ঢাকা ০৭:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সর্বপ্রথম স্পেনে “মুজিব: একটি জাতির রূপকার” বায়োপিক প্রদর্শিত হলো

জনপ্রিয় অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৬:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪ ১৭১ বার পড়া হয়েছে

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুমহান জীবন ও চিরায়ত আদর্শকে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্পেনের জনপরিসরে নান্দনিকভাবে উপস্থাপনের লক্ষ্যে পরিচালিত চলমান জনকূটনীতি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মাদ্রিদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে নগরীর অভিজাত এমকে-টু পালাসিও দে ইয়েলো প্রেক্ষাগৃহে গতকাল সন্ধ্যায় “মুজিব: একটি জাতির রূপকার” বায়োপিকটি প্রদর্শিত হয়েছে। উল্লেখ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশসমূহের মধ্যে সর্বপ্রথম স্পেনেই বায়োপিকটি জনসাধারণ্যে প্রদর্শিত হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ও ভারত সরকারের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত বায়োপিকটি বন্ধুপ্রতীম দুই দেশের নিবিড় সহযোগিতার এক অনন্য স্মারক।

জাতির পিতার জীবনভিত্তিক চলচ্চিত্রটি দেখতে প্রেক্ষাগৃহে বিপুলসংখ্যক দর্শকশ্রোতার সমাগম ঘটে। স্পেনে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীগণ ও তাঁদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ, দেশটিতে নিযুক্ত ভারত, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, তিউনিসিয়া, সেনেগাল, সুদান, মালি, গাম্বিয়া ও সুইজারল্যান্ডের  রাষ্ট্রদূত সহ কূটনৈতিক ক্যোরের সদস্যবৃন্দ, স্পেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্বাগতিক সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, স্পেনপ্রবাসী বাংলাদেশীদের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিদগ্ধ শিক্ষাবিদ ও সংস্কৃতিকর্মী এবং সুশীল সমাজ, থিংক ট্যাংক ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিবৃন্দ সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সিনেমা হলে উপস্থিত হয়ে চলচ্চিত্রটি উপভোগ করেন।

স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ, এনডিসি অভ্যাগত অতিথিবৃন্দকে স্বাগত জানান। প্রদর্শনীর প্রাক্কালে সংক্ষিপ্ত সূচনা বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত বলেন, “বাংলাদেশের ইতিহাস এবং বঙ্গবন্ধুর জীবনালেখ্য সমার্থক, অভিন্ন ও অচ্ছেদ্য। বায়োপিকটি বাঙালী জাতির মুক্তি, স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয়দীপ্ত অভ্যুদয় ও যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে নিবেদিত স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামমুখর মহাকাব্যিক জীবন ও অপরিসীম আত্মত্যাগের এক সত্যনিষ্ঠ ও অনবদ্য রূপায়ন। রাজনৈতিক জীবনের সূচনালগ্নে তরুণ বঙ্গবন্ধুর প্রতিভাময় নেতৃত্বের উত্থানপর্ব চিত্রায়নের মাধ্যমে বায়োপিকটিতে উপমহাদেশের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ আখ্যানও প্রাঞ্জলভাবে বিধৃত হয়েছে।” প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও বয়ান প্রচার এবং তাঁদেরকে বঙ্গবন্ধুর কর্মময় মহাজীবনাদর্শ অনুসরণে তাঁর দেশপ্রেমের অনির্বাণ আদর্শে নতুন প্রজন্মকে উজ্জীবিত করতে বায়োপিকটি সবিশেষ অবদান রাখবে মর্মে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

বায়োপিকটি প্রদর্শনীর পূর্বে স্পেনে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত শ্রী দীনেশ কে পাটনায়েক শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন।

আমন্ত্রিত দর্শকশ্রোতা ও চলচ্চিত্রবোদ্ধাগণ বায়োপিকটির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। তাঁরা জাতির পিতা ও বঙ্গমাতার অমর স্মৃতির উদ্দেশে অকুন্ঠচিত্তে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বায়োপিকের শেষাংশে চিত্রায়িত বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শাহাদতবরণের দৃশ্যে অনেক দর্শক অশ্রুসিক্ত নয়নে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন।

উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে গত ৩১ মে ২০২৪ তারিখে বার্সেলোনার স্বনামধন্য প্রেক্ষাগৃহ সিনেমেস জিরোনায় বায়োপিকটি প্রদর্শিত হয়। স্পেনপ্রবাসী বাংলাদেশীদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ বার্সেলোনায় বসবাস করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সর্বপ্রথম স্পেনে “মুজিব: একটি জাতির রূপকার” বায়োপিক প্রদর্শিত হলো

আপডেট সময় : ০৬:৫৬:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুমহান জীবন ও চিরায়ত আদর্শকে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্পেনের জনপরিসরে নান্দনিকভাবে উপস্থাপনের লক্ষ্যে পরিচালিত চলমান জনকূটনীতি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মাদ্রিদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে নগরীর অভিজাত এমকে-টু পালাসিও দে ইয়েলো প্রেক্ষাগৃহে গতকাল সন্ধ্যায় “মুজিব: একটি জাতির রূপকার” বায়োপিকটি প্রদর্শিত হয়েছে। উল্লেখ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশসমূহের মধ্যে সর্বপ্রথম স্পেনেই বায়োপিকটি জনসাধারণ্যে প্রদর্শিত হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ও ভারত সরকারের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত বায়োপিকটি বন্ধুপ্রতীম দুই দেশের নিবিড় সহযোগিতার এক অনন্য স্মারক।

জাতির পিতার জীবনভিত্তিক চলচ্চিত্রটি দেখতে প্রেক্ষাগৃহে বিপুলসংখ্যক দর্শকশ্রোতার সমাগম ঘটে। স্পেনে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীগণ ও তাঁদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ, দেশটিতে নিযুক্ত ভারত, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, তিউনিসিয়া, সেনেগাল, সুদান, মালি, গাম্বিয়া ও সুইজারল্যান্ডের  রাষ্ট্রদূত সহ কূটনৈতিক ক্যোরের সদস্যবৃন্দ, স্পেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্বাগতিক সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, স্পেনপ্রবাসী বাংলাদেশীদের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিদগ্ধ শিক্ষাবিদ ও সংস্কৃতিকর্মী এবং সুশীল সমাজ, থিংক ট্যাংক ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিবৃন্দ সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সিনেমা হলে উপস্থিত হয়ে চলচ্চিত্রটি উপভোগ করেন।

স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ, এনডিসি অভ্যাগত অতিথিবৃন্দকে স্বাগত জানান। প্রদর্শনীর প্রাক্কালে সংক্ষিপ্ত সূচনা বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত বলেন, “বাংলাদেশের ইতিহাস এবং বঙ্গবন্ধুর জীবনালেখ্য সমার্থক, অভিন্ন ও অচ্ছেদ্য। বায়োপিকটি বাঙালী জাতির মুক্তি, স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয়দীপ্ত অভ্যুদয় ও যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে নিবেদিত স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামমুখর মহাকাব্যিক জীবন ও অপরিসীম আত্মত্যাগের এক সত্যনিষ্ঠ ও অনবদ্য রূপায়ন। রাজনৈতিক জীবনের সূচনালগ্নে তরুণ বঙ্গবন্ধুর প্রতিভাময় নেতৃত্বের উত্থানপর্ব চিত্রায়নের মাধ্যমে বায়োপিকটিতে উপমহাদেশের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ আখ্যানও প্রাঞ্জলভাবে বিধৃত হয়েছে।” প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও বয়ান প্রচার এবং তাঁদেরকে বঙ্গবন্ধুর কর্মময় মহাজীবনাদর্শ অনুসরণে তাঁর দেশপ্রেমের অনির্বাণ আদর্শে নতুন প্রজন্মকে উজ্জীবিত করতে বায়োপিকটি সবিশেষ অবদান রাখবে মর্মে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

বায়োপিকটি প্রদর্শনীর পূর্বে স্পেনে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত শ্রী দীনেশ কে পাটনায়েক শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন।

আমন্ত্রিত দর্শকশ্রোতা ও চলচ্চিত্রবোদ্ধাগণ বায়োপিকটির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। তাঁরা জাতির পিতা ও বঙ্গমাতার অমর স্মৃতির উদ্দেশে অকুন্ঠচিত্তে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বায়োপিকের শেষাংশে চিত্রায়িত বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শাহাদতবরণের দৃশ্যে অনেক দর্শক অশ্রুসিক্ত নয়নে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন।

উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে গত ৩১ মে ২০২৪ তারিখে বার্সেলোনার স্বনামধন্য প্রেক্ষাগৃহ সিনেমেস জিরোনায় বায়োপিকটি প্রদর্শিত হয়। স্পেনপ্রবাসী বাংলাদেশীদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ বার্সেলোনায় বসবাস করেন।