চট্টগ্রাম নগরীতে প্রায় দেড় লাখ ঘনফুট পাহাড় কাটা এবং প্রাকৃতিক এক ছড়া ভরাটের দায়ে একটি কওমি মাদ্রাসাকে ৭৮ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আদেশ দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। গতকাল সোমবার কেন্দ্রীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট শাখার এ আদেশ সংস্থার চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ে এসে পৌঁছেছে। গত ৩১ মার্চ এনফোর্সমেন্ট শাখার পরিচালক এ আদেশ দেন।
নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার জালালাবাদ আরেফিননগর এলাকায় জালালাবাদ তালীমুল কোরআন মাদ্রাসা নামের একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হাফেজ মো. তৈয়বকে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে ক্ষতিপূরণের অর্থ পরিশোধ এবং তিন মাসের মধ্যে কর্তন করা পাহাড় আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম মহানগরের উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক জানান, গত বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে তিন দফায় আরেফিননগর এলাকা পরিদর্শন করে কওমি মাদ্রাসার জন্য পাহাড় কাটার প্রমাণ পায় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শন দল। ওই পাহাড়ের চারটি স্থানে যথাক্রমে ৭০ হাজার ৩০০ ঘনফুট, ৯ হাজার ৬০০ ঘনফুট, ৭৫ হাজার ঘনফুট এবং ১ হাজার ২৫০ ঘনফুট পাহাড় কেটে সমান করা হয়েছে বলে পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে উঠে আসে। এ ছাড়া ছড়া শ্রেণির জমি ভরাটেরও প্রমাণ পায় অধিদপ্তরের টিম।
মিয়া মাহমুদুল হক বলেন, জালালাবাদ তালীমুল কোরআন মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পরিবেশ অধিদপ্তরের সদর দপ্তরে পাঠিয়েছিলাম। সদর দপ্তরের এনফোর্সমেন্ট শাখা থেকে মাদ্রাসার প্রতিনিধিকে শুনানিতে হাজির হওয়ার জন্য কয়েকবার নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু তারা কেউ হাজির হননি। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে পাহাড় কাটা ও ছড়া ভরাটের জন্য ৭৮ লাখ ৭ হাজার ৫০০ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
সুত্র,দৈনিক আমাদের সময় ।