ঢাকা ১১:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
স্পেনে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস উদযাপন মহিলা সমিতি বার্সেলোনার পহেলা বৈশাখ উদযাপন বাংলাদেশ কোলতোরাল এসোসিয়েশন এন কাতালোনিয়ার ৯ সদস্য বিশিষ্ট সমন্বয় কমিটি গঠন টেনেরিফে ঈদুল ফিতর উদযাপন ও ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠিত শান্তাকলমায় শরীয়তপুর জেলা সমিতির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত নোয়াখালী এসোসিয়েশনের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন বার্সেলোনায় গোলাপগঞ্জ অ্যাসোসিয়েশনের ইফতার সম্পন্ন বিয়ানীবাজার পৌরসভা ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট বার্সেলোনার ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত বার্সেলোনায় বিয়ানীবাজার ইয়াং স্টারের ইফতার সম্পন্ন বার্সেলোনা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তাফসীরুল কুরআন ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত

ইভিএম ব্যবহার বাতিলে পাকিস্তানে বিল পাস

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:০৬:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ মে ২০২২ ২৮৪ বার পড়া হয়েছে

সাধারণ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার বন্ধের পাশাপাশি বিদেশে বসবাসরত পাকিস্তানিদের ভোটদান বাতিলে পাকিস্তানের সংসদের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে একটি বিল পাস হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচনী (সংশোধনী) বিল-২০২২ শীর্ষক এই বিল পাস হয়।

দেশটির সংসদীয় কল্যাণবিষয়ক মন্ত্রী মুর্তজা জাভেদ আব্বাসি বৃহস্পতিবার জাতীয় পরিষদে বিলটি উপস্থাপন করেন; যা সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পাস হয়। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ (শুক্রবার) দেশটির সংসদের উচ্চকক্ষ সিনেটে বিলটি পাঠানো হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

আইনটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে দেশটির আইন ও বিচারমন্ত্রী আজম নাজির তারার বলেন, এটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এসময় তিনি পাকিস্তানের পিটিআই নেতৃত্বাধীন বিদায়ী সরকারের বেশ কয়েকবার নির্বাচনী আইন-২০১৭ সংশোধনীর ব্যাপারে কথা বলেন। পিটিআইয়ের আনা সংশোধনীতে ইভিএম ব্যবহারের অনুমতি এবং দেশের সাধারণ নির্বাচনে প্রবাসী পাকিস্তানিদের ভোট দেওয়ার অধিকার দেয়া হয়েছিল।

পিটিআই নেতৃত্বাধীন সরকার নির্বাচন (দ্বিতীয় সংশোধনী) বিল-২০২১ এর মাধ্যমে এ আইনে পরিবর্তন এনেছিল। গত বছরের ২১ নভেম্বর অন্যান্য ৩২টি আইনের সাথে নির্বাচনী আইনে সংশোধনী আনা হয়। মন্ত্রী তারার বলেন, আজ বিলটি উপস্থাপনের মাধ্যমে সংশোধনীর আগের নির্বাচনী আইন-২০১৭ পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এই আইনের মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত হবে।

নতুন বিল অনুযায়ী, আইনের ৯৪ এবং ১০৩ ধারায় সংশোধনী আনা হচ্ছে। এ দুই ধারায় প্রবাসী পাকিস্তানিদের ভোটদান এবং ইভিএম ব্যবহারকে পাইলট প্রকল্প হিসেবে পরিচালনা করছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় বিলটি এখন সিনেটে তোলা হবে। সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার এবং প্রবাসী পাকিস্তানের ভোটদানের ক্ষমতা বাতিল হয়ে যাবে।

সূত্র : ডন অনলাইন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ইভিএম ব্যবহার বাতিলে পাকিস্তানে বিল পাস

আপডেট সময় : ০১:০৬:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ মে ২০২২

সাধারণ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার বন্ধের পাশাপাশি বিদেশে বসবাসরত পাকিস্তানিদের ভোটদান বাতিলে পাকিস্তানের সংসদের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে একটি বিল পাস হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচনী (সংশোধনী) বিল-২০২২ শীর্ষক এই বিল পাস হয়।

দেশটির সংসদীয় কল্যাণবিষয়ক মন্ত্রী মুর্তজা জাভেদ আব্বাসি বৃহস্পতিবার জাতীয় পরিষদে বিলটি উপস্থাপন করেন; যা সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পাস হয়। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ (শুক্রবার) দেশটির সংসদের উচ্চকক্ষ সিনেটে বিলটি পাঠানো হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

আইনটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে দেশটির আইন ও বিচারমন্ত্রী আজম নাজির তারার বলেন, এটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এসময় তিনি পাকিস্তানের পিটিআই নেতৃত্বাধীন বিদায়ী সরকারের বেশ কয়েকবার নির্বাচনী আইন-২০১৭ সংশোধনীর ব্যাপারে কথা বলেন। পিটিআইয়ের আনা সংশোধনীতে ইভিএম ব্যবহারের অনুমতি এবং দেশের সাধারণ নির্বাচনে প্রবাসী পাকিস্তানিদের ভোট দেওয়ার অধিকার দেয়া হয়েছিল।

পিটিআই নেতৃত্বাধীন সরকার নির্বাচন (দ্বিতীয় সংশোধনী) বিল-২০২১ এর মাধ্যমে এ আইনে পরিবর্তন এনেছিল। গত বছরের ২১ নভেম্বর অন্যান্য ৩২টি আইনের সাথে নির্বাচনী আইনে সংশোধনী আনা হয়। মন্ত্রী তারার বলেন, আজ বিলটি উপস্থাপনের মাধ্যমে সংশোধনীর আগের নির্বাচনী আইন-২০১৭ পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এই আইনের মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত হবে।

নতুন বিল অনুযায়ী, আইনের ৯৪ এবং ১০৩ ধারায় সংশোধনী আনা হচ্ছে। এ দুই ধারায় প্রবাসী পাকিস্তানিদের ভোটদান এবং ইভিএম ব্যবহারকে পাইলট প্রকল্প হিসেবে পরিচালনা করছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় বিলটি এখন সিনেটে তোলা হবে। সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার এবং প্রবাসী পাকিস্তানের ভোটদানের ক্ষমতা বাতিল হয়ে যাবে।

সূত্র : ডন অনলাইন।