ঢাকা ০৫:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মজলিসু দাওয়াতুল হক বার্সেলোনার আয়োজনে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত স্পেনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন বার্সেলোনায় বিশ্বনাথ আইডিয়াল অ্যাসোসিয়েশন আয়োজনে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বার্সেলোনায় বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের ইফতার সম্পন্ন বার্সেলোনায় কাপড়ের সমাহার নিয়ে “রোস প্যাটাল’স বাই তাইফা” প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন স্পেনে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন স্পেন বাংলা প্রেসক্লাব এর প্রথম সভা অনুষ্ঠিত বার্সেলোনায় স্বাধীনতা দিবস ক্রিকেট টুর্নামেন্ট সম্পন্ন অ্যাসোসিয়েশন কোলতুরাল উমানেতারিয়ার উদ্যোগে ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত স্পেনের হুয়ান কার্লোস ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি বসুন্ধরা গ্রুপের এমডির

জনপ্রিয় অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৭:১০:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১ ৬৪২ বার পড়া হয়েছে

বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর

মোসারাত জাহান মুনিয়া (২১) নামের এক তরুণীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। তিনি যেন দেশত্যাগ করতে না পারেন সে বিষয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন।

জানা যায়, গত সোমবার (২৬ এপ্রিল) রাতে গুলশান ২-এর ১২০ নম্বর সড়কের ওই ফ্ল্যাট থেকে মুনিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি রাজধানীর একটি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। একাই থাকতেন ওই ফ্ল্যাটে। এক লাখ টাকা ভাড়ায় মাস দুয়েক আগে ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেন তিনি। তবে তার পরিবার থাকে কুমিল্লা শহরে।

মরদেহ উদ্ধারের পর রাতেই মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে গুলশান থানায় মামলা করেন। মামলা নম্বর-২৭। মামলার আসামি করা হয় বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরকে (৪২)।

পরে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩০ মে দিন ধার্য করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ এপ্রিল বোন নুসরাতকে ফোন করে কান্নাকাটি করেন মুনিয়া। তিনি প্রতারিত হয়েছেন বলে জানান বোনকে। এমনকি তাদের দ্রুত ঢাকায়ও আসতে বলেন মুনিয়া। সোমবার নুসরাত স্বজনদের নিয়ে বেলা ২টার দিকে কুমিল্লা থেকে ঢাকার পথে রওয়ানা দেন। আসার পথে বারবার মুনিয়ার ফোনে ফোন করলেও সাড়া মেলেনি।

সোমবার সন্ধ্যায় ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে মুনিয়ার পরিবার দরজা বন্ধ পায়। ধাক্কাধাক্কি করলেও দরজা খুলছিল না। এরপর পুলিশে খবর দেয়া হয়। ফ্ল্যাট মালিকের উপস্থিতিতে মিস্ত্রি দিয়ে পুলিশ দরজার তালা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি বসুন্ধরা গ্রুপের এমডির

আপডেট সময় : ০৭:১০:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১

মোসারাত জাহান মুনিয়া (২১) নামের এক তরুণীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। তিনি যেন দেশত্যাগ করতে না পারেন সে বিষয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন।

জানা যায়, গত সোমবার (২৬ এপ্রিল) রাতে গুলশান ২-এর ১২০ নম্বর সড়কের ওই ফ্ল্যাট থেকে মুনিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি রাজধানীর একটি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। একাই থাকতেন ওই ফ্ল্যাটে। এক লাখ টাকা ভাড়ায় মাস দুয়েক আগে ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেন তিনি। তবে তার পরিবার থাকে কুমিল্লা শহরে।

মরদেহ উদ্ধারের পর রাতেই মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে গুলশান থানায় মামলা করেন। মামলা নম্বর-২৭। মামলার আসামি করা হয় বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরকে (৪২)।

পরে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩০ মে দিন ধার্য করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ এপ্রিল বোন নুসরাতকে ফোন করে কান্নাকাটি করেন মুনিয়া। তিনি প্রতারিত হয়েছেন বলে জানান বোনকে। এমনকি তাদের দ্রুত ঢাকায়ও আসতে বলেন মুনিয়া। সোমবার নুসরাত স্বজনদের নিয়ে বেলা ২টার দিকে কুমিল্লা থেকে ঢাকার পথে রওয়ানা দেন। আসার পথে বারবার মুনিয়ার ফোনে ফোন করলেও সাড়া মেলেনি।

সোমবার সন্ধ্যায় ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে মুনিয়ার পরিবার দরজা বন্ধ পায়। ধাক্কাধাক্কি করলেও দরজা খুলছিল না। এরপর পুলিশে খবর দেয়া হয়। ফ্ল্যাট মালিকের উপস্থিতিতে মিস্ত্রি দিয়ে পুলিশ দরজার তালা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে।