ঢাকা ০১:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
হবিগঞ্জ জেলা এসোসিয়েশন ইন স্পেনের আংশিক কমিটি ঘোষণা বার্সেলোনায় বাংলা স্কুলের উদ্যোগে বিজয় দিবস ও পিঠা মেলার আয়োজন মাদ্রিদে স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের সভা অনুষ্ঠিত স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের সাথে নর্থ ইংল্যান্ড জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় বার্সেলোনায় সিক্স এ সাইড ফুটবল টুর্নামেন্টের সমাপনী খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত বার্সেলোনায় বিয়ানীবাজার সরকারী কলেজের প্রাক্তন ছাত্রদের মিলন মেলা ও নৈশভোজ বার্সেলোনায় ব্যপক আনন্দ-উৎসবে দুর্গাপূজা উদযাপিত সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের মুক্তির দাবীতে স্পেনে প্রতিবাদ সভা কাতালোনিয়া বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত মাদ্রিদে শাহজালাল লতিফিয়া মসজিদের ফলাফল ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন

বাংলাদেশীদের টাকা আবারো আলোচনায় সুইস ব্যাংক

জনপ্রিয় অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৮:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুন ২০২১ ৮০১ বার পড়া হয়েছে

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশীদের টাকা আবারো আলোচনায় এসেছে। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশীদের আমানত রয়েছে পাঁচ হাজার ২৯১ কোটি টাকা। যা আগের বছরের তুলনায় ৩৭৬ কোটি টাকা কম।

২০১৯ সালে টাকার পরিমাণ ছিল পাঁচ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা। কর ফাঁকির আন্তর্জাতিক স্বর্গ হিসেবে পরিচিত ব্যাংকস ইন সুইজারল্যান্ড ক’বছর হলো কিছুটা জবাবদিহির মধ্যে এসেছে। আগে তারা অর্থের উৎস প্রকাশ করত না। এখন তারা সুনির্দিষ্ট তথ্য না দিলেও দেশভিত্তিক আমানতের টাকার পরিমাণ প্রকাশ করছে।

২০০২ সনে বিশ্বব্যাপী অর্থ পাচার রোধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন কার্যকর হওয়ার পর বার্ষিক ভিত্তিতে আমানতের হিসাব দিচ্ছে সুইজারল্যান্ড। এসব কারণে অনেকেই সুইস ব্যাংকে টাকা আমানত রাখতে উৎসাহী হচ্ছেন না।

যারা আগে সুইস ব্যাংকে টাকা রাখতেন তারা এখন বেছে নিচ্ছেন লুক্সেমবার্গ, পানামা, বৃটিশ ভার্জিন, বার্মুডা, ও সিঙ্গাপুরকে।

সুইজারল্যান্ডের সংবিধান ও ব্যাংকিং আইন অনুসারে, গ্রাহকদের গোপনীয়তা কঠোরভাবে রক্ষা করা হয়।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের পরেই রয়েছে বাংলাদেশের অবস্থান। তবে কোন কোন বাংলাদেশী টাকা জমা রেখেছেন সুইস ব্যাংকের বার্ষিক রিপোর্টে তার উল্লেখ নেই।

বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান বলেছেন, সুইস ব্যাংকে গচ্ছিত টাকার মধ্যে সবই পাচার হওয়া নয়। এর মধ্যে যারা সুইজারল্যান্ডে কাজ করছেন তাদের টাকাও রয়েছে।

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে বৈধভাবে টাকা নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়নি। পাচার হওয়া টাকা ফেরৎ আনার প্রক্রিয়া খুবই জটিল। নানাভাবে চেষ্টা করছে বাংলাদেশ।

উল্লেখ্য যে, ২০০৬ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে বাংলাদেশ থেকে সাড়ে চার লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। কীভাবে এই বিপুল পরিমাণ টাকা পাচার হয়েছে এর কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই।

গ্লোবাল ফিক্সড ইনকাম রিয়েলাইজেশন (জিএফআইআর) এর মতে, বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি মুল্য কম দেখানো, হুন্ডি ও ভিওআইপি ব্যবসার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা পাচার হচ্ছে। টাকা পাচারে বিশ্বের ৩০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।

সংস্থাটির কাছে তথ্য রয়েছে, বাংলাদেশের মোট বাণিজ্যের প্রায় ২০ শতাংশই নানা পন্থায় পাচার হয়ে যাচ্ছে।

সূত্র : ভয়েচ অব আমেরিকা

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বাংলাদেশীদের টাকা আবারো আলোচনায় সুইস ব্যাংক

আপডেট সময় : ০৬:৩৮:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুন ২০২১

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশীদের টাকা আবারো আলোচনায় এসেছে। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশীদের আমানত রয়েছে পাঁচ হাজার ২৯১ কোটি টাকা। যা আগের বছরের তুলনায় ৩৭৬ কোটি টাকা কম।

২০১৯ সালে টাকার পরিমাণ ছিল পাঁচ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা। কর ফাঁকির আন্তর্জাতিক স্বর্গ হিসেবে পরিচিত ব্যাংকস ইন সুইজারল্যান্ড ক’বছর হলো কিছুটা জবাবদিহির মধ্যে এসেছে। আগে তারা অর্থের উৎস প্রকাশ করত না। এখন তারা সুনির্দিষ্ট তথ্য না দিলেও দেশভিত্তিক আমানতের টাকার পরিমাণ প্রকাশ করছে।

২০০২ সনে বিশ্বব্যাপী অর্থ পাচার রোধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন কার্যকর হওয়ার পর বার্ষিক ভিত্তিতে আমানতের হিসাব দিচ্ছে সুইজারল্যান্ড। এসব কারণে অনেকেই সুইস ব্যাংকে টাকা আমানত রাখতে উৎসাহী হচ্ছেন না।

যারা আগে সুইস ব্যাংকে টাকা রাখতেন তারা এখন বেছে নিচ্ছেন লুক্সেমবার্গ, পানামা, বৃটিশ ভার্জিন, বার্মুডা, ও সিঙ্গাপুরকে।

সুইজারল্যান্ডের সংবিধান ও ব্যাংকিং আইন অনুসারে, গ্রাহকদের গোপনীয়তা কঠোরভাবে রক্ষা করা হয়।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের পরেই রয়েছে বাংলাদেশের অবস্থান। তবে কোন কোন বাংলাদেশী টাকা জমা রেখেছেন সুইস ব্যাংকের বার্ষিক রিপোর্টে তার উল্লেখ নেই।

বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান বলেছেন, সুইস ব্যাংকে গচ্ছিত টাকার মধ্যে সবই পাচার হওয়া নয়। এর মধ্যে যারা সুইজারল্যান্ডে কাজ করছেন তাদের টাকাও রয়েছে।

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে বৈধভাবে টাকা নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়নি। পাচার হওয়া টাকা ফেরৎ আনার প্রক্রিয়া খুবই জটিল। নানাভাবে চেষ্টা করছে বাংলাদেশ।

উল্লেখ্য যে, ২০০৬ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে বাংলাদেশ থেকে সাড়ে চার লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। কীভাবে এই বিপুল পরিমাণ টাকা পাচার হয়েছে এর কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই।

গ্লোবাল ফিক্সড ইনকাম রিয়েলাইজেশন (জিএফআইআর) এর মতে, বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি মুল্য কম দেখানো, হুন্ডি ও ভিওআইপি ব্যবসার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা পাচার হচ্ছে। টাকা পাচারে বিশ্বের ৩০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।

সংস্থাটির কাছে তথ্য রয়েছে, বাংলাদেশের মোট বাণিজ্যের প্রায় ২০ শতাংশই নানা পন্থায় পাচার হয়ে যাচ্ছে।

সূত্র : ভয়েচ অব আমেরিকা