ইউরোপে পুরুষের তুলনায় নারীরা অর্থনৈতিকভাবে অস্বচ্ছল, প্রয়োজন বৃহত্তর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে এ সংক্রান্ত গবেষণা কাজে যুক্ত ছিলেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত ওলিভিয়ের ডি শাটার। ইউএন নিউজ।
তিনি বলেন, ইউরোপে পুরুষদের দারিদ্র্যতার হার ২০.৪ শতাংশ এবং এই হার নারীর ক্ষেত্রে ২২.৩ শতাংশ। আশঙ্কাজনক বিষয় হলো নারীরা যখন পেনশন পাওয়ার বয়সে পৌঁছান, ঐ সময় তাদের দারিদ্র্র্যতা ৩৭.২ শতাংশে এসে দাঁড়ায়। এর কারণ হিসেবে ওলিভিয়ের বলেন, এখানকার নারীদের সন্তান লালন ও ঘরের কাজ করায় বেশি সময় দিতে হয়। এক্ষেত্রে অনেকে পার্ট টাইম চাকরি নিয়ে থাকেন, অনেকে অর্থ উপার্জনের দিকে যেতেই পারে না। এছাড়া পুরুষের তুলনায় নারীদের বেতন–ভাতাও এখানে কম।
ইউরোপে নারীদের আর্থিক অস্বচ্ছলতার চিত্র এর থেকে আরও খারাপ বলে মনে করেন ওলিভিয়ের। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে গৃহস্থলি ও সন্তান লালনের কাজ নারী–পুরুষ উভয়কেই ভাগাভাগি করে নিতে হবে। সেই সঙ্গে ইইউয়ের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে শৈশবকালীন শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে, যাতে নারীরা ফুল টাইম চাকরিতে অংশ নিতে পারে। তবে এই আয়ের বৈষম্য দূর করা বেশ কষ্টসাধ্য হবে বলেও মনে করেন ওলিভিয়ের।