ঢাকা ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মাদ্রিদে স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের সভা অনুষ্ঠিত স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের সাথে নর্থ ইংল্যান্ড জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় বার্সেলোনায় সিক্স এ সাইড ফুটবল টুর্নামেন্টের সমাপনী খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত বার্সেলোনায় বিয়ানীবাজার সরকারী কলেজের প্রাক্তন ছাত্রদের মিলন মেলা ও নৈশভোজ বার্সেলোনায় ব্যপক আনন্দ-উৎসবে দুর্গাপূজা উদযাপিত সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের মুক্তির দাবীতে স্পেনে প্রতিবাদ সভা কাতালোনিয়া বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত মাদ্রিদে শাহজালাল লতিফিয়া মসজিদের ফলাফল ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন কাতালোনিয়া আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শোক দিবস পালিত মা আর রাজনীতিতে ফিরবেন না : জয়

আপেলের চেয়ে খোসা বেশি উপকারি

জনপ্রিয় অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০২:৫৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ৯৭৭ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্যে দারুণ উপকারী আপেল। তবে অনেকে খোসা ছড়িয়ে এ ফল খান। কিন্তু আপনি জানেন কি, খোসাও পুষ্টিতে ভরপুর। এতে প্রচুর পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যা দেহের মসৃণ ক্রিয়ায় সহায়তা করে।

আপেলের খোসায় রাসায়নিক থাকতে পারে। এ ভেবে তা খেতে কেউ ভয় পেতে পারেন। তবে এর সমাধানও আছে। কিন্তু মাথায় রাখবেন, এটি ফেলে দেওয়া মানে সর্বাধিক পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হওয়া।

এবার কীভাবে আপেল খাবেন জেনে নিন
আজকাল বাজারে সহজলভ্য আপেলে কীটনাশক থাকে। তাই খোসা খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। এর সমাধান দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, প্রথমে ফলটি ধুয়ে পানিতে এক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর পানি দিয়ে ২-৩ বার ধুয়ে ফেলুন। এতে রাসায়নিক চলে যাবে। মোমের প্রলেপ থাকলেও অপসারিত হবে। সর্বোপরি, আপেলের গুণগত মান বজায় থাকবে।

কেন খাবেন খোসা
আপেলের খোসায় দ্রবণীয় ফাইবার থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে এবং কোলেস্টেরল কমায়। এটি শরীর আদ্র্র রাখে। অন্ত্রে থাকা বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যাকটেরিয়ার খাদ্য হিসেবে কাজ করে এ ফাইবার।

ভিটামিনে পরিপূর্ণ
বিশেষজ্ঞরা জানান, প্রতিটি আপেলের খোসায় ৮.৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি এবং ৯৮ আইইউ ভিটামিন এ থাকে। ফলে জ্বর-ঠাণ্ডা-সর্দি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। পাশাপাশি চোখের সুরক্ষা দেয়।

ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ
২০০৭ সালে একটি সমীক্ষা করে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়। তাতে উঠে আসে, আপেলের খোসাতে ট্রাইটারপেনয়েড যৌগ থাকে, যা মানবদেহে ক্যান্সারের কোষ মেরে ফেলে। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে, যা ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে।

ওজন হ্রাস
স্বাস্থ্যবিদরা পরামর্শ দিচ্ছেন, ওজন কমাতে খোসাসহ আপেল খাওয়ার। এতে রয়েছে ওরসোলিক অ্যাসিড। প্রয়োজনীয় এ যৌগ স্থূলত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এটি পেশীর মেদ বাড়ায় এবং ক্যালরি পোড়ায়। ফলে স্থূলতার ঝুঁকি হ্রাস পায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

আপেলের চেয়ে খোসা বেশি উপকারি

আপডেট সময় : ০২:৫৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১

স্বাস্থ্যে দারুণ উপকারী আপেল। তবে অনেকে খোসা ছড়িয়ে এ ফল খান। কিন্তু আপনি জানেন কি, খোসাও পুষ্টিতে ভরপুর। এতে প্রচুর পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যা দেহের মসৃণ ক্রিয়ায় সহায়তা করে।

আপেলের খোসায় রাসায়নিক থাকতে পারে। এ ভেবে তা খেতে কেউ ভয় পেতে পারেন। তবে এর সমাধানও আছে। কিন্তু মাথায় রাখবেন, এটি ফেলে দেওয়া মানে সর্বাধিক পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হওয়া।

এবার কীভাবে আপেল খাবেন জেনে নিন
আজকাল বাজারে সহজলভ্য আপেলে কীটনাশক থাকে। তাই খোসা খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। এর সমাধান দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, প্রথমে ফলটি ধুয়ে পানিতে এক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর পানি দিয়ে ২-৩ বার ধুয়ে ফেলুন। এতে রাসায়নিক চলে যাবে। মোমের প্রলেপ থাকলেও অপসারিত হবে। সর্বোপরি, আপেলের গুণগত মান বজায় থাকবে।

কেন খাবেন খোসা
আপেলের খোসায় দ্রবণীয় ফাইবার থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে এবং কোলেস্টেরল কমায়। এটি শরীর আদ্র্র রাখে। অন্ত্রে থাকা বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যাকটেরিয়ার খাদ্য হিসেবে কাজ করে এ ফাইবার।

ভিটামিনে পরিপূর্ণ
বিশেষজ্ঞরা জানান, প্রতিটি আপেলের খোসায় ৮.৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি এবং ৯৮ আইইউ ভিটামিন এ থাকে। ফলে জ্বর-ঠাণ্ডা-সর্দি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। পাশাপাশি চোখের সুরক্ষা দেয়।

ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ
২০০৭ সালে একটি সমীক্ষা করে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়। তাতে উঠে আসে, আপেলের খোসাতে ট্রাইটারপেনয়েড যৌগ থাকে, যা মানবদেহে ক্যান্সারের কোষ মেরে ফেলে। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে, যা ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে।

ওজন হ্রাস
স্বাস্থ্যবিদরা পরামর্শ দিচ্ছেন, ওজন কমাতে খোসাসহ আপেল খাওয়ার। এতে রয়েছে ওরসোলিক অ্যাসিড। প্রয়োজনীয় এ যৌগ স্থূলত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এটি পেশীর মেদ বাড়ায় এবং ক্যালরি পোড়ায়। ফলে স্থূলতার ঝুঁকি হ্রাস পায়।