ইউক্রেন ফেরত বাংলাদেশির প্রত্যক্ষ যুদ্ধের বিভীষিকাময় দিন
- আপডেট সময় : ০১:৫৪:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ মার্চ ২০২২ ৮৫২ বার পড়া হয়েছে
“বিশ্বের দরবারে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতি আলেচনার প্রধান খোরাক হয়ে উঠেছে। দিন যতই গড়িয়ে যাচ্ছে ততই মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারের উপর চাঁপ বেড়ে চলছে। এই যুদ্ধে এক বাংলাদেশী নাবিকের মৃত্যুর মাধ্যমে তৈরি হয় উৎকন্ঠা আর আতংঙ্ক। সেই আতংঙ্কের ধাক্কা লাগে প্রবাসে অবস্থানরত প্রতিটি বাংলাদেশী নাগরিকদের মননে। যে মনন হয়ে উঠে অস্থির। কিন্ত যে সকল বাংলাদেশি নাগরিক ইউক্রেনে বসবাস করতেন তারা কেমন করে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে? কিভাবে নিরাপদ আশ্রয় খুজে পেলেন? এরকমই একজন বাংলাদেশি নাগরিক সদ্য ইউক্রেন যুদ্ধের পরিস্থিতি নিজ চোখে প্রত্যক্ষ করে স্পেনে এসে পৌছেছেন”
রাশিয়ার আক্রমনে ইউক্রেনের জনগণের পাশাপাশি ভিন্ন দেশের নাগরিকরাও প্রত্যক্ষ করেছে যুদ্ধের বিভিীষিকাময় দিন গুলো। তাদের মধ্যে অনেক বাংলাদেশীদের মাঝে মো: শাহজাহান আহমদ খোকন ছিলেন। তার বাড়ী সিলেটের মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলায়। গত বছর ডিসেম্বর মাসে ইউক্রেনে পাড়ি জমান।সেখানে নিজেকে গুছিয়ে নেয়ার আগেই যুদ্ধ পরিস্থিতির শিকার হন।
তিনি ২৪ ফেব্রুয়ারী রাতে রাশিয়ার আক্রমনে ইউক্রেনের মাঠি কেপে উঠলে রাতেই কিয়েভ ছেড়ে পোল্যান্ড বডারে যাত্রা করেন। প্রায় ২১ ঘন্টা যাত্রা করে আরো ২০ কিলোমিটার পায়ে হেটে পোল্যান্ডের সীমানায় পৌছেন। ইউক্রেন ত্যাগ করার সময় শুধু নিজের পড়নের কাপড় ছাড়া কিছুই সাথে আনতে পারিনি। নিজের পাসর্পোটটিও ফেলে আসতে হয়েছে। আর কিয়েভ রাজধানী ছেড়ে আসার সময় সেনা সদস্যের টহল ছিল। কিন্তু কেউ বাধা দেয়নি।
ইউক্রেনে প্রত্যক্ষদর্শী বাংলাদেশী নাগরিক জানান পোল্যান্ড সীমান্ত চেকপোস্টে হাজার হাজার নিরাপদ আশ্রয় প্রার্থীর ভীড়। সেখানে ইমিগ্রেশন লাইনে কে কার আগে যাবে তা নিয়ে চলে প্রতিযোগীতা। তবুও দুইদিন দুই রাত খোলা আকাশের নিচে ঠান্ডা হাওয়ার মাঝে দাড়িয়েছি। পরে ইমিগ্রেশন জটিলতা শেষ করে প্রায় চার দিন পোল্যান্ডের ইমিগ্রেশনের নিরাপত্তায় ছিলেন। তারা আমাদের বাংলাদেশীদের জন্য আউটপাস দেয়। এই কাগজটিই একটি আইডি কার্ডের মতো গুরুত্ব বহন করে। পোল্যান্ড বাংলাদেশ দূতাবাস আমাদের অনেক সহযোগীতা করেছে। বর্তমানে তিনি পরিবারের সাথে স্পেনে আশ্রয় নিয়েছেন।