ঢাকা ০৮:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাদের মির্জাকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত স্থগিত

জনপ্রিয় অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৫:০২:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ৮৭৮ বার পড়া হয়েছে

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে সংগঠন থেকে বহিস্কারের জন্য সুপারিশ ও দলের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতির বিজ্ঞপ্তিটি স্থগিত করা হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম এ বিজ্ঞপ্তিটি স্থগিত করেন।

এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম বলেন, ‘আবদুল কাদের মির্জাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের সুপারিশে আমার স্বশরীরে স্বাক্ষর করার সুযোগ হয়নি। মির্জা কাদেরের বিরুদ্ধে বহিষ্কারের যে সুপারিশ করা হয়েছে, তা আমি সভাপতি হিসেবে অনিবার্য কারণে স্থগিত করলাম।’

এর আগে আজ শনিবার বিকেল ৪টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মির্জা কাদেরকে দল থেকে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ ও সাংগঠনিক সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতির জন্য কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়। এর দুই ঘণ্টা না যেতেই সেই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে নেওয়া হরো।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে হামলা চালিয়ে গুরুতরভাবে আহত করেন। বিভিন্ন সভা সমাবেশ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে মিথ্যা, সংগঠনবিরোধী অশালীণ বক্তব্য ও আপত্তিকর উক্তি করেন। এছাড়া নেতা-কর্মীদের হুমকি প্রদান করার অভিযোগে আবদুল কাদের মির্জাকে সংগঠনের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।

একইসঙ্গে সংগঠনবিরোধী উল্লেখিত কারণ ও দলীয় গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে আবদুল কাদের মির্জাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে চূড়ান্তভাবে বহিস্কার করার জন্য আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ জানুয়ারি বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনের আগে থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনায় আসেন কাদের মির্জা। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই। এরই মধ্যে আবদুল কাদের মির্জা জেলার ডিসি, এসপি, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি, পরিদর্শকসহ প্রশাসন ও পুলিশের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন। একইসঙ্গে নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী ও ফেনী-২ আসনের সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারীর অপরাজনীতি, টেন্ডার-বাণিজ্য, চাকরি বাণিজ্য ও কমিশন বাণিজ্য বন্ধসহ বিভিন্ন অভিযোগের বিচারের দাবিতে আবদুল কাদের মির্জা আন্দোলন করে আসছেন।

নোয়াখালী ও ফেনীর দুই সাংসদের সঙ্গে আঁতাত করার অভিযোগ এনে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি, পরিদর্শকের প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আন্দোলন ও হরতালসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কাদের মির্জাকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত স্থগিত

আপডেট সময় : ০৫:০২:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২১

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে সংগঠন থেকে বহিস্কারের জন্য সুপারিশ ও দলের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতির বিজ্ঞপ্তিটি স্থগিত করা হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম এ বিজ্ঞপ্তিটি স্থগিত করেন।

এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম বলেন, ‘আবদুল কাদের মির্জাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের সুপারিশে আমার স্বশরীরে স্বাক্ষর করার সুযোগ হয়নি। মির্জা কাদেরের বিরুদ্ধে বহিষ্কারের যে সুপারিশ করা হয়েছে, তা আমি সভাপতি হিসেবে অনিবার্য কারণে স্থগিত করলাম।’

এর আগে আজ শনিবার বিকেল ৪টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মির্জা কাদেরকে দল থেকে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ ও সাংগঠনিক সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতির জন্য কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়। এর দুই ঘণ্টা না যেতেই সেই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে নেওয়া হরো।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে হামলা চালিয়ে গুরুতরভাবে আহত করেন। বিভিন্ন সভা সমাবেশ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে মিথ্যা, সংগঠনবিরোধী অশালীণ বক্তব্য ও আপত্তিকর উক্তি করেন। এছাড়া নেতা-কর্মীদের হুমকি প্রদান করার অভিযোগে আবদুল কাদের মির্জাকে সংগঠনের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।

একইসঙ্গে সংগঠনবিরোধী উল্লেখিত কারণ ও দলীয় গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে আবদুল কাদের মির্জাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে চূড়ান্তভাবে বহিস্কার করার জন্য আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ জানুয়ারি বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনের আগে থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনায় আসেন কাদের মির্জা। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই। এরই মধ্যে আবদুল কাদের মির্জা জেলার ডিসি, এসপি, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি, পরিদর্শকসহ প্রশাসন ও পুলিশের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন। একইসঙ্গে নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী ও ফেনী-২ আসনের সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারীর অপরাজনীতি, টেন্ডার-বাণিজ্য, চাকরি বাণিজ্য ও কমিশন বাণিজ্য বন্ধসহ বিভিন্ন অভিযোগের বিচারের দাবিতে আবদুল কাদের মির্জা আন্দোলন করে আসছেন।

নোয়াখালী ও ফেনীর দুই সাংসদের সঙ্গে আঁতাত করার অভিযোগ এনে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি, পরিদর্শকের প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আন্দোলন ও হরতালসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন।