স্পেনের বার্সেলোনার নিকটবর্তী শহর শান্ত আনদ্রেও দে লা বারসাতে ধর্ষনের জেরে বাংলাদেশী তানিয়া প্রধান (৩৪) কর্তৃক আরেক স্বদেশী আব্দুর রহমান লিটনের (৪৭) পুরুষাঙ্গ কর্তনের খবর প্রকাশ করেছে স্পেনের বিভিন্ন প্রথম সারির গনমাধ্যম।

স্পেনিশ টিভি চ্যানেল লা সেক্সতার খবরে বলা হয়  লিটনের বারের অন্য কার্মচারীর বরাত দিয়ে উল্লেখ করে যে লিটন এবং তানিয়ার মধ্যে স্বামী স্ত্রীর মত সম্পর্ক ছিলো  এবং ঈর্ষার কারনে তানিয়া এ ঘটনা ঘটান । এছাড়া বারের মালিকের সুত্রে জানা যায় ২/১ পর তাদের বাংলাদেশ বেড়াতে যাওয়ার কথা ছিলো  এবং দেশ থেকে লিটনের এক আত্মীয়কে নিজ প্রতিষ্ঠানে কাজ দেওয়ার পরিক্পনা ছিলো ।

কাতালান পুলিশের বরাতে বলা হয় লিটনের শাররিক অবস্হা স্বাভাবিক না হওয়ায় তার জবানবন্দি গ্রহন করা হয় নাই । সুস্হ হলে তার বিরোদ্ধে অপরাধের অভিযোগ আনা হবে কিনা তা আদালত সিদ্ধান্ত নিবে । এছাড়া লা সেক্সতা উল্লেখ করে তানিয়ার জবানবন্দিতে  বৈপরিত্য পাওয়া গেছে ।  বৃহস্পতিবার আদালতে উঠানো হবে ।

খোজ নিয়ে জানা গেছে, তানিয়া প্রধান বাংলাদেশের চাদপুরের মেয়ে এবং আব্দুর রহমান লিটনের বাড়ি নরসিংদী। তানিয়া সাবেক স্বামী ইসমাইলের মাধ্যমে স্পেনের বার্সেলোনায় আসে এবং পরবর্তীতে তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘঠে। বেশ কিছুদিন আগে তানিয়া দেশে গিয়ে পূনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার বিষয়টিও ঘনিষ্ঠ মাধ্যম নিশ্চিত করেছে। লিটনের ও বাংলাদেশে স্ত্রী সন্তান রয়েছে ।

লিটনের রেষ্টুরেন্টে তানিয়া বেশ কিছুদিন থেকে কাজ করে আসছে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তানিয়া বলেছে, লিটন বেশ কয়েকবার জোর করে যৌন সম্পর্ক করেছে এবং ঘটনার দিন পূনরায় চেষ্ঠাকালে ধারালো চাকু দিয়ে পুরুষাঙ্গ কর্তন করে। এ ঘটনায় পুলিশ তানিয়াকে গ্রেফতার করে। অপরদিকে লিটনের সফল অস্ত্রপ্রচার সম্পন্ন হয়েছে ।

রেষ্টুরেন্টে কর্মরত অন্য কর্মচারী এবং পাশের রেষ্টুরেন্টের মালিকের সূত্রে জানা যায়, ওদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত প্রেমের সম্পর্ক ছিল, তবে স্থানীয় লোকদের কাছে বাংলাদেশী দম্পতি হিসেবে পরিচিত।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশী বিভিন্ন মহিলা সংগঠনে তানিয়া প্রধানের সরব উপস্থিতির কারণে কমিউনিটিতে বেশ পরিচিত মূখ হওয়ায় ঘটনাটি বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।