ছাত্র-জনতার ঢল শহীদ মিনারে
- আপডেট সময় : ০৫:২৪:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪ ২৪৯ বার পড়া হয়েছে
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করা শিক্ষার্থীদের মোর্চা-বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা বিক্ষোভ মিছিলে হাজারো মানুষের ঢল নেমেছে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। আজ শনিবার দুপুর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারে জড়ো হন তাঁরা। সেখানে তাঁরা—সরকারের পদত্যাগসহ নানা স্লোগান দেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা এ বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, আইনজীবী, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, সংস্কৃতি কর্মী ও শ্রমিকসহ সর্বস্তরের মানুষের উপস্থিতি রয়েছে।
সেখানে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি খেটে খাওয়া মানুষ, রিকশাচালকেরাও সংহতি জানিয়ে নানা স্লোগান দিচ্ছেন। রিকশাচালক মাহমুদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মানুষ এখন মুক্তি চায়। আমরা বুঝে গেছি, ছাত্রদের দাবি যৌক্তিক। তাঁদের দাবি এখন সকলের দাবি।’
ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের শিক্ষার্থী নাইমা বলেন, ‘এটি জনদাবিতে পরিণত হয়েছে। সবাই এখানে এসেছে। আমরাও এসেছি।’
ছাত্রদের এ বিক্ষোভ মিছিলে ডিবি কার্যালয়ে হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম, আসিফ মাহমুদ, নুসরাত তাবাসসুম ও আবু বাকের মজুমদারের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। তবে সংবাদ লেখা (বিকেল ৫টা ৩০) পর্যন্ত তাঁদের দেখা মেলেনি।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের জন্য গণভবনের দরজা খোলা। এর আগে আওয়ামী লীগের তিন নেতাকেও তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসার দায়িত্ব দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
আলোচনার বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ ফেসবুকে লিখেন, ‘যখন আমরা ডিবি অফিসে বন্দী ছিলাম তখনই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আন্দোলন স্থগিত করতে বলা হয়। এমনকি জোর করে গণভবনে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও চলছিল। এই প্রস্তাবের প্রতিবাদে ও মুক্তির দাবিতে আমরা অনশনে বসেছিলাম। আপসহীনতার মূল্য যদি মৃত্যুও হয় তাও পরিশোধ করতে প্রস্তুত আছি। ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের অংশগ্রহণ আহ্বান করছি।’