বরগুনায় লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: ৩০ জনের জানাজা সম্পন্ন
- আপডেট সময় : ০১:০০:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২১ ৭০০ বার পড়া হয়েছে
গত (বৃহস্পতিবার) ঢাকা থকে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসা লঞ্চটি ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে চলন্ত অবস্থায় রাত তিনটার দিকে আগুন ধরে যায়। লঞ্চটি দ্রুত ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের দিয়াকুল এলাকায় ভেড়ানো হয়। যাত্রীদের অনেকে প্রাণ বাঁচাতে রাতের আঁধারে নদিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ভোররাতে স্থানীয় বাসিন্দারা নৌকা নিয়ে তাঁদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন।
দিনভর উদ্ধার অভিযান চালিয়ে ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ, কোস্ট গার্ড ৩৫ জনের লাশ উদ্ধারের পাশাপাশি ৭২ জনকে জীবিত উদ্ধার করে। নিহতদের বেশির ভাগই নারী, শিশু ও প্রবীণ। দগ্ধ হয়ে লাশ বিকৃত ও খণ্ডিত হওয়ায় স্বজনরা নিহতদের শনাক্ত করতে পারছেন না।
সরকারী হিসাব মতে, এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যে ৯ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি ৩২ লাশ বরগুনা জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেছে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন। এর মধ্যে দুই জনের লাশ শনাক্ত হয়েছে।
বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জানান, পোটকাখালীতে ২৯টি মরদেহ গণকবরে দাফন করা হয়েছে। এসব মরদেহের ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। শনাক্তের ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে কবর বুঝিয়ে দেয়া হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, সুগন্ধা নদীতে লঞ্চ অগ্নিকাণ্ডে আহত ৮১ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৪৬ জনের চিকিৎসা চলছে। ১৬ জনকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, অগ্নিকাণ্ডে আহতদের মধ্যে ২১ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়। তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ৪ জনকে চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন ১৫ জনের চিকিৎসা চলছে। দুই জনকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে। একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আর একজন চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান।