর্যায়েও সচেতন থাকতে হবে। শিশুরা যেন মাতৃভাষা ভালোভাবে শেখে সেদিকে বাবা-মাকে বিশেষ যত্ন নিতে হবে। লেখক : কথাশিল্পী

সুত্র, দৈনিক প্রতিদিন ।