ঢাকা ১০:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
স্পেনে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস উদযাপন মহিলা সমিতি বার্সেলোনার পহেলা বৈশাখ উদযাপন বাংলাদেশ কোলতোরাল এসোসিয়েশন এন কাতালোনিয়ার ৯ সদস্য বিশিষ্ট সমন্বয় কমিটি গঠন টেনেরিফে ঈদুল ফিতর উদযাপন ও ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠিত শান্তাকলমায় শরীয়তপুর জেলা সমিতির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত নোয়াখালী এসোসিয়েশনের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন বার্সেলোনায় গোলাপগঞ্জ অ্যাসোসিয়েশনের ইফতার সম্পন্ন বিয়ানীবাজার পৌরসভা ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট বার্সেলোনার ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত বার্সেলোনায় বিয়ানীবাজার ইয়াং স্টারের ইফতার সম্পন্ন বার্সেলোনা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তাফসীরুল কুরআন ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত

নেক সন্তান লাভের আমল ও দোয়া

জনপ্রিয় অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৪:১৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ মার্চ ২০২১ ৬৫০ বার পড়া হয়েছে

সন্তানের জন্য আল্লাহর কাছে তাঁর প্রার্থনা ছিল অবিরত। তিনি হলেন হজরত জাকারিয়া আলাইহিস সালাম। যিনি বার্ধক্যে উপনীত হওয়ার পরও মহান আল্লাহ তাআলা তাঁকে দান করেছিলেন একজন নেক সন্তান। কী দোয়া করেছিলেন তিনি? সন্তান লাভের কার্যকরী আমলই বা কী?

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘মহান আল্লাহর কাছে দোয়ার চেয়ে অধিক মর্যাদাপূর্ণ বিষয় আর নেই।’ (তিরমিজি) আর আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে তাঁর কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করতে বলেছেন- তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা মুমিন : আাত ৬০)

হজরত জাকারিয়া আলাইহিস সালামের নেক সন্তান পাওয়া প্রার্থনা ছিল খুবই পছন্দনীয়। তাঁর সেই কার্যকরী আমল ও দোয়া কবুলের কথা কুরআনুল কারিমে একাধিক স্থানে ওঠে এসেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন-

وَزَكَرِيَّا إِذْ نَادَى رَبَّهُ

‘আর যাকারিয়ার কথা স্মরণ করুন, যখন সে তার পালনকর্তার কাছে (দোয়া) আহ্বান করেছিল-

رَبِّ لَا تَذَرْنِي فَرْدًا وَأَنتَ خَيْرُ الْوَارِثِينَ

উচ্চারণ : রাব্বি লা তাজারনি ফারদাও ওয়া আংতা খায়রুল ওয়ারিছিন।’

অর্থ : ‘হে আমার পালনকর্তা! আমাকে একা রেখো না। তুমি তো উত্তম ওয়ারিস (দানের অধিকারী)।’ (সুরা আম্বিয়া : আয়াত ৮৯)

দোয়া কবুলের আমল

আল্লাহ তাআলা হজরত জাকারিয়া আলাইহিস সালামের দোয়া কবুল করেছিলেন। তাঁকে বাধ্যর্কে দান করেছিলেন ছেলে সন্তান। তবে সন্তান লাভে আমল কেমন হতে হবে; কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা সে কথাও উল্লেখ করেন-

فَاسْتَجَبْنَا لَهُ وَوَهَبْنَا لَهُ يَحْيَى وَأَصْلَحْنَا لَهُ زَوْجَهُ إِنَّهُمْ كَانُوا يُسَارِعُونَ فِي الْخَيْرَاتِ وَيَدْعُونَنَا رَغَبًا وَرَهَبًا وَكَانُوا لَنَا خَاشِعِينَ

‘তারপর আমি তার দোয়া কবুল করেছিলাম, তাকে দান করেছিলাম ইয়াহইয়া এবং তার জন্যে তার স্ত্রীকে প্রসব যোগ্য করেছিলাম। তারা সৎকর্মে ঝাঁপিয়ে পড়ত, তারা আশা ও ভীতি সহকারে আমাকে ডাকত এবং তারা ছিল আমার কাছে বিনীত।’ (সুরা আম্বিয়া : আয়াত ৯০)

এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা হজরত জাকারিয়া আলাইহিস সালামকে সন্তান দানের কথা তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি কীভাবে দোয়া করতে হবে তা-ও বর্ণনা করেছেন। দোয়া করার সময় অবশ্যই তাঁর আমল হতে হবে এমন-

– সন্তান পাওয়া আশা করতে হবে।

– দোয়ার আবেদনে থাকতে হবে ভয়।

– দোয়ার সময় বিনয়ী হতে হবে।

– সর্বোপরি সব সময় সৎ কাজে নিয়োজিত থাকতে হবে।

উল্লেখিত দোয়া বেশি বেশি পড়তে হবে। তবেই মহান আল্লাহ তার বান্দাদের সন্তান দানে ধন্য করতে পারেন।

আল্লাহ তাআলা নিঃসন্তান দম্পতিদের সন্তান লাভে আল্লাহর কাছে কুরআনের শেখানো ভাষায় দোয়া করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

নেক সন্তান লাভের আমল ও দোয়া

আপডেট সময় : ০৪:১৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ মার্চ ২০২১

সন্তানের জন্য আল্লাহর কাছে তাঁর প্রার্থনা ছিল অবিরত। তিনি হলেন হজরত জাকারিয়া আলাইহিস সালাম। যিনি বার্ধক্যে উপনীত হওয়ার পরও মহান আল্লাহ তাআলা তাঁকে দান করেছিলেন একজন নেক সন্তান। কী দোয়া করেছিলেন তিনি? সন্তান লাভের কার্যকরী আমলই বা কী?

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘মহান আল্লাহর কাছে দোয়ার চেয়ে অধিক মর্যাদাপূর্ণ বিষয় আর নেই।’ (তিরমিজি) আর আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে তাঁর কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করতে বলেছেন- তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা মুমিন : আাত ৬০)

হজরত জাকারিয়া আলাইহিস সালামের নেক সন্তান পাওয়া প্রার্থনা ছিল খুবই পছন্দনীয়। তাঁর সেই কার্যকরী আমল ও দোয়া কবুলের কথা কুরআনুল কারিমে একাধিক স্থানে ওঠে এসেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন-

وَزَكَرِيَّا إِذْ نَادَى رَبَّهُ

‘আর যাকারিয়ার কথা স্মরণ করুন, যখন সে তার পালনকর্তার কাছে (দোয়া) আহ্বান করেছিল-

رَبِّ لَا تَذَرْنِي فَرْدًا وَأَنتَ خَيْرُ الْوَارِثِينَ

উচ্চারণ : রাব্বি লা তাজারনি ফারদাও ওয়া আংতা খায়রুল ওয়ারিছিন।’

অর্থ : ‘হে আমার পালনকর্তা! আমাকে একা রেখো না। তুমি তো উত্তম ওয়ারিস (দানের অধিকারী)।’ (সুরা আম্বিয়া : আয়াত ৮৯)

দোয়া কবুলের আমল

আল্লাহ তাআলা হজরত জাকারিয়া আলাইহিস সালামের দোয়া কবুল করেছিলেন। তাঁকে বাধ্যর্কে দান করেছিলেন ছেলে সন্তান। তবে সন্তান লাভে আমল কেমন হতে হবে; কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা সে কথাও উল্লেখ করেন-

فَاسْتَجَبْنَا لَهُ وَوَهَبْنَا لَهُ يَحْيَى وَأَصْلَحْنَا لَهُ زَوْجَهُ إِنَّهُمْ كَانُوا يُسَارِعُونَ فِي الْخَيْرَاتِ وَيَدْعُونَنَا رَغَبًا وَرَهَبًا وَكَانُوا لَنَا خَاشِعِينَ

‘তারপর আমি তার দোয়া কবুল করেছিলাম, তাকে দান করেছিলাম ইয়াহইয়া এবং তার জন্যে তার স্ত্রীকে প্রসব যোগ্য করেছিলাম। তারা সৎকর্মে ঝাঁপিয়ে পড়ত, তারা আশা ও ভীতি সহকারে আমাকে ডাকত এবং তারা ছিল আমার কাছে বিনীত।’ (সুরা আম্বিয়া : আয়াত ৯০)

এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা হজরত জাকারিয়া আলাইহিস সালামকে সন্তান দানের কথা তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি কীভাবে দোয়া করতে হবে তা-ও বর্ণনা করেছেন। দোয়া করার সময় অবশ্যই তাঁর আমল হতে হবে এমন-

– সন্তান পাওয়া আশা করতে হবে।

– দোয়ার আবেদনে থাকতে হবে ভয়।

– দোয়ার সময় বিনয়ী হতে হবে।

– সর্বোপরি সব সময় সৎ কাজে নিয়োজিত থাকতে হবে।

উল্লেখিত দোয়া বেশি বেশি পড়তে হবে। তবেই মহান আল্লাহ তার বান্দাদের সন্তান দানে ধন্য করতে পারেন।

আল্লাহ তাআলা নিঃসন্তান দম্পতিদের সন্তান লাভে আল্লাহর কাছে কুরআনের শেখানো ভাষায় দোয়া করার তাওফিক দান করুন। আমিন।