ঢাকা ১২:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
হবিগঞ্জ জেলা এসোসিয়েশন ইন স্পেনের আংশিক কমিটি ঘোষণা বার্সেলোনায় বাংলা স্কুলের উদ্যোগে বিজয় দিবস ও পিঠা মেলার আয়োজন মাদ্রিদে স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের সভা অনুষ্ঠিত স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের সাথে নর্থ ইংল্যান্ড জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় বার্সেলোনায় সিক্স এ সাইড ফুটবল টুর্নামেন্টের সমাপনী খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত বার্সেলোনায় বিয়ানীবাজার সরকারী কলেজের প্রাক্তন ছাত্রদের মিলন মেলা ও নৈশভোজ বার্সেলোনায় ব্যপক আনন্দ-উৎসবে দুর্গাপূজা উদযাপিত সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের মুক্তির দাবীতে স্পেনে প্রতিবাদ সভা কাতালোনিয়া বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত মাদ্রিদে শাহজালাল লতিফিয়া মসজিদের ফলাফল ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন

নামাজের নির্দিষ্ট স্থানের অনুমতি দিলো না গ্রিস

জনপ্রিয় অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৭:০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ১০৮৮ বার পড়া হয়েছে

গ্রিসের সেলোনিকায় মুসলমানদের নামাজের জন্য নির্দিষ্ট স্থানের অনুমতির আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে গ্রিক কর্তৃপক্ষ। এর আগে গ্রিসের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরটির মুসলমানদের পক্ষ থেকে মেসেডোনিয়া-থ্রেস মুসলিমস এডুকেশন কালচার ফাউন্ডেশন নামাজের জন্য একটি স্বতন্ত্র স্থানের অনুমতির জন্য প্রয়োজনীয় প্রাথমিক প্রস্তুতির পর আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করে।

আনুষ্ঠানিক আবেদনের আগে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতির প্রক্রিয়ায় দুই বছর বিলম্ব করা হয়। পরে গ্রিসের শিক্ষা ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ে দীর্ঘদিন ফেলে রাখার পর প্রয়োজনীয় দলিল ও কারিগরি বিবরণ না থাকার অজুহাতে তা প্রত্যাখ্যান করা হয়।

ফাউন্ডেশনের সদস্যরা গ্রিক কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে বলেন, গ্রিস চায় সেলোনিকা ও আশেপাশের মুসলমানরা জামায়াতে নামাজের প্রয়োজনে রাস্তায় নামাজ পড়ুক।

তারা বলেন, ‘বিদ্যমান মসজিদগুলো গ্রিস খুলে দিচ্ছে না। আবার মুসলমানদের নামাজের জন্য ভিন্ন কোনো স্থানও দিচ্ছে না। আমাদের ফাউন্ডেশনের ভেতরে নামাজের আবেদনকেও প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে আইনি নীতিমালার অজুহাতে।’

গ্রিসের মুসলিমবিরোধী অবস্থান নতুন নয়। কিছুদিন আগ পর্যন্ত এথেন্স ছিল একমাত্র ইউরোপীয় রাজধানী, যেখানে কোনো মসজিদ ছিল না। বৃহত্তর এথেন্সের তিন লাখ মুসলমানের জন্য প্রথম ২০২০ সালের নভেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি মসজিদের উদ্বোধন করা হয়। স্থানীয় মুসলমানদের বহু বছরের চেষ্টার পর ১৯ শতকের পর প্রথমবারের মতো গ্রিসে এই মসজিদটির উদ্বোধন হয়।

কয়েক শতক উসমানিয়া সাম্রাজ্যের অধীনে থাকার পর ১৮২৯ সালে গ্রিস স্বাধীনতা লাভ করে। উসমানিয়া সাম্রাজ্যের অধীন হিসেবে এই ভূখণ্ডজুড়ে অনেক মসজিদ ও উসমানি স্থাপনা ছিল। উসমানিয়াদের বিরুদ্ধে গ্রিকদের যুদ্ধের সময় এই সকল মসজিদ ও স্থাপনা ধ্বংস করা হয় বা সরিয়ে নেয়া হয়। এর মাধ্যমে এথেন্স মসজিদশূন্য হয়ে পড়ে।

গ্রিসে সংখ্যালঘু মুসলমানদের অধিকার লঙ্ঘনে দীর্ঘদিন থেকেই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে তুরস্ক। মসজিদ বন্ধ করে দেয়া, সংস্কার না করে ঐতিহাসিক মসজিদগুলোকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া, মুসলমানদের নিজস্ব মুফতি নির্বাচনের স্বীকৃতি না দেয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে গ্রিস ১৯২৩ সালের লুজন চুক্তির সাথে সাথে ইউরোপিয়ান কোর্ট অব হিউম্যান রাইটসের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ করে আসছেন তুর্কি কর্মকর্তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

নামাজের নির্দিষ্ট স্থানের অনুমতি দিলো না গ্রিস

আপডেট সময় : ০৭:০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১

গ্রিসের সেলোনিকায় মুসলমানদের নামাজের জন্য নির্দিষ্ট স্থানের অনুমতির আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে গ্রিক কর্তৃপক্ষ। এর আগে গ্রিসের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরটির মুসলমানদের পক্ষ থেকে মেসেডোনিয়া-থ্রেস মুসলিমস এডুকেশন কালচার ফাউন্ডেশন নামাজের জন্য একটি স্বতন্ত্র স্থানের অনুমতির জন্য প্রয়োজনীয় প্রাথমিক প্রস্তুতির পর আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করে।

আনুষ্ঠানিক আবেদনের আগে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতির প্রক্রিয়ায় দুই বছর বিলম্ব করা হয়। পরে গ্রিসের শিক্ষা ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ে দীর্ঘদিন ফেলে রাখার পর প্রয়োজনীয় দলিল ও কারিগরি বিবরণ না থাকার অজুহাতে তা প্রত্যাখ্যান করা হয়।

ফাউন্ডেশনের সদস্যরা গ্রিক কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে বলেন, গ্রিস চায় সেলোনিকা ও আশেপাশের মুসলমানরা জামায়াতে নামাজের প্রয়োজনে রাস্তায় নামাজ পড়ুক।

তারা বলেন, ‘বিদ্যমান মসজিদগুলো গ্রিস খুলে দিচ্ছে না। আবার মুসলমানদের নামাজের জন্য ভিন্ন কোনো স্থানও দিচ্ছে না। আমাদের ফাউন্ডেশনের ভেতরে নামাজের আবেদনকেও প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে আইনি নীতিমালার অজুহাতে।’

গ্রিসের মুসলিমবিরোধী অবস্থান নতুন নয়। কিছুদিন আগ পর্যন্ত এথেন্স ছিল একমাত্র ইউরোপীয় রাজধানী, যেখানে কোনো মসজিদ ছিল না। বৃহত্তর এথেন্সের তিন লাখ মুসলমানের জন্য প্রথম ২০২০ সালের নভেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি মসজিদের উদ্বোধন করা হয়। স্থানীয় মুসলমানদের বহু বছরের চেষ্টার পর ১৯ শতকের পর প্রথমবারের মতো গ্রিসে এই মসজিদটির উদ্বোধন হয়।

কয়েক শতক উসমানিয়া সাম্রাজ্যের অধীনে থাকার পর ১৮২৯ সালে গ্রিস স্বাধীনতা লাভ করে। উসমানিয়া সাম্রাজ্যের অধীন হিসেবে এই ভূখণ্ডজুড়ে অনেক মসজিদ ও উসমানি স্থাপনা ছিল। উসমানিয়াদের বিরুদ্ধে গ্রিকদের যুদ্ধের সময় এই সকল মসজিদ ও স্থাপনা ধ্বংস করা হয় বা সরিয়ে নেয়া হয়। এর মাধ্যমে এথেন্স মসজিদশূন্য হয়ে পড়ে।

গ্রিসে সংখ্যালঘু মুসলমানদের অধিকার লঙ্ঘনে দীর্ঘদিন থেকেই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে তুরস্ক। মসজিদ বন্ধ করে দেয়া, সংস্কার না করে ঐতিহাসিক মসজিদগুলোকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া, মুসলমানদের নিজস্ব মুফতি নির্বাচনের স্বীকৃতি না দেয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে গ্রিস ১৯২৩ সালের লুজন চুক্তির সাথে সাথে ইউরোপিয়ান কোর্ট অব হিউম্যান রাইটসের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ করে আসছেন তুর্কি কর্মকর্তারা।