ভারতের জি-২০ সম্মেলনে জলাবায়ু পরিবর্তন
দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় যা থাকছে
- আপডেট সময় : ০৭:০৪:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৬০৭ বার পড়া হয়েছে
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে গতকাল শুরু হয়েছে জি-২০ সম্মেলন। আজ এ সম্মেলনের দ্বিতীয় ও শেষ দিন। গতকাল পর্যন্ত সম্মেলন থেকে যৌথ বিবৃতির বিষয়ে বিশ্বনেতারা একমত হয়েছেন, যা এক মাসের মধ্যে হয়ে যাওয়া আসিয়ান ও ব্রিকস সম্মেলন থেকে সম্ভব হয়নি। সেখান থেকে কোনো যৌথ বিবৃতি আসেনি।
ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, দিল্লিতে বিশ্বনেতারা সম্মেলনের জন্য একত্রিত হয়েছেন। তারা দ্বিতীয় দিন জলাবায়ু পরিবর্তন, পারস্পরিক আস্থার ঘাটতি এবং বৈশ্বিক অর্থনীতি নিয়ে বিভিন্ন সমস্যা আলোচনা করা হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ বিশ্বনেতারা রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধ পরিদর্শনে যাবেন। এ ছাড়া ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর ও জি-২০-এর শার্পা আমিতাভ কান্ত স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় সম্মেলনের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরবেন।
সম্মেলনে এখন পর্যন্ত অলোচিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।
১.সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে আলোচনার শুরুতে থাকতে পারে বৈশ্বিক আস্থার সংকট সমাধানে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্র ভারত সৌদি আরব ও উপসাগরীয় দেশগুলোর নিয়ে নতুন কোনো জোটের ঘোষণাও আসতে পারে।
২. সম্মেলনে জি-২০ সদস্য রাষ্ট্রগুলো দিল্লি ডিক্লিয়ারেশন অনুমোদন দিয়েছে। শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা বজায় রাখতে এটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
৩. সম্মেলনে বলা হয়, আমরা সমস্ত রাষ্ট্রকে আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতায় বহুপাক্ষিক ব্যবস্থাসহ আন্তর্জাতিক আইনের নীতিগুলিকে সমুন্নত রাখার জন্য আহ্বান জানাই।
৪. সম্মেলনে চীন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট যোগ না দিলেও তারা দিল্লি ডিক্লিয়ারেশনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে।
৫. সম্মেলনে সব সদস্য দেশ অন্যের ভূখণ্ড দখলের জন্য বলপ্রয়োগ না করার আহ্বান জানিয়েছে। তবে তারা ইউক্রেনে আগ্রাসনের নিন্দা না জানানোয় এর সমালোচনা করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা বলছে, নিষয়টি আরও গভীরভাবে পর্যালোচনা করা যেত।
৬. জোটটির আশা আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষমতা তিনগুণ হবে। এ জন্য তারা কয়লা জ্বালানি ব্যবস্থা হ্রাস করবে এবং সমস্ত দূষণকারী জীবাশ্ম জ্বালানি তেকে সরে আসবে।
৭. জোটটির দাবি তারা বিশ্বের জিডিপির ৮৫ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব এবং জীবাশ্ম জ্বালানি নির্গমন করছে। এ সময়ে তারা ২০০৯ সালের পিটাসবার্গ প্রতিশ্রুতি বজায় রাখার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
৮. সম্মেলনে আফ্রিকান ইউনিয়নকে জোটের স্থায়ী সদস্য হিসেবে অনুমোদন করা হয়েছে।